Dark Tourism: ভ্রমণ ও অ্যাডভেঞ্চারের নেশায় বাড়ছে ডার্ক ট্যুরিজমের চাহিদা
ভারতে এই ধরনের ট্রিপকে ‘ভূতুড়ে জায়গা’ বা ‘ঐতিহাসিক স্থান’-এ ভ্রমণ বলা হয়। কিন্তু পাশ্চাত্যের দেশগুলোয় ব্যাপক চাহিদা ডার্ক ট্যুরিজমের। এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে,আমেরিকার ৮০% মানুষ ডার্ক ট্যুরিজম সাইটে বেড়াতে যেতে ভালবাসে
ভ্রমণ ও অ্যাডভেঞ্চারের নেশায় বাড়ছে ডার্ক ট্যুরিজমের চাহিদা। কোনও প্রাকৃতিক দুর্যোগ কিংবা রাজনীতির কারণে যুদ্ধবিধ্বস্ত অঞ্চলে,এই ধরনের ট্যুর-এর বন্দোবস্ত করা হয়। যদিও ভারতে এই ধরনের ট্রিপকে ‘ভূতুড়ে জায়গা’ বা ‘ঐতিহাসিক স্থান’-এ ভ্রমণ বলা হয়। কিন্তু পাশ্চাত্যের দেশগুলোয় ব্যাপক চাহিদা ডার্ক ট্যুরিজমের। এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে,আমেরিকার ৮০% মানুষ ডার্ক ট্যুরিজম সাইটে বেড়াতে যেতে ভালবাসে। আমেরিকাবাসী জীবনে অন্তত একবার এই ডার্ক ট্যুরিজম সাইটে বেড়াতে যেতে চায়। এই ডার্ক ট্যুরিজম থেকে বিশ্বজুড়ে ট্যুরিজম সেক্টরের আয় ৩০ বিলিয়ন ডলার। যে স্থান অতীতে ভয়াবহ কোনও ঘটনার সাক্ষী থেকেছে,সেই স্থানের প্রতি মানুষের আগ্রহ বেশি। ৩০ % আমেরিকান পর্যটক ইউক্রেনের চেরনোবিল বেড়াতে যেতে চান। ইউক্রেনের চেরনোবিল হল সেই জায়গা,যা পারমাণবিক বিপর্যয়ের ফলে নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। ১৯৯৬ সালে ‘ডার্ক ট্যুরিজম’ ধারণার প্রচলন করেন দুই অধ্যাপক জন লেনন এবং ম্যালকম ফোলি। তাঁদের লেখা ‘ডার্ক ট্যুরিজম’ বই য়ে উল্লেখ রয়েছে উত্তর ও দক্ষিণ ইউরোপের বিভিন্ন ডার্ক ট্যুরিজম সাইট সম্পর্কে। নিউ ইয়র্কের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার থেকে শুরু করে সেখানে জায়গা করে নিয়েছে জাপানের হিরোশিমা। ভারতে যদিও ডার্ক ট্যুরিজমের খুব বেশি চাহিদা নেই। বরং ভারতে মানুষ বেড়াতে যেতে ভালবাসেন ঐতিহাসিক স্থানে। ভারতীয়রা এমন জায়গা বেছে নেন, যেখানে গেলে পাওয়া যায় গা-ছমছমে অনুভূতি হয়। ভারতের ‘ডার্ক ট্যুরিজম সাইট’গুলো পর্যটকদের মধ্যে বেশ জনপ্রিয়। অমৃতসরের জালিয়ানওয়ালা বাগ,আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের সেলুলার জেল,গুজরাতের ভুজ ইত্যাদি জনপ্রিয়।‘ডার্ক ট্যুরিজম’ না হলেও আপনি অ্যাডভেঞ্চারের খোঁজে ভারতের এই জায়গাগুলো ঘুরে আসতে পারেন।