India-Bangladesh: ভারতের দাওয়াই কেমন লাগল বাংলাদেশের? ঠেলা খেয়েই চুপচাপ বড় পদক্ষেপ ইউনূস সরকারের
India-Bangladesh Relation: গত ১৬ মাসে দুই দেশের সম্পর্কের টানাপোড়েনে ক্রমেই যেন আরও তীব্র হয়েছে। ওদিকে যখন দফায় দফায় ভারত বিরোধিতা ক্রমেই বেড়েছে, তখনই আবার ভারতও পাল্টা নিজেদের অবস্থানও স্পষ্ট করেছে। গত ১০ দিনে দু’বার দুই দেশই পর পরস্পরের কূটনীতিকদের ডেকে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনাও করেছে।

কলকাতা: দিল্লির তৎপরতা দেখে এবার কপালে চিন্তার ভাঁজ ক্রমেই চওড়া হচ্ছে ঢাকার। আতঙ্কের কার্যত ঘুম উড়ে যাওয়ার জোগাড় ইউনূস প্রশাসনের অন্দরে। ভারতের একাধিক জায়গায় বাংলাদেশি দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভের ঘটনার জেরে ঢাকায় থাকা ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে ডেকে পাঠায় সে দেশের বিদেশ মন্ত্রক। এর ঠিক কিছুক্ষণের মধ্যেই মঙ্গলবারই দিল্লিতে ভারতের বিদেশ মন্ত্রক তলব করে বাংলাদেশের হাইকমিশনার এম রিয়াজ হামিদুল্লাহকে। তা নিয়ে আন্তর্জাতিক আঙিনায় চর্চা-তরজা নেহাৎ কম হয়নি।
গত ১৬ মাসে দুই দেশের সম্পর্কের টানাপোড়েনে ক্রমেই যেন আরও তীব্র হয়েছে। ওদিকে যখন দফায় দফায় ভারত বিরোধিতা ক্রমেই বেড়েছে, তখনই আবার ভারতও পাল্টা নিজেদের অবস্থানও স্পষ্ট করেছে। গত ১০ দিনে দু’বার দুই দেশই পর পরস্পরের কূটনীতিকদের ডেকে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনাও করেছে। তবে একই দিনে দুই দেশের দূতকে তলব পাল্টা তলবের ঘটনা দুই দেশের সম্পর্কের ইতিহাসে শেষ কবে হয়েছিল তা মনে করতে পারছেন না কেউই। সূত্রের খবর, গতকাল দিল্লির স্পষ্ট বক্তব্য জানিয়ে দেওয়া হয়েছে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতকে। তারপর থেকেই যেন এক অন্য পর্যায়ের তৎপরতা দেখা যাচ্ছে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে। নতুন করে নড়েচড়ে বসেছে ইউনূস প্রশাসন।
হাদির মৃত্যুর পর থেকেই ফুটছে বাংলাদেশ। তার মধ্যেই হিন্দু যুবক দিপু দাসের হত্যাকাণ্ডের পর থেকে অবস্থা আরও সঙ্কটজনক হয়েছে। প্রতিবাদ জোরাল হয়েছে এপার বাংলাতেও। ভারতের উপর চাপ তৈরি করতে দিল্লির বাংলাদেশ হাইকমিশন ইতিমধ্য়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য ভিসা পরিষেবা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সূত্রের খবর, এমতাবস্থায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতকে তলব করে বেশ কিছু বিষয় নিয়ে নিজেদের বক্তব্য জানিয়ে দিয়েছে দিল্লি। এরপরেই ইউনূস সরকারের কয়েকজন শীর্ষ কর্তা ময়মনসিংহের দিপু দাসের বাড়িতে গিয়ে হাজির হয়েছেন বলেও জানা যাচ্ছে। নতুন করে সেখানে এখন কোনও পদক্ষেপ করা হয় কিনা সেটাই দেখার।
