Lok Sabha Election 2024: ৪ জুন কার সরকার? দোলাচলে শেয়ার বাজার

TV9 Bangla Digital | Edited By: সুপ্রিয় ঘোষ

May 14, 2024 | 11:21 PM

৪ জুন কার সরকার? কী বলছে সাট্টা বাজার! শেয়ার বাজারে ইলেকশন শক! শেয়ারে লগ্নির ‘শাহি’ টিপস। আবেদনের ৩-৪ দিনে টাকা। পিএফ অ্যাডভান্সে আরও সুবিধা।

Follow Us

৫৪৩ আসনের মধ্যে ৩৭৯ আসনে ভোট শেষ। রাস্তা-ঘাটে, দোকানে-বাজারে এখন কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে সম্ভাব্য ফলাফল নিয়ে জল্পনা। এনডিএ ৪০০ আসন পার করে ইতিহাস গড়বে? নাকি ইন্ডিয়া জোট যা দাবি করছে, সেটাই সত্যি হবে? মানে দুশো আসনের আশেপাশে থামতে হবে বিজেপিকে? পয়লা জুনের আগে বুথ ফেরত সমীক্ষার তথ্য আসবে না। একমাত্র সাট্টা বাজারই এইসব নিয়ম-কানুনের পরোয়া করে না। সে চলে তার নিজের নিয়মে।

রাজস্থানের ফলোদি। গুজরাতের পালনপুর। পঞ্জাবের কার্নাল। জম্মুর বোহরি। মহারাষ্ট্রের বেলগাঁও ও কলকাতা। মূলত এই ৬টি শহরের সাট্টা বাজার সারা দেশের সাট্টা ব্যবসাকে নিয়ন্ত্রণ করে। এর আগে গত ৪টে লোকসভা ভোট ও ৫০-এর বেশি বিধানসভা ভোটের সম্ভাব্য ফলাফল নিয়ে সাট্টা বাজারে বাজি ধরা হয়েছে। পূর্বাভাস মিলিয়ে দেওয়ায় সাফল্যের হার ৮০ শতাংশের বেশি। যে কোনও নামী সেফোলোজিস্ট বা রিসার্চ সংস্থার কাছেও ঈর্ষা করার মতো পরিসংখ্যান। ২০১৪ ও ২০১৯ সালে দেশজুড়ে ৭০ আসনের গণ্ডি পেরবে না কংগ্রেস। সাট্টা বাজারের এই পূর্বাভাস মিলে গিয়েছিল। হালফিল উত্তরপ্রদেশ, কর্নাটক, ছত্তিশগড়ের বিধানসভা ভোট নিয়েও নিখুঁত পূর্বাভাস দেয় সাট্টাবাজার।

তবে যে বুথ ফেরত সমীক্ষার মতই সাট্টা বাজারের পূর্বাভাস কখনও মেলে। কখনও মেলে না। আর এর কোনও বৈজ্ঞানিক ভিত্তিও নেই। এটা কোনওভাবেই কোনও জনমত সমীক্ষা নয়। এবং এর সঙ্গে টিভি নাইন বাংলারও কোনও সম্পর্ক নেই। সাট্টা বাজার বলছে নরেন্দ্র মোদী ও বিজেপির পক্ষে পাল্লা ভারি। বিজেপি একাই ২৭২ আসনের গন্ডি পার করবে। এর পক্ষে বাজির দর ১ টাকায় ১ টাকা ১৫ পয়সা। এনডিএ ২৭২ আসন পেরোলে ১ টাকায় মিলবে ১ টাকা ৭ পয়সা। আর কংগ্রেস একা ২৭২ আসন পেরোলে? এই বাজিতে এখন ১ টাকা লাগালে মিলবে ৩ টাকা ২৫ পয়সা। ইন্ডিয়া জোট ২৭২ আসন পেরোলে সাট্টার দর ১ টাকায় ২ টাকা ৩০ পয়সা। মানে কংগ্রেস বা ইন্ডিয়া জোটের তুলনায় বিজেপি বা এনডিএ-র ক্ষমতায় ফেরার সম্ভাবনা অনেকটাই বেশি। ৬টি সাট্টা বাজারের মধ্যে বাজির দরে খুব একটা পার্থক্যও কিন্তু নেই। বড়জোর উনিশ- বিশ বলা যেতে পারে। সাট্টা বাজারে যেমন সামগ্রিকভাবে সারা দেশে ভোটের ফলাফলের পূর্বাভাস পাওয়া যায়। তেমনই এখানে রাজ্যভিত্তিক রেজাল্ট নিয়েও বাজি ধরা চলে। হাই প্রোফাইল ক্যান্ডিডেটদের ওপর বাজি ধরাও বেশ পুরনো একটা ট্রেন্ড। এনিয়ে কিছু পয়েন্টও আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করতেই হচ্ছে। এক, বাজির দরে বেশ কয়েকজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কপালের ভাঁজ চওড়া হওয়ার কথা। মানে তাঁদের হারের পূর্বাভাস। দুই, উত্তরপ্রদেশে বিজেপি ৭০-এর বেশি সিট পাবে। এমন সম্ভাবনার কথাও বলা হচ্ছে। আরেকটা তথ্যও খুব ইন্টারেস্টিং। সেটা হল মোদী ফ্যাক্টর। নরেন্দ্র মোদীকে নিয়ে কমবেশি ১০ থেকে ১২ ধরনের বাজি ধরা চলছে। যেমন ধরুন প্রধানমন্ত্রী কত ভোটে জিতবেন? তাঁর মার্জিন বাড়বে না কমবে? ইত্যাদি, ইত্যাদি। এখানেও কেউ তাঁর ধারেকাছে নেই।

