Bankura : পড়ুয়া ১৫, ছাত্রছাত্রী খুঁজতে বেরোন বাঁকুড়ার এই স্কুলের প্রধান শিক্ষক

Bankura : বাঁকুড়ার কেন্দুয়াডিহি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গত কয়েকবছর ধরে পড়ুয়ার সংখ্যা ছিল মাত্র দুই। ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক পাড়ায় ঘুরে ঘুরে চলতি বছর পড়ুয়া জোগাড় করেছেন।

Bankura : পড়ুয়া ১৫, ছাত্রছাত্রী খুঁজতে বেরোন বাঁকুড়ার এই স্কুলের প্রধান শিক্ষক
এই স্কুলে পড়ুয়ার সংখ্যা ছিল মাত্র দুই, এখন বেড়ে হয়েছে ১৫
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Apr 30, 2022 | 5:42 PM

বাঁকুড়া : পাকা স্কুল ভবন। আছে একাধিক ক্লাসরুম, অফিস রুম, টয়লেট, মিড ডে মিলের রান্নাঘর। আছেন দু’জন শিক্ষক (Teacher)। কিন্তু পড়ুয়া কোথায়? কাগজে কলমে পড়ুয়ার সংখ্যা মাত্র পনেরো! পড়ুয়াদের দৈনিক হাজিরা ৬ থেকে ৭। এই চিত্র বাঁকুড়া শহরের কেন্দুয়াডিহি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের। শুধু এই বিদ্যালয় নয়। আশপাশের আরও কয়েকটি বিদ্যালয়েও ছাত্রসংখ্যা প্রায় একইরকম। শিক্ষকদের একাংশ বলছেন, বেসরকারি স্কুলগুলিতে ছেলেমেয়েদের ভর্তির ঝোঁক বেড়েছে অভিভাবকদের। তার জেরেই সরকারি স্কুলে কমছে ছাত্রসংখ্যা।

এ রাজ্যের বিভিন্ন সরকারি ও সরকার পোষিত স্কুলের ছাত্র শিক্ষক সংখ্যার অনুপাত নিয়ে মাঝেমধ্যেই সমালোচনার ঝড় ওঠে। গ্রামের দিকের স্কুলগুলিতে ছাত্রের তুলনায় শিক্ষক কম থাকার অভিযোগ বারেবারে উঠে আসছে। তখন উলটো চিত্র বাঁকুড়া শহরের অধিকাংশ সরকারি প্রাথমিক স্কুলগুলিতে। হাইস্কুল চত্বরে থাকা হাতেগোনা কয়েকটি প্রাথমিক স্কুল ছাড়া অধিকাংশ প্রাথমিক স্কুল পড়ুয়ার অভাবে ধুঁকছে। অথচ স্কুলের পরিকাঠামো রয়েছে। আছেন শিক্ষক। বাঁকুড়ার কেন্দুয়াডিহি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গত কয়েকবছর ধরে পড়ুয়ার সংখ্যা ছিল মাত্র দুই। ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক পাড়ায় ঘুরে ঘুরে চলতি বছর পড়ুয়া জোগাড় করেছেন। তাতেও সংখ্যা ১৫ ছাড়ায়নি। এই ১৫ জনের মধ্যে দৈনিক স্কুলে হাজির থাকে ৬ থেকে ৭ জন।

পড়ুয়ার সংখ্যায় কেন এমন হাল?

কেন্দুয়াডিহি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তাপস রায় বলেন, “স্কুলটি প্রধান রাস্তা থেকে অনেকটাই ভিতরে। অনেকে জানেন না, স্কুলটি আছে। আবার অনেক বাবা-মা সন্তানদের বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে ভর্তি করাতে চাইছেন। সেজন্য সরকারি স্কুলে ছাত্রসংখ্যা কমছে।” তাঁদের স্কুলে পড়ুয়াদের ভর্তির জন্য পাড়ায় পাড়ায় ঘুরেছেন। স্কুলের শিক্ষিকা পাপিয়া চক্রবর্তী বলেন, “আমরা অভিভাবকদের বলছি, ছাত্রদের ভাল করে পড়াব। স্কুলে ভর্তি করান।” প্রধান শিক্ষকের মতো তাঁর বক্তব্য, বেসরকারি স্কুলে পড়াশোনা ভাল হবে বলে ধারণা অনেকের। তাই, বেসরকারি স্কুলে সন্তানদের ভর্তি করাতে চান অভিভাবকরা।

প্রশ্ন উঠছে, সরকারি স্কুলে ছাত্রসংখ্যা এভাবে কমতে থাকলে, স্কুল কতদিন চালু রাখা সম্ভব? সরকারি স্কুলে পড়ুয়াদের ভর্তি নিয়ে অভিভাবকদের উৎসাহিত করতে কোনও পদক্ষেপ কি করছে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ?

আরও পড়ুনShortage of Teachers in Kumarganj school : বাংলার স্কুলের হাল! ফাইভ থেকে টেন প্রায় ৫০০ পড়ুয়া, পড়াচ্ছেন মাত্র ২ শিক্ষক!