AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Buxa: বাঘকে রাজত্ব ফিরিয়ে দিতে ঘর ছাড়বেন বক্সারের বস্তিবাসীরা! যাবেন কোথায়?

Tiger in Buxa: যার জমি তাকে ফিরিয়ে দিতে হবে। তার সাম্রাজ্যে বসবাসকারী অবাঞ্ছিতদের এবার নিতে হবে বিদায়। কারণ, তিনি ফিরে এসেছেন তাঁর রাজত্বে। বহু বছর পর দেখা দিয়েছেন বক্সার জঙ্গলের রাজা।

Buxa: বাঘকে রাজত্ব ফিরিয়ে দিতে ঘর ছাড়বেন বক্সারের বস্তিবাসীরা! যাবেন কোথায়?
অনেক বস্তিবাসীই বাসস্থান ছাড়তে রাজি বলে দাবি। নিজস্ব চিত্র।
| Edited By: | Updated on: Dec 14, 2021 | 5:22 PM
Share

আলিপুরদুয়ার: সম্প্রতি বক্সায় (Buxa) দেখা মিলেছে দুটি দক্ষিণরায়ের। তাই বাঘেদের জমি ফিরিয়ে দিতে উচ্ছেদ হবে বনবস্তি। চলছে জোর জল্পনা। যদিও এ নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছে বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্প। আর এ নিয়ে শুরু জোর চাপানউতোর। ঠিক কতজন বস্তিবাসীকে উচ্ছেদ করা হবে? তাঁরা যাবেন কোথায়?

যার জমি তাকে ফিরিয়ে দিতে হবে। তার সাম্রাজ্যে বসবাসকারী অবাঞ্ছিতদের এবার নিতে হবে বিদায়। কারণ, তিনি ফিরে এসেছেন তাঁর রাজত্বে। বহু বছর পর দেখা দিয়েছেন বক্সার জঙ্গলের রাজা। একটা সময় মনে হয়েছিল তিনি তাঁর এই বিশাল সাম্রাজ্যে অবাঞ্ছিতদের অনুপ্রবেশ মানতে না পেরে জঙ্গল ছেড়ে বিবাগী হয়েছেন। কিন্তু তিনি দিয়েছেন দেখা। আর তাঁর উপস্থিতি টের পেতেই নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। জল্পনা বনবস্তি উচ্ছেদের। কিন্তু কোথায় যাবেন এই মানুষরা? শুরু হয়েছে জল্পানা।

গত শুক্রবার গভীর রাতে বক্সার জঙ্গলে বন দফতরের ট্র‍্যাপ ক্যামেরায় দীর্ঘদিন বাদে দেখা গিয়েছে রয়েল বেঙ্গল টাইগারের ছবি। আর তার ঘণ্টা কয়েক পরে মেলে আরেকটি বাঘের ছবি। যা নিয়ে উচ্ছ্বসিত সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে পরিবেশ প্রেমী ও বন দফতরের আধিকারিক ও কর্মীরা। দীর্ঘ দু দশকের বেশি সময় পর যে টের পাওয়া গেল তিনি আছেন।

তাই এবার বাঘেদের বাসস্থানকে উপদ্রপহীন করতে বক্সার জঙ্গলে থাকা বনবস্তিগুলো উচ্ছেদের প্রক্রিয়া শুরু করেছে বন দফতর। বক্সার কোর এলাকায় আছে ১৪টি বনবস্তি। ইতিমধ্যেই জয়ন্তী লাগোয়া ভুটিয়া বস্তি সরানোর জন্য সেখানকার বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা অনেকটাই এগিয়ে নিয়ে গেছেন বন দফতরের কর্তারা। বস্তিবাসীরা রাজিও হয়েছেন সরে যেতে বলে দাবি প্রশাসন সূত্রে। তাঁদের ক্ষতিপূরণও ধার্য করা হয়েছে। জন প্রতি (প্রাপ্ত বয়স্ক) ১৫ লক্ষ টাকা। এবার সেই টাকা হাতে পেলেই তাঁরা পূর্বপুরুষের বাসস্থান ছেড়ে চলে যাবেন অন্য জায়গায়।

যেমন ভুটিয়া বস্তির বাসিন্দা রাম বাহাদুর জানান, “কিছু প্রতিকূলতা থাকলেও এই জায়গা আমাদের জন্মভূমি, এখানেই প্রকৃতির মাঝে বড় হয়েছি। কিন্তু প্রকৃতি বাঁচাতে, মনে দুঃখ থাকলেও আমরা এই জায়গা ছেড়ে চলে যেতে রাজি হয়েছি। ক্ষতিপূরণের টাকা হাতে পেলেই বস্তি খালি করে দেব”।

তিনি জানান, দুটি প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে তাঁদের। একটি জমি এবং অপরটি ১৫ লক্ষ টাকার। জমি নিতে হলে দেরি হবে। তাই টাকার পথেই হাঁটছে অধিকাংশ ভুটিয়া বস্তিবাসী। খোজঁ নিয়ে জানা যাচ্ছে, এখানে শতাধিক বাসিন্দা দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করেন। ভোটার মোট ৭২ জন। এখন দেখার বাঘেদের বাঁচাতে এই বস্তি কবে খালি হয়, সেদিকে তাকিয়ে বনদফতর। আবার এখান থেকে গিয়ে কোথায় ঘর বাঁধবেন সেটাও ভাবনা এই বস্তিবাসীর।

আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রীর ‘দুয়ারের’ আদিগঙ্গা আছে সেই আদিতেই, মশার কামড়-কটূ গন্ধে অতিষ্ঠ তিলোত্তমাবাসী