সাট্টা বাজারের এবার শেয়ার বাজার। মে মাসে এখনও পর্যন্ত সেনসেক্স পড়েছে প্রায় ১৮০০ পয়েন্ট। নিফটিও প্রায় ৫৫০ পয়েন্ট পড়েছে। গত বৃহস্পতিবার একদিনে মুম্বই স্টক এক্সচেঞ্জ সূচক প্রায় ১১০০ পয়েন্ট পড়ে যায়। নিফটি পড়ে যায় প্রায় ৩৭০ পয়েন্ট। বাজারে পতনের এই কারণ কী।

নিফটি এখনও ২২ হাজারের ওপরে। সেনসেক্স ৭৩ হাজারের ওপরে। এটা কিন্তু বাজারের বাস্তব অবস্থা নয়। অ্যাগ্রেসিভ বাইংয়ের ফলে সূচকের যেখানে থাকা উচিত ছিল। সূচক তার চেয়ে বেশি ওপরে চলে গেছে। ফলে লগ্নিকারীদের একটা অংশ সাবধানী হয়ে হাতে থাকা শেয়ার বেচে দিচ্ছেন। দাম আগামীদিনে আরও বাড়বে। সেই আশায় বসে থেকে রিস্ক নিচ্ছেন না। ফলে বাজারে একটা ন্যাচারাল কারেকশন আসছে। তাই ইনডেক্স পড়ছে। তবে এটাই কিন্তু সব নয়। নির্বাচনের ফল কী হবে। তা নিয়ে দোলাচলে রয়েছেন লগ্নিকারীদের একাংশ। কয়েকদিন আগেই প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং অভিযোগ করেন দেশের প্রথম সারির দুই শিল্পপতির সঙ্গে কংগ্রেসের আঁতাত হয়েছে। তাঁরা টেম্পোয় করে টাকা নিয়ে গিয়ে কংগ্রেসকে দিয়ে আসছেন। মানে এতদিন রাহুল গান্ধী যে অভিযোগে নরেন্দ্র মোদীকে বিঁধতেন। এখন সেই একই অভিযোগে রাহুলকে কাঠগড়ায় তুলছেন মোদী। যে কেউ বলবেন প্রধানমন্ত্রীর মুখে এই অভিযোগ খুবই আনএক্সপেক্টেড। এক্সপার্টরা বলছেন এ মন্তব্যের প্রভাব পড়েছে বাজারে। প্রধানমন্ত্রীর কথা শুনে বাজার কিছুটা হলেও আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়ে। যা শেয়ার সূচককে একধাক্কায় অনেকটা টেনে নামিয়ে দেয়। ভোটের হার কেন কম হচ্ছে এনিয়েও বিনিয়োগকারীদের মনে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। এসবের জেরে গতকাল চতুর্থ দফার ভোটগ্রহণের দিনও সেনসেক্স একসময় প্রায় ৮০০ পয়েন্ট পড়ে যায়।

