কলকাতা: প্রশাসনের শীর্ষ আধিকারিক সহ একাধিক সরকারি আধিকারিকদের সই জাল করে প্রথমে তৈরি করা হতো নকল স্যাম্প। এরপর সেই স্ট্যাম্পের সাহায্য নিয়ে অস্ত্র কেনা ও বিক্রির কারবার চলছিল দীর্ঘদিন ধরে। অবশেষে পুলিশের হাতে গ্রেফতার ছয়জন অপরাধী।
এদিকে, এই ঘটনার খবর দীর্ঘদিন ধরেই আসছিল পুলিশের কাছে। যার জেরে তৎপর ছিল তারাও। পাশাপাশি তৎপর হয় সিআইডি-র গোয়েন্দারা। সেই সূত্রে গতকাল রাতে বর্ধমান জেলার একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালানো হয়। তল্লাশি চালানোর পর ছয়জনকে গ্রেফতার করা হয়। জানা গিয়েছে, এদের মধ্যে দুজন হলেন নিরাপত্তারক্ষী। এই গোটা চক্রের কাছ থেকে পাঁচটি অস্ত্র মিলেছে। পাশাপাশি মিলল পাঁচটি ভুয়ো লাইসেন্স, ও ৩৬টি ভুয়ো স্ট্যাম্প পাওয়া গিয়েছে। এই সইজাল করে কারবারটি চলত।
জানা গিয়েছে, ওই চক্রের মূল পাণ্ডা হল নিরাপত্তারক্ষীরা। তাদের থেকেই জাল লাইসেন্স কিনে সেই লাইসেন্স দিয়ে অস্ত্র কেনা হয়েছিল। মোটা টাকার বিনিময়ে জেনেশুনেই তারা কেনে।
আপাতত, সিআইডি-র দাবি এই চক্রের সঙ্গে দুষ্কৃতী চক্রের সরাসরি কোনও প্রমাণ মেলেনি। তবে সেই সম্ভবনা উড়িয়েও দেওয়া যাচ্ছে না যেহেতু অস্ত্রের কারবার। সেই কারণে আজই এদের আদালতে তোলা হবে। নেওয়া হবে পুলিশি হেফাজতে। তারপর এদের জেরা করে দেখা হবে কে কে আর এই চক্রের সঙ্গে জড়িত। কোনও দুষ্কৃতী চক্র এর সঙ্গে জড়িত কিনা।
প্রসঙ্গত, এদিকে জেলা থেকেও মাদক পাচার করতে গিয়ে পুলিশের হাতে ধরা পড়েছে তিনজন। দীর্ঘদিন ধরে পাঁশকুড়ার (Panshkura) বুকে রমরমিয়ে চলছে গাঁজার (Ganja) কারবার। সেই নিয়ে বারবার অভিযোগ উঠেছে। এরপর ফের খবর পেয়ে অভিযানে নেমেছিল পাঁশকুড়া থানার পুলিশ । পরে একটি গাড়িসহ তিনজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতরা হলেন শেখ রফিকুল আলী (৩৪) বাপন মুন্সি (৩৫) এবং মঞ্জু পাল।
ধৃতদের কাছ থেকে পুলিশ জানতে পারে যে তারা ওড়িশা (Odia) হয়ে পাঁশকুড়া এবং পার্শ্ববর্তী হাওড়া শহরেও এই গাঁজা পাচার করাত। পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্তরা প্রথমে ধৃত মহিলাকে রোগী সাজিয়ে একটি প্রাইভেট গাড়িতে তুলত। সেই গাড়ির মধ্যেই থাকত নিষিদ্ধ মাদক। এইভাবেই পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে চলত এই গাঁজা কারবার। জানা গিয়েছে, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর হাওড়ার একাধিক এলাকায় গাঁজা রপ্তানি চলত।