Air Defence System Of India: ভারতের হাতে নতুন ব্রহ্মাস্ত্র, এয়ার ডিফেন্সে এলিট ক্লাবে ভারত

Oct 08, 2024 | 10:06 PM

ভারতের হাতে নতুন ব্রহ্মাস্ত্র। পোর্টেবল এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমে সাফল্য। এয়ার ডিফেন্সে এলিট ক্লাবে ভারত। কীভাবে কাজ করবে VSHORADS?

সফল হলো পোর্টেবল এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমের পরীক্ষা। পোশাকি নাম ভেরি শর্ট রেঞ্জ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম। যা কিনা ৬ কিলোমিটার পাল্লার মধ্যে শক্রর মিসাইল, ড্রোন ও হেলিকপ্টার ধ্বংস করতে সক্ষম। সাফল্যের হার ৯০ শতাংশেরও বেশি। যেসব শর্ট রেঞ্জ মিসাইল ডিফেন্সের সাফল্য ৮৫ শতাংশের বেশি, তাদের অল টার্গেট কমিট বা এটিসি বলে ডাকা হয়। বিশ্বে মাত্র ৫টি দেশের হাতে এটিসি ক্লাসের মিসাইল ডিফেন্স আছে। ৬ নম্বর দেশ হিসাবে এখানে নাম লেখাল ভারত।

২০১৬ সাল থেকে এটিসি ক্লাসের মিসাইল ডিফেন্স তৈরির চেষ্টা করছে ভারত। ২০২৪-এর অক্টোবরে অবশেষে লক্ষ্যপূরণ। আপনাদের বলি ডিআরডিও কীভাবে এই পরীক্ষা চালাল? সেটাও কিন্তু খুব ইন্টারেন্টিং। পরীক্ষার দিন পোখরানে প্রথমে দ্রুতগতির একটা মিসাইল টেস্ট ফায়ার করা হয়। এর ৩ মিনিট পরে ম্যান পোর্টেবল এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম লঞ্চ করে ডিআরডিও। ডিআরডিও সূত্রে খবর, ৫৩ সেকেন্ডের মধ্যে সর্বোচ্চ গতিতে থাকা মিসাইলকে লোকেট করে ধ্বংস করে দেয় তাদের তৈরি এই পোর্টেবল এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম। এরপর আরও শক্তিশালী মিসাইল পাঠিয়ে পরীক্ষা হয়। মানে একই দিনে দুটি আলাদা, আলাদা মিসাইলকে থামানোর পরীক্ষা।

পরের দিন আবার অন্য চ্যালেঞ্জ। হেলিকপ্টার থেকে ফায়ার করা মিসাইলকেও ধ্বংস করে দেয় ডিআরডিও-র তৈরি নতুন এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম। যতদূর জানতে পারছি, ভেরি শর্ট রেঞ্জ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমের অত্যাধুনিক ভার্সন নিয়ে সেনার বহুমুখী পরিকল্পনা রয়েছে। এখনই এই ধরণের ৮টা ইউনিট কিনতে চায় সেনা। পাক-চিন সীমান্তে এগুলো মোতায়েন থাকবে।

সেনাকর্তাদের বক্তব্য, নতুন অস্ত্র হাতে আসায় স্বল্পপাল্লার আকাশ-যুদ্ধে ভারতের হাত শক্ত হবে। বিশেষ করে পাকিস্তান ও চিন ড্রোনহামলা করলে তা প্রতিরোধ করা যাবে। গত বছর অগাস্টে, পোখরানেই ম্যান পোর্টেবল অ্যান্টি ট্যাঙ্ক গাইডেড মিসাইলের পরীক্ষা হয়েছিল। একেবারে নিখুঁত নিশানায় শক্রর ট্যাঙ্ক ও সাঁজোয়া গাড়ি ধ্বংস করতে সিদ্ধহস্ত এই মিসাইল। এলএসি-র মতো খাড়াই ও উঁচু এলাকাতেও এটি সমান কার্যকরী। গত ডিসেম্বরে সেনার তরফে এমন ৫০টি মিসাইলের বরাত দেওয়া হয়। এই ট্যাঙ্ক গাইডেড মিসাইল ও শর্ট রেঞ্জ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমকে একই ডিভিশনে রাখতে চায় সেনা। পাক-চিন সীমান্তে পাল্টা হামলার পরিকাঠামো তৈরি রাখতে এই দুই অস্ত্র অত্যন্ত কার্যকর হবে বলেই আশা সেনাকর্তাদের।