Elephant: রঙ্গলালের কীর্তি! এল, খেল, চলে গেল
Alipurduar: শুক্রবার রাত্রিবেলার ঘটনা। আলিপুরদুয়ার জলদাপাড়ার চিলাপাতার কুরমাই বনবস্তিতে হামলা চালায় বনদফতরের পোষা কুনকি হাতি রঙ্গলাল।
আলিপুরদুয়ার: দাঁতালের দলের উৎপাত নতুন নয়। উত্তরবঙ্গ থেকে দক্ষিণবঙ্গ, যেখানে-যেখানে তাদের উপস্থিতি রয়েছে সেখানেই উৎপাত রয়েছে। তবে এবার বুনো হাতি নয়, বন-দফতরের পোষা হাতির তাণ্ডবেই অতিষ্ঠ গ্রামবাসীরা। দু’টি হাতির এমন তাণ্ডবে রীতিমত আতঙ্কিত তাঁরা।
শুক্রবার রাত্রিবেলার ঘটনা। আলিপুরদুয়ার জলদাপাড়ার চিলাপাতার কুরমাই বনবস্তিতে হামলা চালায় বনদফতরের পোষা কুনকি হাতি রঙ্গলাল। জানা যায়, রাত ১০ টা নাগাদ রঙ্গলাল খাবারের খোঁজে কুরমাই বনবস্তিতে গিয়ে তাণ্ডব শুরু করে। দু’টি বাড়ি ভাঙচুর করে। যদিও বনদফতরের দাবি, রঙ্গলাল যে নিজের জায়গাতেই নেই তা জানতেই পারেনি তারা। আর ততক্ষণে ওই দাঁতাল বনবস্তিতে গিয়ে দু’ঘণ্টা ধরে তাণ্ডব চালায়।
এদিকে হাতিকে দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন বস্তির বাসিন্দারা। তাঁরা বনদফতরে খবর দেয়। তখন টনক নড়ে তাদের। এরপর রঙ্গলালের মাহুত এসে পৌঁছয়। দীর্ঘক্ষণ বোঝানোর পর শান্ত হয় রঙ্গলাল। তারপর মাহুত রঙ্গলালকে নিয়ে বিটে চলে যান। স্থানীয় মানুষজনের অভিযোগ, “বুনো হাতি তো মাঝে মাঝেই ক্ষতি করছে।এবার পোষা হাতি ক্ষতি করে গেল। কোনও ক্ষতিপূরণও দিচ্ছেনা বনদফতর। তাই বনবস্তির বাসিন্দার ক্ষোভ প্রকাশ করেন।”
তবে মাহুতের চোখ এড়িয়ে কী করে হাতি বস্তিতে ঢুকে গেল এ নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। যদিও, বিট অফিসার বলেন, “পাতাওয়ালার চোখ কে ফাঁকি দিয়ে হাতি বনবস্তিতে চলে গিয়েছিল। পরে মাহুত গিয়ে নিয়ে এসেছে। তেমন কিছু ক্ষতি হয়নি।” আধিকারিক বক্তব্য এটা হলেও ছবি তো অন্য কথা বলে। এক কথায় গ্রামবাসীদের কাছে বুনো হাতির পর এবার যেন ‘ভিলেন’ বনদফতরের পোষা কুনকি হাতি রঙ্গলাল।