Zero Enrolment in Schools: আসছে না নতুন পড়ুয়া, বাংলার প্রায় ৪ হাজার স্কুলে অপেক্ষায় ১৭ হাজার কর্মরত শিক্ষক
West Bengal Education Crisis: সেখানে ভর্তিশূন্য থেকেছে ৪৬৩টি স্কুল। তবে স্কুলে ছাত্রছাত্রী ভর্তি না হলেও এই শিক্ষাবর্ষে সেখানে কর্মরত ছিলেন একাধিক শিক্ষক। বাংলার ক্ষেত্রে এই সংখ্যা ১৭ হাজার ৯৬৫ জন। তেলেঙ্গানার ক্ষেত্রে ১ হাজার ১৬ জন এবং মধ্য প্রদেশের ক্ষেত্রে ২২৩ জন। যোগীরাজ্যে উত্তর প্রদেশেও এই রকম ৮১টি স্কুলের হদিশ পাওয়া গিয়েছে।

নয়াদিল্লি: শিক্ষক রয়েছেন ২০ হাজার, এদিকে এক বছরে ভর্তি শূন্য। ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে দেশের প্রায় আট হাজার স্কুলে কোনও ছাত্রছাত্রী ভর্তিই হয়নি, বলছে কেন্দ্রীয় রিপোর্ট। সম্প্রতি প্রকাশিত এই রিপোর্টে ভর্তিশূন্য সমস্ত স্কুলের নিরিখে ‘এগিয়ে বাংলা’। নয়াদিল্লি প্রদত্ত তথ্য অনুযায়ী, এ রাজ্য়ে ৩ হাজার ৮১২টি স্কুলে গত একবছরে নতুন করে কোনও পড়ুয়াই ভর্তি হয়নি। বাংলার পর এই তালিকায় রয়েছে তেলেঙ্গানা ও মধ্য প্রদেশ।
কী বলছে কেন্দ্রীয় রিপোর্ট?
গোটা দেশে ৭ হাজার ৯৯৩টি স্কুলে গত এক বছরে কেউ ভর্তি হয়নি। অবশ্য, এই রকম স্কুলের সংখ্য়া দেশে আগের বারের তুলনায় অনেকটাই কমেছে। কেন্দ্রীয় রিপোর্ট বলছে, গতবছর দেশজুড়ে এই রকম স্কুলের সংখ্য়া ছিল ১২ হাজার ৯৫৪টি। যা চলতি বছর ৫ হাজার কমে এসে ঠেকেছে ৭ হাজার ৯৯৩-এ।
এই ধরনের স্কুলের তালিকায় একেবারে শীর্ষে রয়েছে বাংলার নাম। তারপর রয়েছে তেলেঙ্গানা। সে রাজ্যে এক বছরে ভর্তিশূন্য থেকেছে ২ হাজার ২৪৫টি স্কুল। তৃতীয় স্থানে রয়েছে মধ্য প্রদেশ। সেখানে ভর্তিশূন্য থেকেছে ৪৬৩টি স্কুল। তবে স্কুলে ছাত্রছাত্রী ভর্তি না হলেও এই শিক্ষাবর্ষে সেখানে কর্মরত ছিলেন একাধিক শিক্ষক। বাংলার ক্ষেত্রে এই সংখ্যা ১৭ হাজার ৯৬৫ জন। তেলেঙ্গানার ক্ষেত্রে ১ হাজার ১৬ জন এবং মধ্য প্রদেশের ক্ষেত্রে ২২৩ জন। যোগীরাজ্যে উত্তর প্রদেশেও এই রকম ৮১টি স্কুলের হদিশ পাওয়া গিয়েছে।
এদিন সংবাদসংস্থা পিটিআই-কে কেন্দ্রীয় শিক্ষা দফতরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ‘স্কুলশিক্ষা রাজ্যের দায়িত্ব। রাজ্য সরকারগুলির আমরা পরামর্শ দেব, কেন এই রকম পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে তা খতিয়ে দেখুক এবং সেই নিরিখে পদক্ষেপ গ্রহণ করুক।’ বলে রাখা প্রয়োজন, হরিয়ানা, মহারাষ্ট্র, গোয়া, অসম, হিমাচল প্রদেশ, ছত্তীসগঢ়, নাগাল্যান্ড, সিকিম এবং ত্রিপুরায় এমন কোনও স্কুলের হদিশ পায়নি কেন্দ্রীয় মন্ত্রক। ভর্তিশূন্য স্কুলের হদিশ পাওয়া যায়নি কোনও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলেও।
