
আলিপুরদুয়ার: নাম ভাঁড়িয়ে জেনারেল কাস্ট থেকে তফসিলি উপজাতি হয়ে আলিপুরদুয়ারের কালচিনি বিধানসভার ভোটে প্রার্থী হয়েছিলেন। জানতই না প্রশাসন।এবার এসআইএর সৌজন্যে এতদিনে তা প্রকাশ্যে। আর তা নিয়েই শোরগোল আলিপুরদুয়ারের কালচিনিতে। একই ব্যক্তি,তবে ভোটার তালিকা অনুযায়ী দুটি স্থানে তাঁর পদবি ভিন্ন, বাবার নামও ভিন্ন। কোথাও তিনি দাস সম্প্রদায়ের, আবার কোথাও তিনি তপসিলি উপজাতি সম্প্রদায়ের।
এসআইএরের ফর্ম ফিলাপের সময় বিষয়টি সামনে আসতেই ব্যাপক শোরগোল পড়েছে আলিপুরদুয়ারের কালচিনি ব্লকের হ্যামিল্টনগঞ্জ এলাকায়। যদিও এই আজব পদবী বিভ্রাটে আর এস আই আর ফর্ম পূরনই করতে পারেননি ওই ব্যাক্তি।
এলাকার বাসিন্দাদের দাবি, ওই ব্যক্তির নাম চঞ্চল দাস।তিনি হ্যামিল্টনগঞ্জ নেতাজিপল্লির বাসিন্দা। তাঁর বাবার নাম সন্তোষ দাস। তবে চঞ্চলের দাবি, তাঁর পদবি নার্জিনারি। দক্ষিণ সাতালির দুলাল নার্জিনারি তাঁকে দত্তক নিয়েছিল, সে সময় তাঁর বাবাও জীবিত ছিল।
চঞ্চল দাস হয়ে গেলেন চঞ্চল নার্জিনারী। এমনকি তফসিলি উপজাতি কেন্দ্র কালচিনিতে তিনি প্রার্থীও হয়েছিলেন। লতাবাড়ি গ্রামপঞ্চায়েতের ২৩০ নম্বর বুথে তিনি চঞ্চল দাস আর মেন্দাবাড়ি গ্রামপঞ্চায়েতে ৩৮৭ নম্বর বুথে চঞ্চল নার্জিনারি। যদিও, দুলাল নার্জিনারির পরিবারের সদস্যরা এই দাবি মানতে নারাজ। তাঁরা চঞ্চলকে চেনেনই না বলে পাল্টা দাবি করেছেন।সেই পরিবারের এক সদস্য বললেন, “জেঠুকে উনার বাবা বলেছেন। উনি তো জেঠুর ছেলে নন। ভুয়ো তপসিলি উপজাতি শংসাপত্র তৈরি করে সুবিধা পাওয়ার জন্য সে এমন কাজ করেছেন।”
এদিকে, এই সুবাদে গত বিধানসভায় চঞ্চল নির্দল প্রার্থী হিসেবেও কালচিনি বিধানসভায় দাঁড়িয়েছিলেন। স্থানীয় পঞ্চায়েত সাফ জানিয়েছে, ওই ব্যক্তির আসল নাম চঞ্চল দাস।ওই নামেই তাঁকে সবাই চেনেন। লতাবাড়ি গ্রামপঞ্চায়েত এর উপপ্রধান মৌসুমী দাস বলেন, “উনি চঞ্চল দাসই। কিছু সুবিধা অন্যায়ভাবে পাওয়ার জন্য হয়তো পদবী বদলেছেন।”
কালচিনির বিজেপি বিধায়ক বিশাল লামা বলেন, “এসআইআর-এর কল্যাণে এখন অনেক কিছু জানা যাচ্ছে। বাবা চুরির কেস সামনে আসছে।”
কিন্তু এসবের পরেও চঞ্চল দাস নিজেই বলছেন, “আমি চঞ্চল নার্জিনারী। পঞ্চায়েতকে বলেছিলাম কালচিনির বুথে নাম বাদ দিতে, দেয়নি।আমি কী করব?”