ফুচকা (Fuchka) নিয়ে শুধু বাঙালি নয় ভারতবাসীর মধ্যেই একটা আবেগ রয়েছে। রাজ্য হিসেবে এই খাবারের নাম পরিবর্তন হলেও ফুচকা হোক গোলগাপ্পা কিংবা পানিপুরি (Golgappa And Panipuri)— নাম শুনলে জিভে জল আসে না এমন লোকের সংখ্যা নেহাতই হাতে গোনা। আর এই জিভে জল আনা ফুচকা নিয়েই এবার এমন পরীক্ষা নিরীক্ষা হয়েছে যে একদম চমকে গিয়েছেন নেটিজ়েনরা। সোশ্যাল মিডিয়ায় সম্প্রতি ভাইরাল (Viral Video) হয়েছে চাউমিন ফুচকার (Chowmin Golgappa) ভিডিয়ো। শুনে ভাবছেন চাউমিন আর ফুচকা! এ আবার হয় নাকি… সত্যিই এমনটাই হয়েছে। শুধু চাউমিন নয়, তার সঙ্গে মিষ্টি চাটনি, টক দই আরও কত সব অদ্ভুত জিনিস একসঙ্গে পরিবেশন করা হয়েছে। এই ভাইরাল ভিডিয়ো দেখে নেটিজ়েনদের অনেকেই বলছেন, ‘এত ট্রমা নেওয়া সম্ভব নয়’। খাবারের নামে এমন প্রহসন এবার বন্ধ করার দাবিও জানিয়েছেন অনেকেই। জানা গিয়েছে, লখনৌ শহরে পাওয়া যাচ্ছে এই অদ্ভুত ‘চাউমিন গোলগাপ্পা’।
দেখে নিন ‘চাউমিন গোলগাপ্পা’ তৈরির ভাইরাল ভিডিয়ো (ভিডিয়ো সৌজন্যে ইনস্টাগ্রাম)
ইনস্টাগ্রামে এই ভিডিয়ো শেয়ার করেছে আরজে রোহন নামের এক ইনস্টাগ্রামার। সেখানে যে ব্যক্তি ভিডিয়োর ব্যাকগ্রাউন্ডে বর্ণনা দিচ্ছিলেন, তার কণ্ঠস্বর এবং অভিব্যক্তি শুনেই বোঝা গিয়েছে যে এই চাউমিন গোলগাপ্পা তাঁর ঠিক কতটা অপছন্দ হয়েছে। ভাইরাল হওয়া ভিডিয়োতে প্রথমে দেখা গিয়েছে, একটি পেল্টে সাজানো হয়েছে বেশ কয়েকটি ফুচকা। তার মধ্যে ভরা রয়েছে আল-ছোলার পুর। উপর থেকে অনেক রকমে মশলা ছড়াতে দেখা গিয়েছে দোকানদারকে। তার পর দেওয়া হয়েছে মিষ্টি চাটনি। এই পর্যন্ত ঠিকই ছিল। কিন্তু এরপরেই ঘটল এমন কাণ্ড, যার জন্য মোটেই প্রস্তুত ছিলেন না কেউই। হঠাৎ করেই ওই ফুচকাগুলোর উপর ছড়িয়ে দেওয়া চাউমিন। এখানেই শেষ নয়। রয়েছে আরও আজব পরীক্ষা নিরীক্ষা।
চাউমিনের উপর আবার ইয়োগার্ট দিয়েছেন ওই দোকানদার। তার উপর দেওয়া হয়েছে টুটি ফ্রুটি। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে ধনেপাতা, মিহি করে কাটা নারকেল এবং মিষ্টি চাটনি। পরিবেশনের আগে আবার পেল্টের পাশে লাল আর সবুজ চাটনি দিয়ে পরিবেশন করা হয়েছে এই চাউমিন গোলগাপ্পা। ইতিমধ্যেই ৪৪ হাজারের বেশি ভিউ হয়েছে এই ভিডিয়োর। প্রায় কেউই এই ভিডিয়োতে এমন অদ্ভুত খাবার দেখে চমকে গিয়েছেন প্রসন্ন হননি নেটিজ়েনদের কেউই। তির্যক মন্তব্যের পাল্লা ভারি হয়েছে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে। প্রায় প্রত্যেকেই বলেছেন ফুচকা বা গোলগাপ্পার মতো জনপ্রিয় খাবার নিয়ে এমন ছেলেখেলা পরীক্ষা নিরীক্ষা মোটেই করা উচিত হয়নি ওই দোকানদারের।