Viral Video: কুমির ও মোষের শ্বাসরুদ্ধকর লড়াই, নাক ধরে টান মারার চেষ্টা গেল বিফলে…
Viral Video Today: সদ্য ভাইরাল হওয়া ভিডিয়োতে দেখা গেল এক পাল মহিষ নদীতে জল খেতে এসেছিল। তাদের মধ্যেই একজনের মুখে কামড় বসায় কুমিরটি। এমনই ভাবে তার মুখের কাছে দাঁত বসিয়ে তা ধরে রাখে কুমিরটি যে মহিষের পক্ষে তা ছাড়ানো খুবই মুশকিলের হয়ে যায়।
Latest Viral Video: প্রাণীজগতের অনেক রকম ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় আমরা প্রতিদিন একপ্রকার নিয়ম করে দেখতে থাকি। তবে প্রাণীদের শক্তিপ্রদর্শন সবথেকে বেশি নজর কাড়ে, আর তার ভিডিয়োগুলিও বেশি ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেরকমই একটি ভিডিয়ো অনলাইনে ভাইরাল হয়েছে, যেখানে একটি কুমির এবং একটি মোষের মধ্যে অবিশ্বাস্য লড়াই দেখা গিয়েছে। কুমিরের কড়াল গ্রাস থেকে মহিষটি নিজেকে বাঁচানোর প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। জীবন সংগ্রামে লড়াই করার মানসিকতা থেকে কীভাবে ওই মহিষ বেঁচে ফিরেছে, সেই সব কিছুই ধরা পড়েছে এই ভিডিয়োতে।
প্রাণীদের ভিডিয়ো ইন্টারনেটে অনেকেই দেখে চোখ ফেরাতে পারেন না। কারণ, ভিডিয়োগুলিতে এমনই কিছু দেখানো হয়, যা জঙ্গল সাফারিতে গিয়েও মানুষের পক্ষে দেখা সম্ভব নয়। সদ্য ভাইরাল হওয়া ভিডিয়োতে দেখা গেল এক পাল মহিষ নদীতে জল খেতে এসেছিল। তাদের মধ্যেই একজনের মুখে কামড় বসায় কুমিরটি। এমনই ভাবে তার মুখের কাছে দাঁত বসিয়ে তা ধরে রাখে কুমিরটি যে মহিষের পক্ষে তা ছাড়ানো খুবই মুশকিলের হয়ে যায়।
View this post on Instagram
সঙ্গে ওই মহিষের পরিবারের আরও যে সব সদস্যরা ছিল, তাদেরও অসহায় পরিস্থিতি ফুটে উঠছিল ক্যামেরায়। তারা চাইছিল বন্ধুকে কুমিরের আক্রমণ থেকে বাঁচাতে। কিন্তু কিছুই করতে পারছিল না তারা। এরকমই একটা পরিস্থিতিতে কঠিন লড়াই চালিয়ে যাচ্ছিল মোষটি। কিন্তু সর্বাত্মক চেষ্টা করার পরেও যেন সে ছাড়াতে পারছিল না। বেশ কিছুক্ষণ ধরে এভাবে লড়াই চলার পর মোষটি নিজেকে ওই কুমিরের খপ্পর থেকে মুক্ত করতে সক্ষম হয়। কুমিরটি হার মানতে বাধ্য হয় এবং সেখান থেকে পালিয়ে যায়।
ব্যাপক ভাইরাল হয়েছে ভিডিয়োটি। নেটিজ়েনরা এই ভিডিয়ো দেখার পরে নিজেদের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। একজন লিখছেন, “এভাবে নাক ধরে মোষটিকে টানার চেষ্টা করছিল কুমিরটা?” দ্বিতীয় জন যোগ করলেন, “মোষটা যে ভাবে লড়াই করে গেল, তা সত্যিই দেখার মতো। অনেক কিছু শেখার আছে এখান থেকে।” তৃতীয় ব্যবহারকারীর বক্তব্য, “আসলে বেঁচে থাকার ইচ্ছেটাই হল এরকম। যতদূর সম্ভব ততদূর লড়াইটা চালিয়ে যেতে সাহায্য করে সেই অদম্য ইচ্ছে।”