পূর্ব মেদিনীপুর: ইয়াস পরবর্তী পরিস্থিতি পরিদর্শনে গিয়ে অধিকারী গড় থেকেই নন্দীগ্রামের বিধায়ককে তুলোধনা করলেন যুব তৃণমূল সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এ দিন পূর্ব মেদিনীপুরের তাজপুর, রামনগর, মন্দারমনির মতো এলাকায় গিয়ে শুভেন্দুর পাশাপাশি তৃণমূল সাংসদ শিশির অধিকারীকেও নিশানায় নেন তিনি। যা নিয়ে পালটা বিঁধেছেন কাঁথির সাংসদও।
তৎকালীন সেচমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী এবং দিঘা উন্নয়ন পর্ষদের মাথায় থাকা শিশির অধিকারীর দিকেই কার্যত আঙুল তুলেছেন অভিষেক। বাঁধ নির্মাণের কাজে গোজামিলের অভিযোগ আগেই তুলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এ দিন অভিষেকের কণ্ঠেও শোনা গিয়েছে একই সুর। পাশাপাশি গতকাল তাঁকে ‘নাবালক’ বলে কটাক্ষ করেছিলেন শুভেন্দু। সেই আক্রমণ ফিরেয়ে দিয়ে এ দিন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদকে বলতে শোনা যায়, “নাবালককে তো টাকা নিতে দেখা যায়নি। সাবালককে টাকা নিতে দেখা গিয়েছে।”
অভিষেক আরও বলেন, “সাবালকের ব্যর্থতার দায়িত্ব তো সাবালককেই নিতে হবে। আর সাবালকের ব্যর্থতা তো নাবালককেই দেখতে হচ্ছে। ক্যামেরার সামনে তো সাবালককেই হাত বাড়িয়ে টাকা নিতে দেখা গিয়েছে। আমি সাবালককে বলব যে আপনি সাবালকত্বের প্রমাণ দিন আগে। আপনার সাবালকত্বের কী অবস্থা সেটা আপনার জেলার মানুষই দেখতে পাচ্ছে।”
আরও পড়ুন: একবার টেট পাশ করলেই আজীবনের বৈধতা, নয়া ঘোষণা শিক্ষামন্ত্রকের
অভিষেকে পালটা দিতে ছাড়েননি শিশির অধিকারীও। তিনি বলেছেন, “আমরা সবাই যদি দুর্নীতিগ্রস্ত হই তাহলে দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের বাকি বিধায়ক আর ভাইস চেয়ারম্যান সহ সরকারি আমলারা সে দিন সবাই ঘুমাচ্ছিলেন! অভিষেকের বাণী তো অমৃত সমান। ভোটে মানুষ সব জবাব দিয়ে দিয়েছে। শুভেন্দু দুর্নীতি করেছে বলেই তো মুখ্যমন্ত্রী ওর কাছে হেরে গিয়েছেন।” খোঁচা বর্ষীয়ান সাংসদের।
আরও পড়ুন: ৩ ঘণ্টার জন্য খুলবে রেস্তোরাঁ-পানশালা, শীঘ্রই খুলছে শপিং মলও! বণিক সভার বৈঠকে ছাড়পত্র মমতার