Debangshu Bhattacharya Post: গত এক বছরে তৃণমূলে ‘ড্রেনের জল মিশেছে’, বিতর্কের মুখে পোস্ট মুছলেও জোর চর্চা দেবাংশুর বক্তব্যে

TMC: কিন্তু নিন্দুকেরা ইতিমধ্যেই দু'য়ে দু'য়ে চার করা শুরু করে দিয়েছে। রাজনৈতিক মহল বলছে, দেবাংশু ভট্টাচার্য তাঁর পোস্ট ডিলিট করলেও, তাঁর বক্তব্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।

Debangshu Bhattacharya Post: গত এক বছরে তৃণমূলে 'ড্রেনের জল মিশেছে', বিতর্কের মুখে পোস্ট মুছলেও জোর চর্চা দেবাংশুর বক্তব্যে
দেবাংশুর ফেসবুক পোস্ট ঘিরে উঠছে প্রশ্ন।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 01, 2022 | 5:30 PM

কলকাতা: ফেসবুক পোস্টে ফের বিস্ফোরক তৃণমূলের মুখপাত্র দেবাংশু ভট্টাচার্য (Debangshu Bhattacharya)। একুশের জয়ের বর্ষপূর্তির আগেই দেবাংশুর এই পোস্ট জল্পনা বাড়িয়েছে। যদিও পোস্টটি ঘিরে বিতর্ক দানা বাঁধতেই সঙ্গে সঙ্গে তা মুছেও দেন শাসকদলের এই তরুণ নেতা। একইসঙ্গে লেখেন, সকলের কাছে তাঁর পোস্টের ভুল ব্যাখ্যা হচ্ছে, সে কারণেই আগের পোস্টটি সরিয়ে নিলেন। কিন্তু ইতিমধ্যেই আগের পোস্টের স্ক্রিনশট ছড়িয়ে পড়েছে সোশাল মিডিয়ায়। শুরু হয়েছে জোর চর্চা।

প্রথম পোস্টে কী লিখেছিলেন দেবাংশু?

রবিবার দেবাংশু ভট্টাচার্য তাঁর ফেসবুক প্রোফাইলে লেখেন, ‘গতবছর ঠিক আজকের দিন পর্যন্ত রাজ্যে যে তৃণমূলটা ছিল, সেটাই নিষ্কলুষ, ধান্দাবাজবিহীন, অকৃত্রিম, প্রকৃত তৃণমূল। আপনরাই দলের সম্পদ। তারপর তো বন্যা এল! গঙ্গার জল, ড্রেনের জল সব মিলেমিশে একাকার! একটা দল বিপুলভাবে ফিরে এলে, কিছু জায়গায় এটা হওয়া স্বাভাবিক। তবুও দলে একটা স্ট্রং ফিল্টার আছে বলেই বিশ্বাস। তারা পেছনের সারিতেই থাকবেন, সেটাও বিশ্বাস করে দলের কর্মীরা।’

কিছুক্ষণের মধ্যেই পোস্ট ‘ডিলিট’

নিঃসন্দেহে এই লেখা নিয়ে জোর আলোচনা শুরু হয়। দেবাংশুর পোস্টের কমেন্ট বক্সেই শুধু নয়, সোশাল মিডিয়ার বাইরেও এ নিয়ে চর্চা হয়। এরপরই দেবাংশু ভট্টাচার্য আরেকটি পোস্ট করেন, ‘শেষ পোষ্টের অর্থ হয়ত ঠিকঠাক বোঝাতে পারিনি। অকারণ বিতর্ক হচ্ছে। তাই পোস্ট ডিলিট করলাম। কর্মীরাই দলের সম্পদ। সবাইকে নিয়ে চলতে হবে। তৃণমূল কংগ্রেস শৃঙ্খলাবদ্ধ দল। দলের সিদ্ধান্তের উপর ভরসা রাখতে হবে। এই দলে কর্মীদের স্বার্থ সবার আগে দেখা হয়। কারণ, এই দলের নেত্রীর নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।’

বিভিন্ন মহলে ফিসফাস

গত ২ মে একুশের বিধানসভা ভোটের ফল ঘোষণা হয়। গত এক বছরে তৃণমূলে বহু পুরনো মুখ যেমন ফিরেছে। একইভাবে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় বা জয়প্রকাশ মজুমদারদের মতো নেতারা। যা নিয়ে প্রথম থেকে তৃণমূলের অন্দরেই নানা কথা শোনা গিয়েছিল। অন্যদিকে মুকুল রায়, শুভ্রাংশু রায়, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, সব্যসাচী দত্তদের মতো দীর্ঘদিনের তৃণমূল নেতা, যাঁরা পরে বিজেপির হাত ধরলেও ফের ‘ঘরে’ ফেরেন। প্রশ্ন উঠছে, তা হলে দেবাংশুর পোস্টের ‘ড্রেনের জল’ কি এই নেতাদের কেউ কেউ? কাদের পিছনে সারিতে থাকার কথা বললেন তিনি? দেবাংশুর সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা যায়নি। অন্যদিকে এ বিষয়ে তৃণমূল নেতা জয়প্রকাশ মজুমদারকে ফোন করা হলে তিনি কোনও মন্তব্য করতে চাননি।

কিন্তু নিন্দুকেরা ইতিমধ্যেই দু’য়ে দু’য়ে চার করা শুরু করে দিয়েছে। রাজনৈতিক মহল বলছে, দেবাংশু ভট্টাচার্য তাঁর পোস্ট ডিলিট করলেও, বক্তব্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। এখনও অবধি যে সমস্ত নেতার তৃণমূলে ‘ঘর ওয়াপসি’ হয়েছে, সে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় হোক বা সব্যসাচী দত্ত, কেউই সংগঠনের প্রথম সারিতে উঠে আসতে পারেননি। এক সময় শাসকদলের গুরুত্বপূর্ণ মুখ হলেও রাজীব এখন ভিন রাজ্যে সংগঠন দেখেন। যে বিধাননগরে একটা সময় শোনা যেত সব্যসাচীই শেষ কথা, রাজনৈতিক মহলের মতে সেখানে এখন সুজিত বসু, তাপস চট্টোপাধ্যায়রাও সমগুরুত্বে। মুকুল রায় তো কার্যত আড়ালে। দেবাংশুর এই পোস্ট ‘বাণ’-এর নিশানায় কে বা কারা, খোলসা হল না। পোস্ট ডিলিট করলেও জিইয়ে রাখলেন বিতর্ক।

আরও পড়ুন: Coal Smuggling Case: গরুর পর এবার কয়লা, কালীঘাটের বিনয় মিশ্রের নামে হুলিয়া জারি সিবিআইয়ের