
বীরভূম: গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব জেরবার দল। নরমে-গরমে নানা মন্তব্য করেই চলেছেন জেলরা উপরতলার নেতারা। এরইমধ্যে বীরভূমে তৃণমূলের অন্দরে যেন চলছে ভারসাম্যের খেলা! গোটা ছবিটা দেখে রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা অন্তত তেমনটাই বলছেন। সূত্রের খবর, সিউরি ২ নম্বর ব্লকে এই মুহূর্তে পাল্লা ভারী কাজল শেখের। এরইমধ্যে ইস্তফা দেওয়ার পরেও ব্লক সভাপতির পদে রাখা হল নুরুল ইসলামকে। ব্লকের কোনও দায়িত্বেই রাখা হল না অনুব্রত ঘনিষ্ঠ অশ্বিনী মণ্ডলকে। তা নিয়ে চাপানউতোর তৈরি হতেই তাঁর বিরুদ্ধে বোলপুর থেকে কলকাঠি নাড়া হয়েছিল বলে খোঁচা নুরুলের। নুরুল বলছেন, “শেষ সাত থেকে আট মাস ধরে একটা সমস্যা তৈরি করা হয়েছে। এটা বোলপুর থেকে যে করানো হয়েছে এ কথা আমি অনেকবার বলেছি। লোভ ও ভয় দুটোই দেখানো হয়েছে।”
এদিকে অনুব্রত ঘনিষ্ঠ কার্যকরী ব্লক সভাপতি যিনি ছিলেন সেই অশ্বিনী মণ্ডলকে আর কিন্তু নতুন করে দায়িত্বে রাখা হয়নি। তা নিয়েও দলের অন্দরে চর্চা চলছে। অন্যদিকে আবার বোলপুরে পদে অনুব্রত অনুগামীরাই রয়েছেন বলে খবর। তবে অনুব্রত মণ্ডল ফিরে আসার পর সব থেকে বেশি গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব মাথাচাড়া দিয়েছে এই ব্লকেই। কখনও পার্টি অফিসে ব্লক সভাপতি ঢোকাকে কেন্দ্র করে বোমাবাজি হোক বা লাঠি নিয়ে মারধর। আবার কখনও রাস্তায় ফেলে মারধর থেকে ইট-পাটকেল ছোড়া। বাড়িতে বোমাবাজি। সবই চলেছে পুরোদমে। তা নিয়েও রাজনৈতিক মহলে চাপানউতোরের অন্ত নেই।
এখন নুরুলকে নিয়ে যখন চাপানউতোর যখন পুরোদমে তখন খোঁচা দিতে ছাড়েনি পদ্ম শিবির। বিজেপির বীরভূম জেলা সভাপতি বলছেন, “তৃণমূলের বিদায় আসন্ন। আমরা মনে করি তৃণমূল যাঁকেই সিউরি ২ এর সভা করুক তাও ওখানে ওদের অবস্থা খারাপ।”