Panskura News: মনে হবে শ্যুটিং, আসলে চোর ধরা
জনপ্রতিনিধি হলে হতে গেলে বুদ্ধি লাগে এটাই পরিচিত বিষয়। সেই বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিলেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় পাঁশকুড়ার কাউন্সিলর। এমন ঘটনা শুনলেও, সাক্ষী না থাকলে যেন সিনেমা। কিন্তু সিনেমা নয় একেবারেই নজির ঘটনায় সাক্ষী রইল পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পাঁশকুড়া।
জনপ্রতিনিধি হলে হতে গেলে বুদ্ধি লাগে এটাই পরিচিত বিষয়। সেই বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিলেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় পাঁশকুড়ার কাউন্সিলর। এমন ঘটনা শুনলেও, সাক্ষী না থাকলে যেন সিনেমা। কিন্তু সিনেমা নয় একেবারেই নজির ঘটনায় সাক্ষী রইল পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পাঁশকুড়া।
যেটা পুলিশ করতে অক্ষম থাকলেও, বুদ্ধিমত্তার সৌজন্যে চোরকে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দিল এলাকার জনপ্রতিনিধি তথা কাউন্সিলর। চোর ধরতে কাউন্সিলরের এমন বুদ্ধিমত্তায় খুশি এলাকার বাসিন্দা থেকে জেলা পুলিশের আধিকারিকেরা। অভিযুক্ত চোরকে ধরে মারধর না করেও, আইনকে মান্যতা দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দিল খোদ কাউন্সিলার। চোর ধরতে কাউন্সিলরের এই বুদ্ধিমত্তায় হতবাক খোদ পুলিশ আধিকারিকেরা। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পাঁশকুড়া থানায় ৬ নং জাতীয় সড়কের এলাকায়।
ঘটনার সূত্রপাত, সাম্প্রতিক কয়েক মাস ধরে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পাঁশকুড়ার বিভিন্ন এলাকায় চুরি ছিনতাইকারীদের দাপট বাড় ছিল। জাতীয় সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা গাড়ির ব্যাটারি চুরি যাচ্ছিল। এমনকি পাঁশকুড়া পুরসভা ৪ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শেখ সমিরুদ্দিন গাড়ির ব্যবসা রয়েছে। ব্যবসায় কারণে একাধিক গাড়ি জাতীয় সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে রয়েছে থাকে। সেই গাড়ি থেকে দিনের পর দিন চুরি যাচ্ছিল ব্যাটারী। আর পুলিশকে এমন অভিযোগ জানিও কোন লাভ হচ্ছিল না। কাউন্সিলারের গাড়ির ব্যাটারি নয় একাধিক গাড়ি থেকে ব্যাটারি চুরি যাচ্ছিল। বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা একটি গাড়ি ব্যাটারি চুরি করতে রাতে ধরা পড়ে অভিযুক্ত এক যুবক। কাউন্সিলর দলবল নিয়ে অভিযুক্ত যুবককে ধরতে গেলে পাশের বিরাট হোগলা জঙ্গলে ঢুকে পরে যুবক। তৎক্ষণাৎ পাঁশকুড়া থানার পুলিশকে খবর দেন তারা। পুলিশ আসার আগে চোরকে ধরতে তৎপর খোদ কাউন্সিলর সহ দলবল। জঙ্গলে চারপাশে লোকজনকে দাঁড় করিয়ে রেখে আগুন লাগিয়ে দেয়। এদিকে আগুন নেওয়ার জন্য দমকলকে খবর পাঠিয়ে দেয়। আগুন লাগানোর কিছুক্ষণ মধ্যে জঙ্গল থেকে বেরিয়ে এসে চোর। অভিযুক্ত যুবককে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে জানায় ওই যুবক শেখ ফারুক। তার বাড়ী পাঁশকুড়া ২ নং ওয়ার্ড়ে কনকপুরে বাসিন্দা। তারপরে দমকল দিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়৷ কাউন্সিলর এই বুদ্ধিমত্তায় খুশি এলাকার বাসিন্দারা। এরপর ওই যুবককে আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।
পাঁশকুড়া ৪ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শেখ সামিরদ্দিন বলেন, ” প্রায় দু মাস ধরে পাঁশকুড়া বিভিন্ন এলাকায় নেশখোরদের দাপট বাড়ছিল। এরপরে পাঁশকুড়ার বিভিন্ন এলাকায় চুরি-ডাকাতি বেড়েই চলেছিল। আজ সকালে চুরি করতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়ে। ধরতে গেলে অভিযুক্তরা হোগলা জঙ্গলে ঢুকে পড়ে। এরপর অভিযুক্তদের ধরতে হোগলা জঙ্গলে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। তখনই বেরিয়ে আসে। পুলিশ প্রশাসনকে অনুরোধ করবো অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি সাজা দেওয়ার জন্য। ঘটনার সঙ্গে যুক্ত বাকিদের গ্রেফতার করার জন্য। তা না হলে আগামী দিনে আরো হয়তো বড়সড়ো ঘটনা ঘটতে পারে “।
পাঁশকুড়া থানার এক পুলিশ আধিকারিক বলেন ” অভিয়ুক্ত যুবককে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। পুরো ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে “।