Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

‘প্রতারক, মিথ্যাবাদী, বিশ্বাসঘাতককে নিয়ে কেন মাতামাতি?’ রাজীবকে কটাক্ষ অরূপের

"মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সুব্রত বক্সী বা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে তো উনি যাননি। সুতরাং, দল কাকে নেবে না নেবে দলের ব্যাপার। কিন্তু আমরা এই বেইমান, বিশ্বাসঘাতকদের, যারা কঠিন সময়ে মাকে ছেড়ে চলে যায় তাদের ক্ষমা করব না।

'প্রতারক, মিথ্যাবাদী, বিশ্বাসঘাতককে নিয়ে কেন মাতামাতি?' রাজীবকে কটাক্ষ অরূপের
ফাইল চিত্র
Follow Us:
| Updated on: Jun 14, 2021 | 7:23 PM

হাওড়া: বিজেপি (BJP) ছেড়ে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Rajib Banerjee) তৃণমূলে (TMC) ঘরওয়াপসি নিয়ে জল্পনা তৈরি হতেই দলের একাংশ বিরোধিতায় সরব হয়েছেন। প্রাক্তন মন্ত্রী তথা ডোমজুড়ের প্রাক্তন বিধায়ককে কটাক্ষ করেছেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার নাম না করে তাঁকে বিঁধলেন মন্ত্রী তথা হাওড়া সদর তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ারম্যান অরূপ রায় (Arup Roy)।

সোমবার নাম না করে এবার রাজীবকে ‘প্রতারক, মিথ্যাবাদী, বিশ্বাসঘাতক’ বলে তীব্র আক্রমণ করলেন অরূপ রায়। বলেন, “যিনি ক’দিন আগেই মুখ্যমন্ত্রীর নামে গালাগালি করেছেন, দলের (TMC) নামে গালাগাল করেছেন, আজকে উনি পায়ে ধরছেন। এঁদের লজ্জাও নেই!”

এদিন সাংবাদিকদের তিনি আরও বলেন, “প্রতারক, মিথ্যাবাদী, বিশ্বাসঘাতককে নিয়ে এত মাতামাতির দরকার নেই। মুখ্যমন্ত্রীর নামে অনেক কটুক্তি উনি করেছেন। তার প্রমাণ রয়েছে। নানা ধরণের মিথ্যা কথা উনি বলেছেন। এখন বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে পায়ে ধরছেন। এঁদের লজ্জাও নেই!”

রবিবার মন্ত্রী তথা তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মাতৃ বিয়োগের পর তাঁর বাড়িতে দেখা গিয়েছে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে। কুণাল ঘোষের পর পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে রাজীবের উপস্থিতিতে তাঁর দলবদলের জল্পনা আরও জোরাল হয়েছে। যদিও এই প্রেক্ষিতে মন্ত্রী অরূপ রায়ের মন্তব্য, “আজ যদি বিজেপি ক্ষমতায় আসত তাহলে কি উনি আমাদের দলে আসতেন? ওকে নিয়ে এতো মাতামাতি করার দরকার নেই। উনি কার কাছে গেছেন না গেছেন তাতে কিছু যায় আসে না।”

আরও পড়ুন: মুকুলকে ২৪ ঘণ্টা সময় দিলেন শুভেন্দু, বিধায়ক পদ না ছাড়লে কঠোর পদক্ষেপ

অরূপ আরও যোগ করেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সুব্রত বক্সী বা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে তো উনি যাননি। সুতরাং, দল কাকে নেবে না নেবে দলের ব্যাপার। কিন্তু আমরা এই বেইমান, বিশ্বাসঘাতকদের, যারা কঠিন সময়ে মাকে ছেড়ে চলে যায় তাদের ক্ষমা করব না। হাওড়ার লাখো লাখো কর্মী ক্ষমা করবে না।”