Taliban: তালিবানের নজরে এবার বাংলাও! টার্গেট ‘ফিক্স’ করে এগোচ্ছে সে পথেই

TV9 Bangla Digital | Edited By: সায়নী জোয়ারদার

Aug 22, 2021 | 7:40 PM

আফগানিস্তানের তখ্তে তালিবান আসতেই এই বাঙালি মুজাহিদদের ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ শুরু করেছে জেএমবি, আনসার উল ইসলামের মতো জঙ্গি সংগঠনগুলি।

Follow Us

কলকাতা: তালিবানের নজরে এবার বাংলাও। টার্গেট বাংলাভাষী যুবকরা। বাংলায় পর পর ভিডিয়ো প্রকাশ করে আফগানিস্তানে তালিবান শিবিরে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানানো হচ্ছে। আফগানিস্তানে পাড়ি দিতে গিয়ে ভারতে আটক হচ্ছেন একাধিক বাংলাদেশি যুবক। স্বভাবতই এই ধরনের ঘটনা চিন্তার ভাঁজ বাড়াচ্ছে দুই বাংলার গোয়েন্দাদের কপালে।

কাঁধে একে ৪৭। হাতে ওয়াকিটকি। পরণে আফগানি পোশাক। খোস্ত-খোরাসানের রুক্ষ্ম পাথুরে মাটিতে দারি-পুস্ত-আরবি’র মধ্যেও শোনা যাচ্ছে বিশুদ্ধ বাংলা। সংখ্যায় কম হলেও, তালিবানের জন্ম লগ্ন থেকে আফগানিস্তানের মাটিতে তালিবানের হয়ে লড়াই করেছে কয়েকশো বাঙালি যুবক। নয়ের দশকে তালিবান ক্ষমতায় আসার পর তারাই ফিরে এসে বাংলাদেশের মাটিতে তৈরি করে জামাতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ ওরফে জেএমবি। বাংলা ভাইয়ের উত্তরসূরীরাও একই ভাবে জেহাদের ডাকে পাড়ি দিয়েছে তালিবানের দেশে। আফগানিস্তানের তখ্তে তালিবান আসতেই এই বাঙালি মুজাহিদদের ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ শুরু করেছে জেএমবি, আনসার উল ইসলামের মতো জঙ্গি সংগঠনগুলি।

গোয়েন্দাদের দাবি, ভিডিয়ো প্রকাশের উদ্দেশ্য একটাই। বাংলাভাষী যুবকদের আফগানিস্তানে প্রশিক্ষণ শিবিরে পাঠানো। জেহাদের ডাকে তালিবানে নাম লেখাতে দেশও ছেড়েছে অনেক যুবক। বাংলাদেশি কিছু যুবক ভারতে অনুপ্রবেশ করে আফগানিস্তানের উদ্দেশে রওনা হয়। তারা আফগানিস্তানে পৌঁছয় তালিবান বাহিনীতে যোগ দিতে। কয়েকজন বাংলাদেশি যুবককে আটক করা হয়েছে ভারতেও।

শুধু কি বাংলদেশের যুবকদের মধ্যে হিড়িক? সূত্রের খবর, কেরল, কর্নাটক-সহ ভারতের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে যুবকরা ইতিমধ্যেই আফগানিস্তানের মাটিতে তালিবানের হয়ে অস্ত্র ধরেছে। গোয়েন্দাদের আশঙ্কা সেই দলে থাকতে পারে এ রাজ্যের কিছু যুবকও। এই অনুমানের কারণ হিসাবে সূত্রের দাবি, গত কয়েক বছরে জেএমবি-নব্য জেএমবি-র হাত ধরে এ রাজ্য়েও প্রভাব বেড়েছে আল কায়েদা-আইসিসের।

পশ্চিমবঙ্গ, অসম এবং বাংলাদেশের বাংলাভাষী যুবকরাই এখন টার্গেট হয়ে উঠছে তালিবানের। আফগানিস্তান তালিব শক্তির মুঠোয় যেতেই সামনে এসেছিল ঝরঝরে বাংলায় কথা বলা আসিফুর রহমানের একটি ভিডিয়ো। বাঙালি মুজাহিদ আসিফুরের এই ভিডিয়ো বুঝিয়ে দিয়েছে বাঙালি ভিতটাও শক্ত করতে চাইছে এই অশুভ শক্তি। গত কয়েক বছর ধরে সোশ্যাল মিডিয়ায় সমস্ত ধরনের প্রচারে তারা বাংলাকে বিশেষ করে গুরুত্ব দিচ্ছে। সেখানে থেকেই বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, তালিবানের কালো ছায়া থেকে মুক্ত নয় বাংলাও।

এ প্রসঙ্গে অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্তা অরুণ রায়ের বক্তব্য, “তালিবানের প্রভাব যে বাংলাদেশে পড়বে তা আগেই জানতাম। সেই প্রভাবটা এই বাংলাকে কতটা এফেক্ট করবে সেটাই প্রশ্ন। ভারতের উচিৎ বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানের মাঝে যে পথ রয়েছে তা যেন কোনও ভাবেই ব্যবহার না হয় সেদিকে নজর রাখা। তার জন্য চূড়ান্ত সতর্ক থাকতে হবে।” আরও পড়ুন: উচ্চস্বরে বাজছে গান, তৃণমূলের ডাক্তার-বিধায়কের মুখে নেই মাস্ক! কলকাতা মেডিক্যালে ‘জমজমাট’ রাখিবন্ধন

