TMC Internal Conflict: তৃণমূল বিধায়ক তো আসেন না, কার্যালয় রেখে লাভ কী? নাম মুছলেন দলের কর্মীরাই

Bankura: স্থানীয়দের অভিযোগ, অরূপ চক্রবর্তী ভোটে জেতার পর সিমলাপালের বিধায়কের অফিসে নিয়মিত বসতেন। বেশ কয়েকমাস ধরে সেখানে আসা বন্ধ করে দিয়েছেন।

TMC Internal Conflict: তৃণমূল বিধায়ক তো আসেন না, কার্যালয় রেখে লাভ কী? নাম মুছলেন দলের কর্মীরাই
নিখিল সিংহ মহাপাত্র (বাঁদিকে)। ডানদিকে বিধায়ক অরূপ চক্রবর্তী। নিজস্ব চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 01, 2022 | 6:45 PM

বাঁকুড়া: বিধায়ক নিয়মিত কার্যালয়ে আসেন না। অভিযোগ, ফলে সাধারণ মানুষ পরিষেবাও পান না যথাযথভাবে। এরপরই তালডাংরার তৃণমূল বিধায়ক অরূপ চক্রবর্তীর সিমলাপালের কার্যালয়ে কারা যেন সাদা রং করে দেন। এই ঘটনা ঘিরে হইচই পড়ে গিয়েছে এলাকায়। অভিযোগ, যাঁরা দলীয় কার্যালয় সাদা করে দিয়েছেন, তাঁরা তৃণমূলেরই লোকজন। এই সুযোগে এক হাত নিয়েছে বিজেপিও। তালডাংরা বিধানসভার মধ্যে পড়ে সিমলাপাল। সেখানে অরূপ চক্রবর্তীর একটি কার্যালয় রয়েছে। অভিযোগ, ভোটে জেতার পর সিমলাপালে নিয়মিত যেতেন বিধায়ক। ইদানিং তা বন্ধ করে দিয়েছেন। যদিও অরূপ চক্রবর্তীর দাবি, মানুষের পরিষেবা যেভাবে দেওয়ার দরকার সেইভাবেই দেওয়া হচ্ছে। একই সঙ্গে তিনি বলেন, এই অফিস তিনি করেননি। পরিষেবায় কোথাও কোনও খামতি নেই। এই ঘটনা ঘিরে আরও একবার শাসকদলের গোষ্ঠীকোন্দলের চিত্রটা প্রকট হল বলেই অভিযোগ।

স্থানীয়দের অভিযোগ, অরূপ চক্রবর্তী ভোটে জেতার পর সিমলাপালের বিধায়কের অফিসে নিয়মিত বসতেন। বেশ কয়েকমাস ধরে সেখানে আসা বন্ধ করে দিয়েছেন। সিমলাপাল জঙ্গলমহলের মধ্যে। প্রত্যন্ত এই এলাকা থেকে মানুষকে পরিষেবা নিতে বাঁকুড়ায় স্কুলডাঙায় বিধায়কের বাড়িতে যেতে হচ্ছে বলে অভিযোগ। এই গরমে তা কার্যত অসম্ভব হয়ে পড়ছে বলে এলাকার লোকজনের দাবি।

স্থানীয় তৃণমূল নেতা নিখিল সিংহ মহাপাত্র বলেন, “বিধায়ককে যখন পাওয়াই যাচ্ছে না তা হলে আর তাঁর অফিস রেখে কী লাভ। সে কারণেই এখানকার মানুষ, তৃণমূল কর্মীরা তাঁর নাম মুছে দিয়েছেন।” যদিও অরূপ চক্রবর্তী বলেন, “আমি সিমলাপালে কোনও অফিস করিনি। ওরা নিজেরাই করেছিল, ওরাই মুছেছে। পরিষেবা তো সাধারণের জন্য। ব্যক্তিগত কারও জন্য নয়। বিধায়কের কী দায়িত্ব আমার কারও কাছে শেখার দরকার নেই।” এ প্রসঙ্গে বিজেপি বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলার সভাপতি সুনীল রুদ্র মণ্ডল বলেন, “তালডাংরার তৃণমূল বিধায়ক তো তালডাংরার বাইরের লোক। উনি তালডাংরার বাইরে থাকতে পছন্দ করেন। তাই এখানকার মানুষের মনের বাইরেও চলে গেছেন। এলাকায় তাঁর কাজ মুছে গিয়েছে, তাই নামও মুছে যাচ্ছে।”

আরও পড়ুন: Debangshu Bhattacharya Post: গত এক বছরে তৃণমূলে ‘ড্রেনের জল মিশেছে’, বিতর্কের মুখে পোস্ট মুছলেও জোর চর্চা দেবাংশুর বক্তব্যে