প্রায় এগুলোই প্রশ্ন আকারে সাজিয়ে অমিত শাহের সামনে রাখা হয়েছিল। তিনি উত্তর দিয়েছেন কেন্দ্রে স্থায়ী সরকার থাকলে শেয়ার সূচক বাড়ে। বিজেপি ৪০০-র বেশি আসন পাবে। শক্তিশালী মোদী সরকার তৈরি হবে। তাই লগ্নিকারীরা এখনই বেশি করে শেয়ার কিনুন। ৪ঠা জুন ভোটের ফল প্রকাশের দিন শেয়ার বাজারের বিপুল উত্থান হবে। দেখুন আমি যেটা বলব। এইনিয়ে কোনও সন্দেহ নেই যে শেয়ার বাজার স্টেবল গর্ভনমেন্ট পছন্দ করে। উল্টোদিকে আবার এটাও সত্যি যে ২০০৮ সালের বিশ্বজোড়া আর্থিক মন্দার পর ধাক্কা সামলে আবার উঠে দাঁড়ায় ভারতের শেয়ার বাজার। মনমোহন সিং তখন কোয়ালিশন গর্ভনমেন্টই চালাতেন। আর সেই কোয়ালিশন গর্ভনমেন্টের আমলে গ্রোথ রেটও বেশ ওপরের দিকেই ছিল। লগ্নিকারীদের এখন কী করা উচিত। অমিত শাহের কথা শুনে বিশেষজ্ঞরা বলছেন এপ্রিলের ইনফ্লেশন ডেটা কী আসে দেখুন। সমস্ত বড় কোম্পানির গত আর্থিক বছরের ব্যালান্স শিট সামনে আসতে দিন। আর ভোটের ফলের জন্য অপেক্ষা করুন। তারপরই একলপ্তে মোটা টাকা বিনিয়োগ করা ভালো। কারণ ৪ জুন পর্যন্ত মার্কেটে একটা অস্থিরতা চলবেই। তার আগে বাজারের প্রতিটা পতনে অল্প অল্প করে লগ্নি করা যেতে পারে। ফলে এটা পরিষ্কার যে ভোটের ফল বেরোনর পরে মধ্য এবং দীর্ঘমেয়াদে বাজার চাঙ্গা থাকবে বলেই মনে করছেন এক্সপার্টরা।

৫৪৩ আসনের মধ্যে ৩৭৯ আসনে ভোট শেষ। রাস্তা-ঘাটে, দোকানে-বাজারে এখন কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে সম্ভাব্য ফলাফল নিয়ে জল্পনা। এনডিএ ৪০০ আসন পার করে ইতিহাস গড়বে? নাকি ইন্ডিয়া জোট যা দাবি করছে, সেটাই সত্যি হবে? মানে দুশো আসনের আশেপাশে থামতে হবে বিজেপিকে? পয়লা জুনের আগে বুথ ফেরত সমীক্ষার তথ্য আসবে না। একমাত্র সাট্টা বাজারই এইসব নিয়ম-কানুনের পরোয়া করে না। সে চলে তার নিজের নিয়মে।

রাজস্থানের ফলোদি। গুজরাতের পালনপুর। পঞ্জাবের কার্নাল। জম্মুর বোহরি। মহারাষ্ট্রের বেলগাঁও ও কলকাতা। মূলত এই ৬টি শহরের সাট্টা বাজার সারা দেশের সাট্টা ব্যবসাকে নিয়ন্ত্রণ করে। এর আগে গত ৪টে লোকসভা ভোট ও ৫০-এর বেশি বিধানসভা ভোটের সম্ভাব্য ফলাফল নিয়ে সাট্টা বাজারে বাজি ধরা হয়েছে। পূর্বাভাস মিলিয়ে দেওয়ায় সাফল্যের হার ৮০ শতাংশের বেশি। যে কোনও নামী সেফোলোজিস্ট বা রিসার্চ সংস্থার কাছেও ঈর্ষা করার মতো পরিসংখ্যান। ২০১৪ ও ২০১৯ সালে দেশজুড়ে ৭০ আসনের গণ্ডি পেরবে না কংগ্রেস। সাট্টা বাজারের এই পূর্বাভাস মিলে গিয়েছিল। হালফিল উত্তরপ্রদেশ, কর্নাটক, ছত্তিশগড়ের বিধানসভা ভোট নিয়েও নিখুঁত পূর্বাভাস দেয় সাট্টাবাজার।