কলকাতা: তালিবানের নজরে এবার বাংলাও। টার্গেট বাংলাভাষী যুবকরা। বাংলায় পর পর ভিডিয়ো প্রকাশ করে আফগানিস্তানে তালিবান শিবিরে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানানো হচ্ছে। আফগানিস্তানে পাড়ি দিতে গিয়ে ভারতে আটক হচ্ছেন একাধিক বাংলাদেশি যুবক। স্বভাবতই এই ধরনের ঘটনা চিন্তার ভাঁজ বাড়াচ্ছে দুই বাংলার গোয়েন্দাদের কপালে।

কাঁধে একে ৪৭। হাতে ওয়াকিটকি। পরণে আফগানি পোশাক। খোস্ত-খোরাসানের রুক্ষ্ম পাথুরে মাটিতে দারি-পুস্ত-আরবি’র মধ্যেও শোনা যাচ্ছে বিশুদ্ধ বাংলা। সংখ্যায় কম হলেও, তালিবানের জন্ম লগ্ন থেকে আফগানিস্তানের মাটিতে তালিবানের হয়ে লড়াই করেছে কয়েকশো বাঙালি যুবক। নয়ের দশকে তালিবান ক্ষমতায় আসার পর তারাই ফিরে এসে বাংলাদেশের মাটিতে তৈরি করে জামাতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ ওরফে জেএমবি। বাংলা ভাইয়ের উত্তরসূরীরাও একই ভাবে জেহাদের ডাকে পাড়ি দিয়েছে তালিবানের দেশে। আফগানিস্তানের তখ্তে তালিবান আসতেই এই বাঙালি মুজাহিদদের ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ শুরু করেছে জেএমবি, আনসার উল ইসলামের মতো জঙ্গি সংগঠনগুলি।

গোয়েন্দাদের দাবি, ভিডিয়ো প্রকাশের উদ্দেশ্য একটাই। বাংলাভাষী যুবকদের আফগানিস্তানে প্রশিক্ষণ শিবিরে পাঠানো। জেহাদের ডাকে তালিবানে নাম লেখাতে দেশও ছেড়েছে অনেক যুবক। বাংলাদেশি কিছু যুবক ভারতে অনুপ্রবেশ করে আফগানিস্তানের উদ্দেশে রওনা হয়। তারা আফগানিস্তানে পৌঁছয় তালিবান বাহিনীতে যোগ দিতে। কয়েকজন বাংলাদেশি যুবককে আটক করা হয়েছে ভারতেও।

শুধু কি বাংলদেশের যুবকদের মধ্যে হিড়িক? সূত্রের খবর, কেরল, কর্নাটক-সহ ভারতের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে যুবকরা ইতিমধ্যেই আফগানিস্তানের মাটিতে তালিবানের হয়ে অস্ত্র ধরেছে। গোয়েন্দাদের আশঙ্কা সেই দলে থাকতে পারে এ রাজ্যের কিছু যুবকও। এই অনুমানের কারণ হিসাবে সূত্রের দাবি, গত কয়েক বছরে জেএমবি-নব্য জেএমবি-র হাত ধরে এ রাজ্য়েও প্রভাব বেড়েছে আল কায়েদা-আইসিসের।

পশ্চিমবঙ্গ, অসম এবং বাংলাদেশের বাংলাভাষী যুবকরাই এখন টার্গেট হয়ে উঠছে তালিবানের। আফগানিস্তান তালিব শক্তির মুঠোয় যেতেই সামনে এসেছিল ঝরঝরে বাংলায় কথা বলা আসিফুর রহমানের একটি ভিডিয়ো। বাঙালি মুজাহিদ আসিফুরের এই ভিডিয়ো বুঝিয়ে দিয়েছে বাঙালি ভিতটাও শক্ত করতে চাইছে এই অশুভ শক্তি। গত কয়েক বছর ধরে সোশ্যাল মিডিয়ায় সমস্ত ধরনের প্রচারে তারা বাংলাকে বিশেষ করে গুরুত্ব দিচ্ছে। সেখানে থেকেই বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, তালিবানের কালো ছায়া থেকে মুক্ত নয় বাংলাও।

এ প্রসঙ্গে অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্তা অরুণ রায়ের বক্তব্য, “তালিবানের প্রভাব যে বাংলাদেশে পড়বে তা আগেই জানতাম। সেই প্রভাবটা এই বাংলাকে কতটা এফেক্ট করবে সেটাই প্রশ্ন। ভারতের উচিৎ বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানের মাঝে যে পথ রয়েছে তা যেন কোনও ভাবেই ব্যবহার না হয় সেদিকে নজর রাখা। তার জন্য চূড়ান্ত সতর্ক থাকতে হবে।” আরও পড়ুন: উচ্চস্বরে বাজছে গান, তৃণমূলের ডাক্তার-বিধায়কের মুখে নেই মাস্ক! কলকাতা মেডিক্যালে ‘জমজমাট’ রাখিবন্ধন

Next Article