Alipurduar: বাবার কাছে মোবাইল আবদার, না পেয়েই রুমে ঢুকে দরজা বন্ধ করল কিশোরী, তারপর…
Alipurduar: নিজের রুমে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেয় সুনন্দিতা। তখন তার মা ডাকাডাকি করে। কিন্তু, মেয়ে দরজা খোলেনি। তখনই দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকে সুনন্দিতা ঝুলতে দেখেন সবাই।

আলিপুরদুয়ার: বাবার কাছে মোবাইল চেয়েছিল। কিন্তু, কিনে দেননি বাবা। মোবাইল না পেয়ে গলায় ওড়নার ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করল অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী। মৃত ছাত্রীর নাম সুনন্দিতা রায় কর্মকার। ঘটনাটি ঘটেছে আলিপুরদুয়ার জংশনের সাউথ জিৎপুর এলাকায়।
ওই ছাত্রী নেতাজি হাইস্কুলে অষ্টম শ্রেণিতে পড়ত। এদিন ঘর বন্ধ করে ওড়নার ফাঁস লাগিয়ে ওই ছাত্রী আত্মহত্যা করে। ডাকাডাকি করলেও সাড়া না দেওয়ায় বাড়ির লোকজন দরজা ভেঙে ভেতরে ঢোকেন। দেখতে পান, সুনন্দিতা ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলছে। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে।
বাড়ি লাগোয়া দোকান রয়েছে সুনন্দিতার বাবা সুবোধ রায় কর্মকারের। সকালে নিজের দোকানে ছিলেন তিনি। তার কাছে গিয়ে মোবাইল কিনে দেওয়ার জন্য বলেছিল সুনন্দিতা। সুবোধ মেয়েকে এখন পড়াশোনা করার কথা বলেন। পরে মোবাইল কিনে দেবেন বলে জানান।
বাবার কথা শুনে বাড়ি চলে আসে সুনন্দিতা। তারপর তাকে দেখে কিছু বোঝা যায়নি বলে পরিবারের লোকজন জানান। নিজের রুমে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেয় সুনন্দিতা। তখন তার মা ডাকাডাকি করে। কিন্তু, মেয়ে দরজা খোলেনি। তখনই দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকে সুনন্দিতা ঝুলতে দেখেন সবাই। মেয়েকে হারিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন সুনন্দিতার মা। কেঁদে চলেছেন বাবাও। সুনন্দিতার দাদা শুভ্র রায় বলেন, “একটা মোবাইলের জন্য বোন এমন করবে ভাবতে পারছি না।”
প্রতিবেশীরা বলছেন, “একদম শান্ত পরিবার। মেয়েটির বাবা কোনওদিন বকেনি। বাবা-মা খুবই ভালবাসত। মোবাইলের জন্য কেন যে এরকম করল, আমরা বুঝতে পারছি না।”

