Alipurduar News: খাম খুলতেই হতবাক!
খাম খুলতেই হকচকিয়ে গেলেন উপস্থিত আলিপুরদুয়ার জেলা পরিষদের সদস্যরা । সভাধিপতি হিসেবে নাম উঠে এল স্নিগ্ধা শৈবর।আর সহকারী সভাধিপতি মনোরঞ্জন দে'র।স্বাভাবিক ভাবেই ওই পদে এই দুজনের নাম আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলোনা।
খাম খুলতেই হকচকিয়ে গেলেন উপস্থিত আলিপুরদুয়ার জেলা পরিষদের সদস্যরা । সভাধিপতি হিসেবে নাম উঠে এল স্নিগ্ধা শৈবর।আর সহকারী সভাধিপতি মনোরঞ্জন দে’র।স্বাভাবিক ভাবেই ওই পদে এই দুজনের নাম আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলোনা। আলিপুরদুয়ার জেলা পরিষদে সভাধিপতি ও সহকারী সভাধিপতি হিসেবে একাধিক নাম উঠে এসেছিল।কিন্তু সেই নাম গুলি নিমেষে উবে গিয়ে সভাধিপতি হলেন স্নিগ্ধা শৈব।আর সহকারী সভাধিপতি হলেন মনোরঞ্জন দে। সহকারী সভাধিপতি হিসেবে নাম উঠে এসেছিল অনুপ দাসের।তিনি এর আগে আলিপুরদুয়ার ২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ছিলেন।এদিন বোর্ড গঠন কমপ্লিট না হতেই ঘর থেকে বেরিয়ে যান অনুপ দাস।জেলা পরিষদ সদস্য অনুপ দাস বলেন দল যা সিদ্ধান্ত নিয়েছে।তাই করেছে।সামনে লোকসভা ভোট।আমি এ নিয়ে ২৭ তারিখ বলব।তাঁর ক্ষোভ যে রয়েছে তা তাঁর কথাতেই পরিষ্কার।যদিও আলোচনায় তার নাম উঠে এসেছিল সহকারী সভাধিপতি হিসেবে।দলনেত্রী তার শীলমোহর দেননি।তাই কিছুটা হলেও ক্ষুদ্ধ অনুপ। তিনি যা বলার ২৭ তারিখে বলবেন। এদিকে সভাধিপতি হিসেবে নতুন মুখ স্নিগ্ধা শৈব।তিনি স্কুল শিক্ষিকা।তাঁর সাফ কথা তাঁর উপর দল ভরসা করেছে।তিনি সকল কে নিয়ে কাজ করতে চান। তৃনমূলের আলিপুরদুয়ার জেলা সভাপতি প্রকাশ চিক বড়াইক বলেন,আজ সকাল ১০ টা পর্যন্ত আমি জানতে পারিনি সভাধিপতি কে হচ্ছেন।যা করেছেন দলনেত্রী মমতা ব্যানার্জী। আর দলীয় গাইড লাইন কেউ ভায়োলেট করেনি।এ ক্ষেত্রেও হবেনা। সহকারী সভাধিপতি পদ নিয়ে দলে কোন্দল দেখা দিতে পারে বলে আশংকা রয়েছে।এ নিয়ে যদিও নেতৃত্ব স্পিকটি নট।দলনেত্রী তথা দলের সুপ্রিমো মমতা ব্যানার্জীর কোর্টে বল ঠেলে দিয়ে গোষ্ঠীকোন্দল ঠেকাতে মরীয়া জেলা সভাপতি প্রকাশ চিক বড়াইক। আলিপুরদুয়ার জেলা পরিষদে ১৮ টি আসন।এবার নির্বাচনে ১৮ টি আসনই দখল করে শাসক দল তৃনমূল কংগ্রেস।বিরোধীকে খাতা খুলতে দেয়নি শাসকদল।