Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

‘তর্ক-বিতর্কে যাব না’, পৃথক উত্তরবঙ্গের দাবি থেকে পিছু হঠলেন জন বার্লা?

BJP MP John Barla: "সব কিছু রাজ্যপালকে জানিয়েছি। কী কী হচ্ছে, সব বলেছি। আইনের হাত অনেক লম্বা। সেখান থেকে কেউ রক্ষা পাবে না। কেউ বাঁচতে পারবে না। যে অ্যাকশন হবে তা আমরা চাই। উনি রিপোর্ট চেয়েছেন, আমি দিয়েছি।''

'তর্ক-বিতর্কে যাব না', পৃথক উত্তরবঙ্গের দাবি থেকে পিছু হঠলেন জন বার্লা?
'রেল-রাজনীতি', ফাইলল চিত্র
Follow Us:
| Updated on: Jun 28, 2021 | 8:23 PM

আলিপুরদুয়ার: আর বিতর্কে যেতে রাজি নন আলিপুরদুয়ারের সাংসদ জন বার্লা (John Barla)। শাসক দল ও প্রশাসনকে হাতজোড় করে এলাকা উন্নয়নের কাজে জোর দিতে বললেন তিনি। দিলেন একসঙ্গে কাজ করার বার্তাও। বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশে শেষ পর্যন্ত পৃথক উত্তরবঙ্গের দাবি থেকে পিছু হঠলেন?

বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব তাঁদের ‘বঙ্গভঙ্গ’ নিয়ে অবস্থান স্পষ্ট করে দেওয়ার পরেও উত্তরবঙ্গকে পৃথক রাজ্য অথবা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করার দাবিতে অনড় ছিলেন বিজেপি সাংসদ। দিলীপ ঘোষরা যখন তাঁকে বোঝাবেন বলেছেন তিনিও ঘুরে উত্তরবঙ্গের অবস্থা এবং কেন পৃথক উত্তরবঙ্গ চান সে নিয়ে পাল্টা বোঝানোর বার্তা দিয়েছেন বার্লা। তবে সোমবার নরম শোনাল বিজেপি সাংসদের সুর। বললেন, “সব কিছু রাজ্যপালকে জানিয়েছি। কী কী হচ্ছে, সব বলেছি। আইনের হাত অনেক লম্বা। সেখান থেকে কেউ রক্ষা পাবে না। কেউ বাঁচতে পারবে না। যে অ্যাকশন হবে তা আমরা চাই। উনি রিপোর্ট চেয়েছেন, আমি দিয়েছি।”

তবে পৃথক উত্তরবঙ্গ নিয়ে তাঁর এখনকার অবস্থান কী জানতে চাওয়া হলে কার্যত এড়িয়ে যান জন বার্লা। বলেন, “এখন গ্রামে গ্রামে পরিদর্শনে যাচ্ছি। অনেক নদীনালা, বাড়ি-ঘর ভেঙেছে। এ ব্যাপারে কিছু বলব না। কোনও তর্ক বিতর্কে যাব না। এখন কাজ করার সময়।” তাহলে কি শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশে অবশেষে প্রমাদ গুনলেন সাংসদ? উঠছে প্রশ্ন।

এদিন আবার শাসকদল ও প্রশাসনের কাছে হাতজোড় করে এলাকার উন্নয়নে একসঙ্গে কাজ করার বার্তা দেন জন বার্লা। এদিন সাংসদ জন বারলাকে সঙ্গে নিয়ে ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের এলাকা এবং নিউ আলিপুরদুয়ারের রাস্তা পরিদর্শন করেন আলিপুরদুয়ারের বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলাল। ওই এলাকার সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলেন সাংসদ। আলিপুরদুয়ার শহরের ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের পাশে বয়ে গেছে নোনাই নদী। এই নদী চাপড়ের পাড় ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের চেংমারী গ্রামকে বিচ্ছিন্ন করে রেখেছে।

একটি বাঁশের সাঁকো দিয়ে ওই এলাকার পাঁচ শতাধিক বাসিন্দা আলিপুরদুয়ার শহরের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন। সাঁকো ভেসে গেলে অগত্যা নদী পেরিয়ে গ্রামবাসীদের আসতে হয় আলিপুরদুয়ারে। ফলে দুর্ঘটনাও হয়। ওই এলাকার বাসিন্দারা একটি ব্রিজের দাবি করেছেন। সাংসদ এ ব্যাপারে বলেন, গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা হল। অবিলম্বে একটি ব্রিজ নির্মান করে দেওয়া হবে।

আরও পড়ুন: সুদীপ্ত সেনের মতো দেবাঞ্জনকে সামনে রেখে করে খেয়েছে তৃণমূল নেতারা: দিলীপ ঘোষ 

তিনি বিষয়টি নিয়ে খুব শীঘ্রই রেল মন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলবেন বলে স্থানীয়দের আশ্বাস দেন। যদি রেল রাস্তা না করে তবে রাস্তাতেই বসে পড়বেন বলে জনতাকে আশ্বাস দেন তিনি। যদিও এসবে মধ্যে পৃথক উত্তরবঙ্গ নিয়ে বার্লার সুর নরম হওয়াকে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।