Neptune: নেপচুনে বিস্ময়কর পারদ পতন, ক্রমশ ঠাণ্ডা হচ্ছে এই গ্রহ, চিন্তায় বিজ্ঞানীরা

TV9 Bangla Digital | Edited By: Sohini chakrabarty

Apr 12, 2022 | 10:36 PM

Neptune Temperature Decrease: বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, নেপচুনে তাপমাত্রার এ হেন তারতম্য দেখবেন বলে তাঁরা আশা করেননি। কার্যত নাটকীয় মুহূর্ত চলছে এই গ্রহে।

Neptune: নেপচুনে বিস্ময়কর পারদ পতন, ক্রমশ ঠাণ্ডা হচ্ছে এই গ্রহ, চিন্তায় বিজ্ঞানীরা
নেপচুনে বিস্ময়কর পারদ পতন।

Follow Us

ক্রমশ ঠাণ্ডা হচ্ছে নেপচুন (Neptune) গ্রহ। আর তাই নিয়েই চিন্তায় পড়েছেন বিজ্ঞানীরা। নেপচুন হল সৌরমণ্ডলে অষ্টম গ্রহ। এই গ্রহের দূরত্ব সূর্যের থেকে সবচেয়ে বেশি (farthest known Solar planet) ব্যাসের নিরিখে এই গ্রহ সৌরমণ্ডলের চতুর্থ বৃহত্তম গ্রহ। আকার, আয়তনের দিক থেকে এই নেপচুন গ্রহ third most massive planet। এছাড়াও ঘনত্বের দিক থেকেও এই গ্রহকে বলা হয় দৈত্যাকার গ্রহ। পৃথিবীর তুলনায় নেপচুনের ভর প্রায় ১৭ গুণ বেশি। এছাড়াও এর প্রায় কাছাকাছি থাকা ইউরেনাসের থেকে সামান্য বড় নেপচুন গ্রহ। সম্প্রতি বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন যে, সম্প্রতি নেপচুনের তাপমাত্রার পতন হচ্ছে। ক্রমশ অনুমানের তুলনায় বেশি ঠাণ্ডা হচ্ছে এই গ্রহ। যার ফলে চিন্তিত হয়েছেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। তাপমাত্রা অস্বাভাবিক তারতম্য লক্ষ্য করা গিয়েছে এই গ্রহে।

বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, নেপচুনে তাপমাত্রার এ হেন তারতম্য দেখবেন বলে তাঁরা আশা করেননি। কার্যত নাটকীয় মুহূর্ত চলছে এই গ্রহে। সামার সিজন অর্থাৎ গরমের সময় এই গ্রহ ঠাণ্ডা হয়ে যাচ্ছে। এরপর ক্রমশ উত্তপ্ত হচ্ছে দক্ষিণ মেরু। নেপচুন প্রসঙ্গে এই যে গবেষণা হয়েছে তারঁ পুরোধা মাইকেল রোমান নামের এক জ্যোতির্বিজ্ঞানী। তিনি জানিয়েছেন, নেপচুনের তাপমাত্রায় এই হেরফের একেবারেই অনভিপ্রেত। এই বিজ্ঞানীর কথায়, তাঁরা যবে থেকে নেপচুন গ্রহকে পর্যবেক্ষণ শুরু করেছেন সেই সময়টা ছিল গ্রহের দক্ষিণভাগের গ্রীষ্মকাল। তাঁরা ভেবেছিলেন যে ধীরে ধীরে উষ্ণতা বাড়বে, উত্তপ্ত হবে গ্রহ। কিন্তু এখানে ঠিক উল্টোটা হয়েছে। তাপমাত্রা ক্রমাগত কমে ঠাণ্ডা হচ্ছে এই গ্রহ। নেপচুনের উষ্ণতার এই তারতম্যই এখন ভাবিয়ে তুলেছে বিজ্ঞানীদের। ঠিক কেন এমনটা হচ্ছে সেই ব্যাপারে এখনও কোনও ব্যাখ্যা দিতে পারেননি বৈজ্ঞানিকরা।

তবে জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের ধারণা একাধিক কারণে নেপচুন গ্রহের তাপমাত্রার পতন হতে পারে। এর মধ্যে ওই গ্রহের রাসায়নিক গঠন অন্যতম। এছাড়াও তালিকায় রয়েছে নেপচুনের আবহাওয়ার ধরন এবং সূর্যের মধ্যে প্রতিনিয়ত ঘটে চলা বিভিন্ন পরিবর্তন। বিগত ১৭ বছর ধরে পৃথিবী থেকে বিভিন্ন টেলিস্কোপের মাধ্যমে নেপচুন গ্রহকে পর্যবেক্ষণ করছেন বৈজ্ঞানিকরা। তবে এই প্রথমবার এভাবে পারদ পতন হতে দেখা গিয়েছে নেপচুনে। বিস্ময়ের সঙ্গে সঙ্গে চিন্তিতও বিজ্ঞানী মহল। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য পৃথিবীর মতো নেপচুনেও রয়েছে বিভিন্ন ঋতু। কিন্তু পৃথিবীর তুলনায় এইসব ঋতুর স্থায়িত্বকাল কিছুটা বেশি। নেপচুনের এক বছর মানে পৃথিবীর ১৬৫ বছর। আর একটি ঋতু নেপচুনে বজায় থাকে ৪০ বছর। এমন আজব ঋতুকাল রয়েছে নেপচুনে গ্রহে। আর সেটাই বোঝার চেষ্টায় রয়েছেন বিজ্ঞানীরা। এই গ্রহের প্রায় ১০০ থার্মাল ইনফ্রারেড ছবি দেখে ফেলেছেন তাঁরা। এর মাধ্যমেই নেপচুনে ঘটে চলা উষ্ণতার তারতম্য বোঝার চেষ্টায় রয়েছেন বিজ্ঞানীরা। উত্তরায়ণের সময় নেপচুন গ্রহের দক্ষিণভাগে উষ্ণতার যে তারতম্য হচ্ছে সেটা বোঝারই চেষ্টা করছেন তাঁরা।

আরও পড়ুন- Banana Peeling: কলার খোসা ছাড়াচ্ছে রোবট! ১৩ ঘণ্টার প্রশিক্ষণে রপ্ত হয়েছে এই টাস্ক, জানাচ্ছেন জাপানের বিজ্ঞানীরা

Next Article