‘মেদ ঝরিয়ে বিজেপি এখন ফিট,’ দলবদলুদের কটাক্ষ সায়ন্তনের
"বিজেপি থেকে একজনও কোথাও যাবেন না। শরীরে মেদ জমলে যেমন মেদ ঝড়াতে হয় তেমনি আমাদের মেদ ঝরেছে। এর ফলে বিজেপি আরও শক্তিশালী হয়েছে, ফিট হয়েছে।"
আলিপুরদুয়ার: একুশের ভোটের আগে চলছিল দলত্যাগের হাওয়া। ভোটের ফলাফলের পরও সেই ধারা জারি রয়েছে। তবে এবার উল্টো দিক থেকে। ‘দলে থেকে কাজ করা যাচ্ছে না’ বলে তৃণমূলত্যাগী নেতারা এখন ‘বিজেপিতে মানিয়ে নিতে না পেরে’ ফের ঘাসফুলমুখী হচ্ছেন। এই দলবদলু নেতাদের ‘বাড়তি মেদ’ বলে কটাক্ষ করলেন রাজ্য বিজেপির অন্যতম সম্পাদক সায়ন্তন বসু (Sayantan Basu)।
মঙ্গলবার আলিপুরদুয়ারে এসে সায়ন্তন বলেন, “বিজেপি থেকে একজনও কোথাও যাবেন না। শরীরে মেদ জমলে যেমন মেদ ঝড়াতে হয় তেমনি আমাদের মেদ ঝরেছে। এর ফলে বিজেপি আরও শক্তিশালী হয়েছে, ফিট হয়েছে।” সায়ন্তনের সঙ্গে এদিন জেলার বিজেপি নেতা কর্মীদের বৈঠক হয়। আগামী লোকসভা নির্বাচন ও পুরভোটকে সামনে রেখে এই বৈঠক বলে বিজেপি সূত্রে খবর।
এদিন সায়ন্তন বলেন, “বিধানসভা, লোকসভা ও পুর নির্বাচন, সবগুলো আলাদা। সব ক্ষেত্রেই আলাদা রণনীতি তৈরি করতে হয়। আগামী পুর নির্বাচনে আলিপুরদুয়ারে বিজেপি পুরবোর্ড দখল করবে। এদিনের বৈঠকে সেই বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।” সম্প্রতি কুমারগ্রাম ব্লকের এক পঞ্চায়েত সদস্য বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেছেন। এবার কালচিনি ব্লকেও বেশ কিছু পঞ্চায়েত সদস্য পদ্ম ছেড়ে ঘাসফুলের পতাকা তুলে নিয়েছেন। রাজ্য রাজনীতিতে একের পর এক নেতা বিজেপি ছেড়ে ফের তৃণমূলে ফিরে যাচ্ছেন। এই নেতাদের ‘বাড়তি মেদ বলে’ কটাক্ষ করেন সায়ন্তন।
আরও পড়ুন: ‘মানাতে পারছে না বিজেপি,’ দিলীপ-শুভেন্দুতে অভিমানী সুনীলের ‘ঘরওয়াপসি’?
এ নিয়ে আলিপুরদুয়ারের প্রাক্তন বিধায়ক সৌরভ চক্রবর্তীর কটাক্ষ, “অনেক বিধায়ক ও বিজেপি কর্মী তৃণমূলে আসার জন্য লাইন দিয়ে আছেন। এমনকি সায়ন্তন বসুও আসবেন। তাই বেশি কথা বলছেন।”
আরও পড়ুন: ‘বেসুরো’তেই বিড়ম্বনা! আরও চাপ বাড়ল রাজীবের