Film Studio in Space: এবার মহাকাশে স্থাপন করা হচ্ছে ফিল্ম স্টুডিয়ো, সঙ্গে তৈরি করা হচ্ছে স্পোর্টস এরিনাও…
চলতি বছরের শুরুতে অভিনেতা টম ক্রুজ নাসা এবং স্পেস এক্সের সঙ্গে মিলিত হয়ে একটি হলিউড প্রোজেক্ট ঘোষণা করেছেন।
দু’-এক দিনের জন্য মহাকাশে গিয়ে শুধুই কোনও চলচ্চিত্রের শ্যুটিং নয়। মহাকাশে এ বার পাকাপাকি ভাবে গড়ে তোলা হচ্ছে পূর্ণদৈর্ঘ্যের চলচ্চিত্র, ডকুমেন্টারি ও টেলিভিশন সিরিয়ালের শ্যুটিংয়ের স্টুডিয়ো (Space Studio)। গড়ে তোলা হচ্ছে খেলাধুলোর জন্য বিশাল স্পোর্টস এরিনাও (Sports Arena)। ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৪০০ কিলোমিটার উপরে পৃথিবীর কক্ষপথে দিনে ১৫ থেকে ১৬ বার প্রদক্ষিণ করা আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনেই (International Space Station) গড়ে তোলা হচ্ছে এই ফিল্ম স্টুডিয়ো ও স্পোর্টস এরিনা।
মহাকাশের পটভূমিতে বানানো অভিনেতা, পরিচালক, প্রযোজক টম ক্রুজের চলচ্চিত্রের সহ প্রযোজক সংস্থা স্পেস এন্টারটেনমেন্ট এন্টারপ্রাইজ (এসইই) বানাচ্ছে মহাকাশ স্টেশনের প্রথম ফিল্ম স্টুডিয়ো ও স্পোর্টস এরিনা। এসইই জানিয়েছে, এই ফিল্ম স্টুডিয়োতে যে কোনও দেশের অভিনেতা, পরিচালক, প্রযোজকই তাঁদের নিজেদের চলচ্চিত্র বা টেলিভিশন সিরিয়ালের শ্যুটিং করতে পারবেন। তবে এসইই নিজেও সেই স্টুডিয়োয় কয়েকটি চলচ্চিত্রের শ্যুটিং করবে।
এসইই-র তরফ থেকে জানানো হয়েছে পৃথিবীতেই বানানো হবে মহাকাশের সেই ফিল্ম স্টুডিয়ো আর স্পোর্টস এরিনা। দুটিকে বসানো হবে একটি মডিউলে। যার নাম- ‘এসইই-১’। তারপর সেই মডিউলটিকে মহাকাশযানে চাপিয়ে পাঠানো হবে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে। এসইই-১ মডিউলটি মহাকাশ স্টেশনের বাণিজ্যিক অংশ অ্যাক্সিয়ম স্টেশনে গিয়ে নামবে। সেখানেই বসানো হবে মহাকাশের প্রথম ফিল্ম স্টুডিয়ো আর স্পোর্টস এরিনা। এসইই চায়, ২০২৪ সালের ডিসেম্বরের মধ্যেই মহাকাশে ফিল্ম স্টুডিয়ো ও স্পোর্টস এরিনা পাঠিয়ে দিতে।
২০২৮ সালের পর এই অ্যাক্সিয়ম স্টেশনটি আলাদা হয়ে যাবে মহাকাশ স্টেশন থেকে। তার পর থেকে অ্যাক্সিয়ম স্টেশন স্বাধীন ভাবেই পৃথিবীর কক্ষপথে প্রদক্ষিণ করতে শুরু করবে। অভিনেতা টম ক্রুজেরও এ বছর মহাকাশ স্টেশনে যাওয়ার কথা একটি চলচ্চিত্রের শ্যুটিংয়ের জন্য। চলতি বছরের শুরুতে অভিনেতা টম ক্রুজ নাসা এবং স্পেস এক্সের সঙ্গে মিলিত হয়ে একটি হলিউড প্রোজেক্ট ঘোষণা করেছেন।
তারও অনেক আগে মহাকাশে রাশিয়ার এই সিনেমার শুটিং হওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছিল। উল্লেখ্য, রাশিয়া প্রথমে সোভিয়েত ইউনিয়ন হিসেবে এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মহাকাশের বিভিন্ন অভিযানে মাইলস্টোন তৈরি করার জন্য জোরদার প্রতিযোগিতায় নেমেছেন। রাশিয়ায় প্রথম মহাকাশে একজন মহিলা এবং পুরুষ পাঠিয়েছিল। কিন্তু নাসা চন্দ্রপৃষ্ঠে মহাকাশচারী পাঠিয়ে বাজিমাত করেছিল। তবে, বর্তমানে এই স্পেস স্টুডিয়ো বানানোর পরিকল্পনাতে রাশিয়া কোনও রকম মন্তব্য এখনও করেনি।
তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা
আরও পড়ুন: Forgetting Is A Form Of Learning: ভুলে যাওয়া ভুল নয়, আসলে তা শেখারই অঙ্গ, দাবি বিজ্ঞানীদের