AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Alipurduar wetlands: জলাভূমি ভরাট করে বহুতল? তদন্ত কমিটি গঠন করল আলিপুরদুয়ার পুরসভা

Alipurduar Municipality: পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান মাম্পি অধিকারী জানিয়েছেন, "জলাভূমি ভরাটের বিষয়টি দেখতে ৬ জন কাউন্সিলরকে নিয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ওই কমিটি সব কিছু খতিয়ে দেখে রিপোর্ট জমা দেবে। তারপর পুরসভা ব্যবস্থা নেবে।"

Alipurduar wetlands: জলাভূমি ভরাট করে বহুতল? তদন্ত কমিটি গঠন করল আলিপুরদুয়ার পুরসভা
আলিপুরদুয়ারে জলাভূমি ভরাটের অভিযোগে তদন্ত কমিটি গঠন পুরসভার
| Edited By: | Updated on: May 04, 2022 | 6:35 AM
Share

আলিপুরদুয়ার : আলিপুরদুয়ারে জলাভূমি ভরাট করে বহুতল নির্মাণ ও দখলের ঘটনায় এবার নড়েচড়ে বসল পুরসভা। গঠন করা হল তদন্ত কমিটি। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে ওই তদন্ত কমিটিকে রিপোর্ট জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছে পুরসভা। পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান মাম্পি অধিকারী জানিয়েছেন, “জলাভূমি ভরাটের বিষয়টি দেখতে ৬ জন কাউন্সিলরকে নিয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ওই কমিটি সব কিছু খতিয়ে দেখে রিপোর্ট জমা দেবে। তারপর পুরসভা ব্যবস্থা নেবে।” তিনি আরও জানিয়েছেন, যদি জলাভূমি দখল করে বহুতল নির্মাণ হয়, তবে তা ভেঙে দেবে পুরসভা। কোথায় কোথায় জলাভূমি বেদখল হয়েছে, কোথায় বিল্ডিং হয়েছে এবং নতুন করে ভরাট হচ্ছে কি না, তার বিস্তারির রিপোর্ট দেবে ওই কমিটি।

উল্লেখ্য, আলিপুরদুয়ারের জলাভূমি দখলের এই অভিযোগ উঠছিল বহুদিন ধরেই। অভিযোগ, জলাভূমিগুলি ভরাট করে গজিয়ে উঠছে বিল্ডিং। কোথাও নার্সিং হোম, আবার কোথাও বাড়ি। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, এই জলাভূমি ভরাটের সঙ্গে যুক্ত শাসক দলের নেতা ও কাউন্সিলররাও। ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের সাইনবোর্ড থাকলেও, এখন উধাও হয়ে গিয়েছে সাইনবোর্ডের লেখা।

আলিপুরদুয়ারে ১৩ টি জলাভূমি ছিল। তা সার্ভে করে রিপোর্টও গিয়েছে নবান্ন পর্যন্ত। কিন্তু অভিযোগ, তারপর থেকে পুরপ্রশাসনের তরফে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। আলিপুরদুয়ারের এই জলাভূমি ভরাটের ইস্যুতে জলাশয় বাঁচাও কমিটিও তৈরি হয়েছিল। সেই কমিটি প্রশাসনের সঙ্গে যৌথভাবে সার্ভে করে রিপোর্টও পাঠিয়েছিল। অভিযোগ, সেই রিপোর্ট এখনও ফাইলবন্দী। আলিপুরদুয়ার জলাশয় বাঁচাও কমিটির কনভেনার ল্যারি বোস ক্ষোভের সঙ্গে জানান, “দুই বিধায়কের দ্বন্দ্ব নিয়ে তো আমাদের কাজে লাগছে না।” তিনি স্পষ্টত বলেন, “শাসক গোষ্ঠীর মদতে এটা হচ্ছে। আমরা চাই জলাভূমি দখল মুক্ত হোক। শহরের লোকের দাবিকে মান্যতা দিচ্ছে না। এটা দেখা উচিত।”

স্থানীয় এক বাসিন্দা প্রভাত কুমার সাহা এ বিষয়ে বলেন, “এলাকার দাদারা ভয় দেখায়। তাই সরে যাই। জলাভূমি দখল করে বিল্ডিং হচ্ছে।” তিনি আরও অভিযোগ করেন, “কাউন্সিলর, নেতা, বিধায়ক সব জড়িত আছে। একজন চিকিৎসক জলাভূমি কিনে বিল্ডিং করছে। উনি নার্সিংহোম করছেন। এটা বেআইনি।”

বিরোধী দলের কাউন্সিলর শান্তনু ভৌমিক জানিয়েছেন, “বহু জলাভূমি ভরাট হয়েছে। ভরাট করে বিল্ডিং হয়েছে। তদন্ত কমিটিতে আমাকেও রাখা হয়েছে। এর আগে এটা নিয়ে আমরা বহু স্মারকলিপি দিয়েছি। বোর্ডও লাগানো হয়েছিল। কিন্তু সেই বোর্ড উধাও হয়ে গিয়েছে। অনেক জায়গা দখল করে বিল্ডিং হয়েছে। নিজের ঘরে যখন ডাকাতি হয়, তখন বুঝতে পারে। এখন দেখা যাক কী হয়।” এদিকে পুরসভা তদন্ত কমিটি করে কী ভূমিকা নেয়, এখন সেটাই দেখার।