UNESCO recognition: দুর্গাপুজোর পর এবার ইউনেস্কোর স্বীকৃতির লড়াইয়ে গণেশ পুজো

| Edited By: Purvi Ghosh

Oct 08, 2025 | 7:11 PM

মায়ের পুজো শেষ। রাজ্য এখন ফিরছে রোজকার জীবনে। এর মধ্যেই মহারাষ্ট্র সরকারের ঘোষণা, এবার তাদের লক্ষ্য ইউনেস্কো। অর্থাৎ, বাংলার দুর্গাপুজোর পর মহারাষ্ট্রের গণেশ পুজোও চাইছে ইউনেস্কোর স্বীকৃতি। আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির মঞ্চে এবার মুখোমুখি মা ও ছেলে অর্থাৎ দুর্গা ও গণেশ। দেখা যাক, মায়ের মতোই ছেলের কপালে জোটে কি না সেই সম্মান।

মায়ের পুজো শেষ। রাজ্য এখন ফিরছে রোজকার জীবনে। এর মধ্যেই মহারাষ্ট্র সরকারের ঘোষণা, এবার তাদের লক্ষ্য ইউনেস্কো। অর্থাৎ, বাংলার দুর্গাপুজোর পর মহারাষ্ট্রের গণেশ পুজোও চাইছে ইউনেস্কোর স্বীকৃতি। আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির মঞ্চে এবার মুখোমুখি মা ও ছেলে অর্থাৎ দুর্গা ও গণেশ। দেখা যাক, মায়ের মতোই ছেলের কপালে জোটে কি না সেই সম্মান।

দুই পুজোর মধ্যে টক্কর শুধু সংস্কৃতি নয়, অর্থনীতিতেও। এখন পর্যন্ত বহর, আড়ম্বর ও খরচের নিরিখে গণেশ পুজো কিছুটা এগিয়ে। তবে এবারের দুর্গাপুজোয় মা জোর লড়াই দিয়েছে। বণিকসভা অ্যাসোচেমের হিসেবে, এবছর বাংলার দুর্গাপুজোয় ব্যবসা হয়েছে প্রায় ৬৫ হাজার কোটি টাকা যা সর্বকালীন রেকর্ডই বটে।

অন্যদিকে, মারাঠাভূমে গণেশ পুজোয় ব্যবসার অঙ্ক দাঁড়িয়েছে প্রায় ৮২ হাজার কোটি টাকা। যদিও মুম্বই ভারতের বাণিজ্যিক রাজধানী, যেখানে অর্থের প্রবাহ বেশি। তবু কলকাতার মতো শহরে দুর্গাপুজো কেন্দ্রিক এই বিপুল অঙ্কের ব্যবসা চমকপ্রদ।

ব্রিটিশ কাউন্সিলের হিসাবে, ২০১৯ সালে বাংলায় দুর্গাপুজোকে কেন্দ্র করে ব্যবসার পরিমাণ ছিল ৩২ হাজার কোটি টাকা। ২০২৩ সালে তা বেড়ে হয় ৫০ হাজার কোটি। এবছর সেই রেকর্ড ভেঙে ৬৫ হাজার কোটিতে পৌঁছেছে। প্রতি বছর প্রায় ৩৫% হারে বাড়ছে পুজো অর্থনীতি। এই হারে চললে আগামী তিন-চার বছরের মধ্যেই বিশ্বের প্রথম পাঁচ উৎসব অর্থনীতির তালিকায় উঠে আসবে দুর্গাপুজো।

পুজো অর্থনীতি এখন রাজ্যের মোট অর্থনীতির ২.৬১%। প্রতিবছর দুর্গাপুজোকে ঘিরে গড়ে ৩ লাখ কর্মসংস্থান তৈরি হয়। এর মধ্যে কিছু অস্থায়ী, আবার কিছু কাজ সারা বছর ধরে চলে।

অন্যদিকে, মুম্বই শহরে গণেশ পুজো কেন্দ্রিক ব্যবসা দাঁড়ায় প্রায় ৬০ হাজার কোটি টাকা। হিসাবের বাইরে থাকা খাতে ধরলে ব্যবসার অঙ্ক ৮৫ থেকে ৯০ হাজার কোটি পর্যন্ত পৌঁছায়। শুধু মুম্বইতেই প্রতি বছর প্রায় ১০ হাজার কর্মসংস্থান তৈরি হয়। সারা মহারাষ্ট্রে বারোয়ারি গণেশ পুজোর সংখ্যা এখন প্রায় ১ লাখ।

মুম্বইয়ের পরেই জাঁকজমকের নিরিখে এগিয়ে নাসিক। বাংলায়ও জেলা শহরগুলির পুজো এখন কলকাতার সঙ্গে পাল্লা দিচ্ছে।

সব মিলিয়ে, পুজোর বহর, আড়ম্বর, খরচ ও অর্থনীতির দিক থেকে মুম্বইয়ের দম ছুটিয়ে দিচ্ছে কলকাতা। এবার দেখার, ইউনেস্কোর স্বীকৃতির মঞ্চে মা দুর্গার পর ছেলে গণেশ কতদূর যেতে পারে।