Body Found: রাস্তার ধারে পড়ে আছে সাইকেল, উপুড় হয়ে শুয়ে লোকটা…
Alipurduar: দিলীপ পালের বালির ব্যবসা। সঙ্গে আরও কিছুর ব্যবসা ছিল। প্রতি রবিবার পাওনাদারদের কাছ থেকে টাকা আনতে যেতেন।
আলিপুরদুয়ার: দিনে দুপুরে এক ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল ডুয়ার্সের কালচিনি ব্লকের রাংমাটাংয়ে। রবিবার হাট বার এখানে। সকাল থেকে বহু লোকের যাতায়াত। চা বলয়ে এদিন নানা পসরা নিয়ে হাজির হন ব্যবসায়ীরা। এই হাট ঘিরে বহু মানুষের জমায়েত হয়। এরইমধ্যে রাস্তার মোড়ে এক ব্যবসায়ীকে খুনের অভিযোগ উঠল। পরিবারের দাবি, কেউ না কেউ নিশ্চয়ই এই ঘটনা দেখেছে। কেউ মুখ না খুললে খুনিকে ধরা তো মুশকিল। রায়মাটাং চা বাগান থেকে চিঞ্চুলা যাওয়ার রাস্তায় এক ব্যক্তির মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। খবর দেওয়া হয় কালচিনি থানায়। জানা যায়, দেহটি হ্যামিলটনগঞ্জের এক ব্যবসায়ী দিলীপ পালের। খবর পেয়ে দিলীপ পালের দুই ছেলে পৌঁছন বাইক নিয়ে। বাবার দেহ শনাক্ত করেন তাঁরাই।
দিলীপ পালের বালির ব্যবসা। সঙ্গে আরও কিছুর ব্যবসা ছিল। প্রতি রবিবার পাওনাদারদের কাছ থেকে টাকা আনতে যেতেন। রবিবার সকাল ১০টা নাগাদও সেইমতোই বের হন। সাইকেলে চেপে রাংমাটাং হয়ে চিঞ্চুলার পথে রওনা দেন। পরিবারের দাবি, টাকা পয়সার জন্যই এভাবে প্রাণ গেল তাঁর। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, কোনও ধারাল অস্ত্র দিয়ে মাথায় কোপ মেরে খুন করা হয়েছে। কালচিনি পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
নিহতের ছেলে শান্তনু পাল বলেন, “সকাল ১০টা সাড়ে ১০টা নাগাদ জানতে পারি। শুনেই বাইক নিয়ে যাই। দেখি রাস্তায় পড়ে আছে বাবা। ঘাড়ের কাছে ভোজালি দিয়ে কোপানোর দাগ স্পষ্ট। হাতে কাটা দাগ। প্রতি রবিবারই বাবা এরকম টাকা আনতে যেত। কী হল, কে এটা করল বুঝতেই পারছি না। গিয়ে দেখি বাবার সাইকেলটা রাস্তায় পড়ে আছে। রায়মাটাং হয়ে চিঞ্চুলায় যাচ্ছিল। যাওয়ার পথেই এই ঘটনা।”
দিলীপ পালের স্ত্রীর কথায়, “রায়মাটাং বাগানে প্রতি রবিবারই যান উনি। আমি বলতাম, এসব জায়গায় যে যাও কোনও সমস্যায় পড়লে কী হবে? বলত কোনও সমস্যা নেই। আসলে ওর কোনও শত্রু ছিল না। ও তেমন মানুষই নয়। টাকা পেত, সেগুলি তাগাদা করতে যেত। অনেক মানুষের কাছে টাকা পায় ও। সরল সোজা মানুষ একজন। টাকা না দিলে না দিত, কিন্তু আমার মানুষটাকে এভাবে মেরে ফেলল কেন?”
আরও পড়ুন: TMC Internal Conflict: তৃণমূল বিধায়ক তো আসেন না, কার্যালয় রেখে লাভ কী? নাম মুছলেন দলের কর্মীরাই