Alipurduar: মাদক পাচার চক্রের সঙ্গে জড়িত, চাকরি ও পদ সবই খুইয়ে হাজতে তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি
Alipurduar: ৪৮ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলে তাঁকে সাসপেন্ড করা হবে বলে জানান। হাসপাতালে বেশিক্ষণ থাকতেন না। বাড়ি থেকে এসব কাজ করতেন। খুব তাড়াতাড়ি হাসপাতাল থেকে তাঁকে সাসপেন্ড করছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

আলিপুরদুয়ার: চাকরি ও দল দু’জায়গা থেকেই সাসপেন্ড হচ্ছেন ধৃত তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি বিষ্ণু রায়। মাদক নিয়ে ধৃত তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি বিষ্ণু রায় আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে গ্রুপ ডি পদে কর্মরত ছিলেন। একদিকে চাকরি, অন্যদিকে রাজনীতি ও মাদক পাচারের কাজে যুক্ত হওয়ার বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই জোর আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে বিষ্ণু রায়।
আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালের সুপার চিকিৎসক পরিতোষ মণ্ডল বলেন, “বিষ্ণু এই হাসপাতালে গ্রুপ ডি কর্মী ছিলেন। খারাপ কাজের জন্য অনেক সময় তাঁর বেতনও বন্ধ করতে হয়েছে। এমনকি আউটডোরে ২ টাকার টিকিটের কাউন্টারে বসে টাকার গড়মিল করার অভিযোগ রয়েছে। এজন্য দু-তিন বার তাঁর স্যালারি বন্ধ করতে হয়েছে। নেশাচক্রের সঙ্গে জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ। তাই ডিউটি ঠিকমত করতেন না। স্বাভাবিক অবস্থায় ফেরেননি।”
৪৮ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলে তাঁকে সাসপেন্ড করা হবে বলে জানান। হাসপাতালে বেশিক্ষণ থাকতেন না। বাড়ি থেকে এসব কাজ করতেন। খুব তাড়াতাড়ি হাসপাতাল থেকে তাঁকে সাসপেন্ড করছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
এ ব্যাপারে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি পরিতোষ বর্মন বলেন, “অবৈধ অন্যায় কাজ নেতৃত্ব প্রশ্রয় দেয় না। এ নিয়ে জেলা সভাপতির সঙ্গে কথা বলে দল তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে।”
নিজের অপরাধ স্বীকারও করে নিয়েছেন অভিযুক্ত। বন্ধুদের কাছে শিখে ব্রাউন সুগার খাওয়া অভ্যাস করেছেন বলে জানিয়েছেন। তিনি কোন চক্রের সঙ্গে জড়িত, সে ব্যাপারে মুখ খোলেননি বিষ্ণু রায়।