তবে যে বুথ ফেরত সমীক্ষার মতই সাট্টা বাজারের পূর্বাভাস কখনও মেলে। কখনও মেলে না। আর এর কোনও বৈজ্ঞানিক ভিত্তিও নেই। এটা কোনওভাবেই কোনও জনমত সমীক্ষা নয়। এবং এর সঙ্গে টিভি নাইন বাংলারও কোনও সম্পর্ক নেই। সাট্টা বাজার বলছে নরেন্দ্র মোদী ও বিজেপির পক্ষে পাল্লা ভারি। বিজেপি একাই ২৭২ আসনের গন্ডি পার করবে। এর পক্ষে বাজির দর ১ টাকায় ১ টাকা ১৫ পয়সা। এনডিএ ২৭২ আসন পেরোলে ১ টাকায় মিলবে ১ টাকা ৭ পয়সা। আর কংগ্রেস একা ২৭২ আসন পেরোলে? এই বাজিতে এখন ১ টাকা লাগালে মিলবে ৩ টাকা ২৫ পয়সা। ইন্ডিয়া জোট ২৭২ আসন পেরোলে সাট্টার দর ১ টাকায় ২ টাকা ৩০ পয়সা। মানে কংগ্রেস বা ইন্ডিয়া জোটের তুলনায় বিজেপি বা এনডিএ-র ক্ষমতায় ফেরার সম্ভাবনা অনেকটাই বেশি। ৬টি সাট্টা বাজারের মধ্যে বাজির দরে খুব একটা পার্থক্যও কিন্তু নেই। বড়জোর উনিশ- বিশ বলা যেতে পারে। সাট্টা বাজারে যেমন সামগ্রিকভাবে সারা দেশে ভোটের ফলাফলের পূর্বাভাস পাওয়া যায়। তেমনই এখানে রাজ্যভিত্তিক রেজাল্ট নিয়েও বাজি ধরা চলে। হাই প্রোফাইল ক্যান্ডিডেটদের ওপর বাজি ধরাও বেশ পুরনো একটা ট্রেন্ড। এনিয়ে কিছু পয়েন্টও আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করতেই হচ্ছে। এক, বাজির দরে বেশ কয়েকজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কপালের ভাঁজ চওড়া হওয়ার কথা। মানে তাঁদের হারের পূর্বাভাস। দুই, উত্তরপ্রদেশে বিজেপি ৭০-এর বেশি সিট পাবে। এমন সম্ভাবনার কথাও বলা হচ্ছে। আরেকটা তথ্যও খুব ইন্টারেস্টিং। সেটা হল মোদী ফ্যাক্টর। নরেন্দ্র মোদীকে নিয়ে কমবেশি ১০ থেকে ১২ ধরনের বাজি ধরা চলছে। যেমন ধরুন প্রধানমন্ত্রী কত ভোটে জিতবেন? তাঁর মার্জিন বাড়বে না কমবে? ইত্যাদি, ইত্যাদি। এখানেও কেউ তাঁর ধারেকাছে নেই।

সাট্টা বাজারের এবার শেয়ার বাজার। মে মাসে এখনও পর্যন্ত সেনসেক্স পড়েছে প্রায় ১৮০০ পয়েন্ট। নিফটিও প্রায় ৫৫০ পয়েন্ট পড়েছে। গত বৃহস্পতিবার একদিনে মুম্বই স্টক এক্সচেঞ্জ সূচক প্রায় ১১০০ পয়েন্ট পড়ে যায়। নিফটি পড়ে যায় প্রায় ৩৭০ পয়েন্ট। বাজারে পতনের এই কারণ কী।

