AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Snake clitorises: সাপের দেহেও ক্লিটোরিস? প্রমাণ করলেন বিজ্ঞানীরা

স্ত্রী সাপের যৌনাঙ্গ নিয়ে গবেষণা দীর্ঘদিন ধরেই অবহেলিত। এই ঘাটতি মেটাতে তারা স্ত্রী সাপের যৌনাঙ্গ নিয়ে গবেষণা করার সিদ্ধান্ত নেন।

Snake clitorises: সাপের দেহেও ক্লিটোরিস? প্রমাণ করলেন বিজ্ঞানীরা
| Edited By: | Updated on: Dec 02, 2023 | 6:41 PM
Share

স্ত্রী সাপের গোপনাঙ্গে ক্লিটোরিসের সন্ধান পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। তারা বলেছেন, পূর্ববর্তী গবেষণায় সাপের এই অঙ্গকে ঘ্রাণ গ্রন্থি হিসাবে ধরা হয়েছিল। সাপের লিঙ্গ ‘হেমিপেনিস’ নিয়ে কয়েক দশক ধরে গবেষণা করা হয়েছে। এটি একটি কাঁটার মত এবং এর সামনের অংশটি সূঁচের মত ধারালো। তবে নারী সাপের যৌনাঙ্গ নিয়ে এখনও কোনও বড় গবেষণা করা হয়নি। গবেষকরা জানিয়েছেন, এই ঘাটতি মেটাতে তারা স্ত্রী সাপের যৌনাঙ্গ নিয়ে গবেষণা করার সিদ্ধান্ত নেন। এই গবেষণার প্রধান গবেষক মেগান ফলওয়েল বলেন, স্ত্রী সাপের যৌনাঙ্গ নিয়ে গবেষণা দীর্ঘদিন ধরেই অবহেলিত। তিনি বলেন, সাপের দুটি ভিন্ন ক্লিটোরিস থাকে, তাকে বলা হয় হেমিক্লিটোরস। এগুলি দুটি টিস্যু দ্বারা পৃথক করা হয় এবং লেজের নীচে লুকানো থাকে। গবেষণায় দেখা গেছে যে, হেমিক্লিটোরস ‘ইরেক্টাইল টিস্যু’ দিয়ে তৈরি, যা একটি নির্দিষ্ট স্নায়ুর সঙ্গে যুক্ত।

female snakes

গবেষণার প্রধান লেখক এবং অ্যাডিলেড বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডির ছাত্র মেগান ফলওয়েল বলেন, স্ত্রী যৌনাঙ্গ নিয়ে ট্যাবু থাকার কারণে সাপের ক্লিটোরিস নিয়ে আগে তেমন ভাবাই হয়নি। ফলওয়েল জানান, তিনি জনসাধারণের কাছে সঠিক তথ্য পৌঁছে দিতে এই বিষয়টি বেছে নিয়েছেন। তিনি বলেন, “এটি খুঁজে বের করা সহজ নয়। কারণ এই ক্লিটোরিস অত্যন্ত ক্ষুদ্র। এটার খোঁজ প্রথমে একটি ডেথ অ্যাডারে (বিষাক্ত প্রজাতির সাপ) পাওয়া গিয়েছে। যেখানে অঙ্গটি একটি ত্রিভুজ আকারে ছিল। আমার সৌভাগ্য যে আমি ওটা দেখতে পেয়েছি, কারণ ওই সাপের ক্লিটোরিস অন্য়ান্য় সাপের তুলনায় বড়।”

তিনি আরও জানান যে, “সাপের নারী অঙ্গ নিয়ে যে বই তিনি পড়েছেন, তা খুবই সীমিত। তাতে লেখা ছিল যে, নারী সাপের গোপনাঙ্গে কোনও বিশেষ অঙ্গ নেই বা সেগুলি বিবর্তনের মাধ্যমে পরিবর্তিত হয়ে গেছে। তাই এমন অবস্থায় তিনি এই বিষয়ে গবেষণা শুরু করেন।” সাপের আচরণ সম্পর্কে আরও গবেষণার কথা জানিয়ে ফলওয়েল বলেন, “এই ক্লিটোরিস শিথিল এবং তৈলাক্ত হওয়ার জন্য এক ধরনের উদ্দীপনা সংকেত তৈরি হয় যা নারী সাপকে সহবাসে সহায়তা করে। ফলে সঙ্গমের সময় পুরুষ সাপের হেমিপেনিসের কাঁটা থেকে রক্ষা পায়।”. এই আবিষ্কার সাপের যৌনতা সম্পর্কে একটি নতুন তত্ত্ব প্রকাশ করেছে। বিজ্ঞানীরা দাবী করেছেন যে, সাপের যৌনতা বেশিরভাগই বাধ্য হয়ে এবং পুরুষ সাপের ইচ্ছার দ্বারা হয়। এর কারণ হল পুরুষ সাপগুলিকে সাধারণত মিলনের সময় বেশ আক্রমণাত্মক হতে দেখা যায়, কিন্তু স্ত্রী সাপগুলি শান্ত থাকে। গবেষণার সহ-লেখক ড. জেনা ক্রো-রিডেল বলেন, কিছু স্ত্রী সাপের ক্লিটোরিস বেশ পেশীবহুল এবং বড় হয়। যার আকার এক মিলিমিটারের কম থেকে সাত মিলিমিটার পর্যন্ত হয়।”