TMC: তৃণমূলের প্রধানের বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠলেন দলেরই পঞ্চায়েত সদস্যরা, গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব মানতে নারাজ নেতৃত্ব
Alipurduar News: ভোটের আগে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ছবিটা ক্রমে প্রকট হচ্ছে বলেও অভিযোগ তোলেন বিরোধীরা।
আলিপুরদুয়ার: তৃণমূলের (Trinamool Congress) গোষ্ঠীকোন্দলের অভিযোগ উঠল ডুয়ার্সের কালচিনি ব্লকের লতাবাড়ি গ্রামপঞ্চায়েতে। গ্রামপঞ্চায়েত প্রধান আইন মানছেন না বলে অভিযোগ তুলেছেন তৃণমূলেরই পঞ্চায়েত সদস্যরা। তাঁরা এ নিয়ে ব্লক সভাপতির কাছে অভিযোগও জানান। এর আগে লতাবাড়ির গ্রামপঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তুলেছিলেন বিরোধী নেতারা। তবে এবার এই অভিযোগ নিয়ে সরব হলেন খোদ তৃণমূলেরই পঞ্চায়েত সদস্যরা। তাঁদের অভিযোগ, পঞ্চায়েত সদস্যদের অন্ধকারে রেখে অনেক কিছুই চলছে পঞ্চায়েতে। যদিও পঞ্চায়েত প্রধান অভিযোগ মানতে নারাজ।
তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য বিপ্লব ঘোষ বলেন, “গ্রামপঞ্চায়েতে অর্থের একটি কমিটি রয়েছে। সেই কমিটি ও প্রধানের সম্মতিতে নানা বিল পাশ হয়। তবে প্রধান কমিটির সদস্যদের সম্মতি ছাড়াই সেই বিল পাশ করে দিচ্ছেন। এ বিষয়ে আমরা পঞ্চায়েত সদস্যরা দলের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকেও জানিয়েছি।’ অন্যদিকে প্রাক্তন লতাবাড়ি গ্রামপঞ্চায়েত প্রধান ও বর্তমান তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য প্রাণকুমার সরকার বলেন, “প্রধানের বিরুদ্ধে যা অভিযোগ তা দলের জেলা ও ব্লক সভাপতিকে জানিয়েছি।”
তবে এই অভিযোগ মানতে নারাজ লতাবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান সোনালি দাস চক্রবর্তী। তিনি বলেন, “এসব একটা চক্রান্ত। আমি কোনও ভুল কাজ করিনি, তার প্রমাণও আমি দিতে পারব।” এর আগে এই লতাবাড়ির প্রধানের বিরুদ্ধে একাধিকবার এরকমই অভিযোগ তুলে সরব হয়েছিলেন লতাবাড়ি গ্রামপঞ্চায়েতের বিরোধী দলনেতা ও বিজেপি কালচিনি ব্লক আহ্বায়ক অলোক মিত্র। তিনি জানান, “এটা তো হওয়ারই ছিল। আমি নিজে অনেকবার এর বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলেছি। এখন তার দলের নেতা যারা স্বচ্ছ রাজনীতিতে বিশ্বাসী তারাও এর বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলেছেন।”
ভোটের আগে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ছবিটা ক্রমে প্রকট হচ্ছে বলেও অভিযোগ তোলেন বিরোধীরা। যদিও এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে তৃণমূলের কালচিনি ব্লক সভাপতি বীরেন্দ্র ওরাঁও জানান, কোনও গোষ্ঠীকোন্দল নয়, সামান্য ভুলভ্রান্তি হয়েছে। সেটা মিটেও যাবে।