সোশ্যাল মিডিয়ার দরুণ আজকাল আমরা অনেক ধরণের ভিডিয়োই দেখতে পাই। তার মধ্যে এমন অনেক ভিডিয়োই পশু পাখিকে কেন্দ্র করে থাকে। সেরকম কিছু ভিডিয়োই আবারও ভাইরাল হল সোশ্যাল মিডিয়ায়। কিন্তু এখানে বিষয়টা একটু অন্যরকম। আমরা সাধারণত গৃহস্থ পশু পাখির ভিডিয়ো দেখি। কিন্তু এবার ভাইরাল হয়েছে কয়েকটি বন্য পশুর ভিডিয়ো।
৬ টি সিংহের ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। যেখানে দেখা যাচ্ছে, দুটি সিংহ একটি হরিণের জন্য লড়াই করছে। অন্যদিকে, একটা সিংহ গাছের ওপর বসে আছে। কিছুক্ষণ পর আরও তিনটে সিংহ যোগ দেয় সেই দলে। অর্থাৎ ছয়টি সিংহের একটাই খাদ্য মৃত হরিণ, তাই লড়াই করতে হবে।
দেখুন সেই ভাইরাল ভিডিয়ো…
एक शिकार, कई हकदार !!
The way of the Wild. #SMForward #Nature #Wildlife @susantananda3 pic.twitter.com/pYhm1HoY28— Saket Badola (@Saket_Badola) August 20, 2021
আমাদের দেশের আইএফএস বিভাগের অফিসাররা ট্যুইটারে বেশ সক্রিয় এবং নিয়মিত জনগণকে সচেতন করার উদ্দেশ্যে একাধিক পোস্ট শেয়ার করেন। এবারও একই ঘটনা ঘটেছে। বন্য পশুদের এই ভিডিয়োটি ট্যুইটারে শেয়ার করেছেন একজন বনদপ্তরের অফিসার, যাঁর নাম সকেত বদলা। তিনি ভিডিয়োটির মধ্যে রয়েছে একটি বার্তা প্রেরণ করার চেষ্টা করেছেন। ভিডিয়োটির মাধ্যমে তিনি জনসাধারণকে বোঝানোর চেষ্টা করেছেন যে আপনি যদি জঙ্গলে টিকে থাকতে চান, তাহলে আপনাকে আপনার খাবারের উপর আপনার অধিকার দাবি করতে হবে, অন্যথায় অন্য কেউ এটি ছিনিয়ে নিয়ে যাবে।
৪৫ সেকেন্ডের এই ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে যে, অনেকগুলি সিংহ গাছে উঠে একটি মাত্র মৃত হরিণকে খাওয়ার চেষ্টা করছে। প্রথমে একটি থেকে ধীরে ধীরে মোট ৬টি সিংহ মৃত হরিণকে খাওয়ার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করছে। যেখানে একটি সিংহ হরিণের ঘাড় ধরে আছে, অন্যটি নীচ থেকে মৃত দেহটিকে টেনে নিয়ে যাচ্ছে এবং তারপর আরেকটি সিংহ মাঝখান থেকে লাশটি ধরার চেষ্টা করে। কেউ শিকারকে ছেড়ে দিতে চায় না এবং এই ঘটনায় একাধিক সিংহ ওত পেতে বসে আছে শিকার করা মৃত হরিণকে খাওয়ার জন্য।
ভিডিয়ো শেয়ার করার পাশাপাশি সাকেত এমন এক ক্যাপশন দিয়েছেন যে তা বেশ নজর কেড়েছে ট্যুইটার ব্যবহারকারীদের। মাত্র চারটি কথায় তিনি সমগ্র ভিডিয়োটি ব্যাখ্যা করেছেন। তিনি হিন্দি ভাষায় লিখেছেন যে, “এক শিকার, কাহি হাকদার”… এর সাথে তিনি এটাও লিখেছেন যে, বনে এভাবেই ঘটে।
যদিও ভিডিয়োটি কোন অভ্যয়রণের দৃশ্য তা জানা যায়নি। কিন্তু ধারনা করা হচ্ছে যে ভিডিয়োটি আফ্রিকার একটি জঙ্গল সাফারির। কারণ এতে যে সিংহ গুলি দেখা যাচ্ছে তা আফ্রিকার। যারা ভিডিয়োটি রেকর্ড করেছে তাদেরও কণ্ঠস্বর শোনা যাচ্ছে পেছন থেকে।