Alipurduar News: জেলা হাসপাতালের মর্গে পচছে ‘বাংলাদেশিদের’ দেহ, নেই কোনও দাবিদার
Alipurduar District Hospital: হাসপাতালের অন্দরে এই দুই দেহ নিয়েই তৈরি হয়েছে জল্পনা। একাংশের ধারণা, এই দুই মৃতব্যক্তি সম্ভবত বাংলাদেশের বাসিন্দা ছিলেন। কিন্তু আপাতত তাঁদের দেহের কোনও দাবিদার নেই। যার জেরে বাকি ৮টি দেহের সঙ্গে মর্গেই পচছে সেগুলি। খরচ বাড়ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের।

আলিপুরদুয়ার: জেলা হাসপাতালের মর্গে বাড়ছে দাবিদারহীন দেহের পরিমাণ। যা ঘিরে চিন্তিত কর্তৃপক্ষ। সুপার বলছেন, ‘পরিবার এসে ভর্তি করছে কিন্তু মারা গেলে আর নিয়ে যাচ্ছে না।’। অবশ্য, এক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কর্তার দাবি, এই দেহগুলি বাংলাদেশিদের হলেও হতে পারে। তবে সবক’টি নয়।
দেহ নিয়ে বাড়ছে জ্বালা। বর্তমানে আলিপুরদুয়ারের জেলা হাসপাতালের মর্গে পড়ে রয়েছে মোট ৮টি দেহ। যাদের নেই কোনও দাবিদার। এই ৮টি দেহর মধ্যে দু’টি দেহ নিয়ে আবার রয়েছে বেশি চিন্তা। কারণ এই দুইয়ের পরিচয় ভুয়ো। এদিন জেলা হাসপাতালের সুপার চিকিৎসক পরিতোষ মণ্ডল বলেন, ‘এই বছর দু’টি ঘটনা ঘটেছে। দেহগুলো পরে রয়েছে, কেউ দাবিদার নেই। ভর্তির সময় রোগীর পরিবার যে নম্বর দিয়েছিলেন তা ভুয়ো।’
হাসপাতালের অন্দরে এই দুই দেহ নিয়েই তৈরি হয়েছে জল্পনা। একাংশের ধারণা, এই দুই মৃতব্যক্তি সম্ভবত বাংলাদেশের বাসিন্দা ছিলেন। কিন্তু আপাতত তাঁদের দেহের কোনও দাবিদার নেই। যার জেরে বাকি ৮টি দেহের সঙ্গে মর্গেই পচছে সেগুলি। খরচ বাড়ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের। সুপারের কথায়, ‘মর্গে এমন দেহ রাখা সত্যিই খুব অসুবিধার। পরিবার আসে না। কিন্তু আমাদের তো একটা দায় রয়েছে। আমাদের দাহ করতে হয়, তার আবার আলাদা একটা খরচ রয়েছে।’
এদিন এক স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কর্তা ল্যারি বোস বললেন, ‘এই ধরনের দাবিদারহীন দেহের জেরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের যাতনাই বৃদ্ধি পাচ্ছে। খুব অসুবিধা হয়। আমার ধারণা, অনেক বাংলাদেশি ডকুমেন্টসের অভাবে সেই দেহগুলি নিতে আসতে পারে না। এই বিষয়টা জেলা প্রশাসনের দেখা উচিত। সুপার একা হাতে কতটাই বা সামাল দেবেন?’
