চলন্ত ট্রেনে চড়তে গিয়ে অনেকসময়েই বিপজ্জনক অবস্থায় পড়েন যাত্রীরা। এভাবে অনেক দুর্ঘটনাও ঘটেছে এর আগে। সেইসব ঘটনার বেশ কিছু ভিডিয়োও ভাইরাল (Viral Video) হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেই রকমই একটি ভিডিয়ো ফের ভাইরাল হয়েছে ইনস্টাগ্রামে (Instagram)। সেখানে দেখা গিয়েছে, চলন্ত ট্রেনে উঠতে গিয়ে বেসামাল হয়ে গিয়েছেন এক যাত্রী। ট্রেন আর প্ল্যাটফর্মের মধ্যে যতটুকু ফাঁকা থাকে, সেই অংশে পড়ে আটকে গিয়েছেন তিনি। এদিকে তখন গতি নিয়েছে ট্রেন। ফলে কার্যত ট্রেনের সঙ্গেই ছেঁচড়ে কিছুটা চলে গিয়েছেন ওই যাত্রী। কপাল ভাল যে যাত্রীকে পড়ে যেতে দেখে ট্রেনের ভিতর থেকেই এক যাত্রী গেটের কাছে এসে কোনওরকমে তার হাত ধরে নিয়েছিলেন। এদিকে ওইভাবে যাত্রীকে ট্রেনের দরজার কাছে পড়ে গিয়ে আটকে থাকা অবস্থায় দেখতে পান প্ল্যাটফর্মে থাকা রেল পুলিশের হেড কনস্টেবল। ছুটে যান তিনি। ততক্ষণে গতি কমানো শুরু করেছে ট্রেন। কোনওমতে ওই যাত্রীকে উদ্ধার করে প্ল্যাটফর্মে নিয়ে আসেন ওই পুলিশকর্মী।
দেখুন সেই ভাইরাল ভিডিয়ো
জানা গিয়েছে, এই ঘটনা ঘটেছে পাঞ্জাবের পাতিয়ালা স্টেশনে। আরপিএফের ওই হেড কনস্টেবল রঘুবীর সিং এবং ট্রেনের ভিতরে থাকা এক যাত্রীর সাহায্যেই এ যাত্রায় মারাত্মক ঘটনার হাত থেকে রেহাই পেয়েছেন এই যাত্রী। মৃত্যুকে ছুঁয়ে ফিরে এসেছেন তিনি। কারণ ট্রেনের গতি যদি না কমত তাহলে প্ল্যাটফর্ম ছাড়ার পরেই সরাসরি ট্রেনের চাকার তলায় চলে যেতেন ওই যাত্রী। আর তারপর যে কী ভয়ঙ্কর এবং মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটত তা আন্দাজ করেই শিউরে উঠছেন নেটিজ়েনরা। ইনস্টাগ্রামে এই ভাইরাল ভিডিয়ো শেয়ার করা হয়েছে জনপ্রিয় পেজ ভাইরাল ভয়ানি- র তরফে। ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে কোনও কিছু না ভেবে ওই যাত্রীজে বাঁচাতে ছুটে এসেছিলেন আরিপিএফের হেড কনস্টেবল রঘুবীর সিং। লক্ষ্য ছিল একটাই, যাই হোক না কেন ওই যাত্রীকে উদ্ধার করতেই হবে। সফলও হয়েছেন ওই সাহসী পুলিশকর্মী। তাঁর সাহসিকতাকে কুর্নিশ জানিয়েছে নেট দুনিয়া। সবাই তাঁর কাজে মুগ্ধ। প্রশংসা করছেন নেটিজ়েনদের সকলেই।
তবে যে যাত্রী ওভাবে চলন্ত ট্রেনে লাফ দিয়ে উঠতে যাচ্ছিলেন, তাঁকে তুলোধনা করতে পিছপা হননি নেটিজ়েনরা। সকলেই একটাই কথায়, এত দুর্ঘটনা দেখার পরেও কিছু মানুষের শিক্ষা হয় না। হাজার বারণ সত্ত্বেও চলন্ত ট্রেনেই উঠতে হবে। হাতে একটু সময় নিয়ে স্টেশনে এলেই হয়। কিন্তু তা না করে নিজেদের সমস্ত নিরাপত্তা জলাঞ্জলি দিয়ে এসব ‘হিরোগিরি’ দেখাতে গিয়েই ঘটে যায় মারাত্মক অঘটন। চোখের নিমেষে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির শিকার হন অনেকে। আর তাঁদের এমন অবিবেচকের মতো কাজই সব সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়ায়।