Sam Altman: চ্যাটজিপিটি নিয়ে বাড়াবাড়ি করতে বারণ করছেন কেন CEO স্যাম অল্টম্যান?
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) জগতে সবচেয়ে পরিচিত মুখ স্যাম অল্টম্যান। ওপেনএআই-এর সিইও কয়েকদিন আগেই বলেছেন, চ্যাট শেষ হলে এআই মডেলকে ‘থ্যাঙ্ক ইউ’ না বলে সরাসরি লগ অফ করুন। তাঁর যুক্তি, এই সৌজন্যমূলক বিনিময়ও বিদ্যুৎ খরচ বাড়ায়, ফলে পরিবেশের ওপর চাপ বাড়ে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই মন্তব্যের পেছনে রয়েছে ভবিষ্যতের এক বড় বিপদের ইঙ্গিত। এআই শুধু চাকরির বাজারে […]
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) জগতে সবচেয়ে পরিচিত মুখ স্যাম অল্টম্যান। ওপেনএআই-এর সিইও কয়েকদিন আগেই বলেছেন, চ্যাট শেষ হলে এআই মডেলকে ‘থ্যাঙ্ক ইউ’ না বলে সরাসরি লগ অফ করুন। তাঁর যুক্তি, এই সৌজন্যমূলক বিনিময়ও বিদ্যুৎ খরচ বাড়ায়, ফলে পরিবেশের ওপর চাপ বাড়ে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই মন্তব্যের পেছনে রয়েছে ভবিষ্যতের এক বড় বিপদের ইঙ্গিত। এআই শুধু চাকরির বাজারে প্রভাব ফেলছে না, বরং জলবায়ু পরিবর্তন ও সম্পদ সংকটেরও কারণ হয়ে উঠছে। প্রতিটি এআই সার্চ গুগল সার্চের তুলনায় অন্তত ১০ গুণ বেশি বিদ্যুৎ খরচ করে। বর্তমানে শুধু চ্যাটজিপিটিতেই প্রতিদিন প্রায় ১০০ কোটি রিকোয়েস্ট জমা পড়ে, সপ্তাহে ব্যবহারকারী সংখ্যা ৩০ কোটির বেশি।
এআই সার্ভারের জন্য প্রয়োজন বিপুল বিদ্যুৎ, যার ফলে বছরে প্রায় ৩০০ টন বাড়তি কার্বন-ডাই-অক্সাইড নিঃসৃত হচ্ছে। ২০২৭ সালের মধ্যে বিশ্বে ৪০ শতাংশ ডেটা সেন্টার বিদ্যুতের ঘাটতিতে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা। গবেষণা বলছে, চ্যাটজিপিটি-৩ এর কার্বন নিঃসরণ নিউইয়র্ক থেকে সান ফ্রান্সিসকো পর্যন্ত ৫৫০ বার বিমানযাত্রার সমান। একটি স্ট্যান্ডার্ড এআই মডেলের বিদ্যুৎ খরচের কারণে সৃষ্ট দূষণ একটি গাড়ির সারাজীবনের কার্বন ফুটপ্রিন্টের চেয়ে পাঁচ গুণ বেশি।
শুধু বিদ্যুৎ নয়, এআই ডেটা সেন্টার ঠাণ্ডা রাখতে দরকার প্রচুর মিষ্টি জল। ব্যবহৃত এই জল দ্বিতীয়বার কাজে লাগানো যায় না। উদাহরণস্বরূপ, আমেরিকায় গুগলের একটি ডেটা সেন্টারে খরচ হয়েছে ১৬ বিলিয়ন লিটার মিষ্টি জল, আর মাইক্রোসফট যে পরিমাণ জল ব্যবহার করে, তা দিয়ে একটি পরমাণু চুল্লি ঠাণ্ডা রাখা সম্ভব।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এআই বিপ্লবের আলোচনায় দূষণ ও জলসংকটের বিষয়টি এখনও পর্যাপ্ত গুরুত্ব পাচ্ছে না। অল্টম্যানের ‘নো থ্যাঙ্ক ইউ’ পরামর্শ আসলে সেই পরিবেশগত সতর্কবার্তারই অংশ।