নিফটি এখনও ২২ হাজারের ওপরে। সেনসেক্স ৭৩ হাজারের ওপরে। এটা কিন্তু বাজারের বাস্তব অবস্থা নয়। অ্যাগ্রেসিভ বাইংয়ের ফলে সূচকের যেখানে থাকা উচিত ছিল। সূচক তার চেয়ে বেশি ওপরে চলে গেছে। ফলে লগ্নিকারীদের একটা অংশ সাবধানী হয়ে হাতে থাকা শেয়ার বেচে দিচ্ছেন। দাম আগামীদিনে আরও বাড়বে। সেই আশায় বসে থেকে রিস্ক নিচ্ছেন না। ফলে বাজারে একটা ন্যাচারাল কারেকশন আসছে। তাই ইনডেক্স পড়ছে। তবে এটাই কিন্তু সব নয়। নির্বাচনের ফল কী হবে। তা নিয়ে দোলাচলে রয়েছেন লগ্নিকারীদের একাংশ। কয়েকদিন আগেই প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং অভিযোগ করেন দেশের প্রথম সারির দুই শিল্পপতির সঙ্গে কংগ্রেসের আঁতাত হয়েছে। তাঁরা টেম্পোয় করে টাকা নিয়ে গিয়ে কংগ্রেসকে দিয়ে আসছেন। মানে এতদিন রাহুল গান্ধী যে অভিযোগে নরেন্দ্র মোদীকে বিঁধতেন। এখন সেই একই অভিযোগে রাহুলকে কাঠগড়ায় তুলছেন মোদী। যে কেউ বলবেন প্রধানমন্ত্রীর মুখে এই অভিযোগ খুবই আনএক্সপেক্টেড। এক্সপার্টরা বলছেন এ মন্তব্যের প্রভাব পড়েছে বাজারে। প্রধানমন্ত্রীর কথা শুনে বাজার কিছুটা হলেও আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়ে। যা শেয়ার সূচককে একধাক্কায় অনেকটা টেনে নামিয়ে দেয়। ভোটের হার কেন কম হচ্ছে এনিয়েও বিনিয়োগকারীদের মনে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। এসবের জেরে গতকাল চতুর্থ দফার ভোটগ্রহণের দিনও সেনসেক্স একসময় প্রায় ৮০০ পয়েন্ট পড়ে যায়।

প্রায় এগুলোই প্রশ্ন আকারে সাজিয়ে অমিত শাহের সামনে রাখা হয়েছিল। তিনি উত্তর দিয়েছেন কেন্দ্রে স্থায়ী সরকার থাকলে শেয়ার সূচক বাড়ে। বিজেপি ৪০০-র বেশি আসন পাবে। শক্তিশালী মোদী সরকার তৈরি হবে। তাই লগ্নিকারীরা এখনই বেশি করে শেয়ার কিনুন। ৪ঠা জুন ভোটের ফল প্রকাশের দিন শেয়ার বাজারের বিপুল উত্থান হবে। দেখুন আমি যেটা বলব। এইনিয়ে কোনও সন্দেহ নেই যে শেয়ার বাজার স্টেবল গর্ভনমেন্ট পছন্দ করে। উল্টোদিকে আবার এটাও সত্যি যে ২০০৮ সালের বিশ্বজোড়া আর্থিক মন্দার পর ধাক্কা সামলে আবার উঠে দাঁড়ায় ভারতের শেয়ার বাজার। মনমোহন সিং তখন কোয়ালিশন গর্ভনমেন্টই চালাতেন। আর সেই কোয়ালিশন গর্ভনমেন্টের আমলে গ্রোথ রেটও বেশ ওপরের দিকেই ছিল। লগ্নিকারীদের এখন কী করা উচিত। অমিত শাহের কথা শুনে বিশেষজ্ঞরা বলছেন এপ্রিলের ইনফ্লেশন ডেটা কী আসে দেখুন। সমস্ত বড় কোম্পানির গত আর্থিক বছরের ব্যালান্স শিট সামনে আসতে দিন। আর ভোটের ফলের জন্য অপেক্ষা করুন। তারপরই একলপ্তে মোটা টাকা বিনিয়োগ করা ভালো। কারণ ৪ জুন পর্যন্ত মার্কেটে একটা অস্থিরতা চলবেই। তার আগে বাজারের প্রতিটা পতনে অল্প অল্প করে লগ্নি করা যেতে পারে। ফলে এটা পরিষ্কার যে ভোটের ফল বেরোনর পরে মধ্য এবং দীর্ঘমেয়াদে বাজার চাঙ্গা থাকবে বলেই মনে করছেন এক্সপার্টরা।

Next Video