‘দেউলিয়া তৃণমূলের জুতোর মালা আমাদের জন্য আশীর্বাদ’, সুর চড়ছে রাজীবের

ঋদ্ধীশ দত্ত |

Feb 02, 2021 | 4:04 PM

'যেখানেই বিজেপি সভা করতে যাচ্ছে, সেখানেই তৃণমূলের মধ্যে ভয়-ভয়, গেল-গেল রব উঠে যাচ্ছে। কেন এত ভয়? কেন এত হতাশা? এত অবিশ্বাসই বা কেন?'

দেউলিয়া তৃণমূলের জুতোর মালা আমাদের জন্য আশীর্বাদ, সুর চড়ছে রাজীবের
ফাইল ছবি

Follow Us

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: ‘হতাশায়’ ভুগছে তৃণমূল (TMC) কংগ্রেস। আর সেই হতাশার’ কারণেই যেখানে বিজেপি (BJP) সভা করতে যাচ্ছে, সেখানেই কালো পতাকা দেখানো হচ্ছে। বারুইপুরে বিজেপির জনসভা থেকে গেরুয়া উত্তরীয় গায়ে দ্বিতীয়বার মঞ্চে উঠে ছেড়ে আসা দলকে আক্রমণ করলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় (Rajib Banerjee)। তৃণমূল যতই চেষ্টা করুক না কেন, তাদের মরিয়া ভাবই আত্মবিশ্বাসের অভাব পরিষ্কার করে দিচ্ছে, এমনটাই বলেছেন প্রাক্তন বনমন্ত্রী।

সভা মঞ্চ থেকে রাজীব বলেন, “যেখানেই বিজেপি সভা করতে যাচ্ছে, সেখানেই তৃণমূলের মধ্যে ভয়-ভয়, গেল-গেল রব উঠে যাচ্ছে। কেন এত ভয়? কেন এত হতাশা? এত অবিশ্বাসই বা কেন? তিনি আরও বলেছেন, আমাদের কালো পতাকা দেখিয়ে স্বাগত জানাচ্ছে। এটাই তৃণমূল কংগ্রেসের দেউলিয়া অবস্থা প্রমাণ করে দেয়। যত ঘৃণ্য প্রচার করবে, কুৎসা করবে, তত ভারতীয় জনতা পার্টির উপর আশীর্বাদ নেমে আসবে। আসলে এই কালো পতাকা আমাদের জেদ বাড়িয়ে দেয়।” ‌

শুভেন্দু-রাজীবরা দল ছাড়ার পর থেকে একাধিক জায়গায় দলত্যাগীদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে তৃণমূল। কোথাও তাঁদের পোস্টারে কালি মাখানো, কোথাও বা জুতোর মালা দেওয়া হচ্ছে। সেই নিয়েও পালটা জবাব দিতে ছাড়েননি রাজীব। তিনি বলেছেন, “কত জুতোর মালা পরাবে পরাও। যত কালি লাগাবে লাগাও। তোমরা যত জুতোর মালা পরাবে, তত মনে করব সাধারণ মানুষ আমাদের ফুলের মালা পরাচ্ছে।”

রাজ্য ও কেন্দ্র লাগাতার ঝগড়া করে যাওয়ার কারণেই রাজ্যবাসী উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত হয়েছে বলেও দাবি করেন রাজীব। তাঁকে বলতে শোনা যায়, আমরাও মাঝেমধ্যে আলোচনা করতাম কেন্দ্রের সঙ্গে এত ঝগড়া করে কী হবে। নাম না করে এই জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই দায়ী করেছেন তিনি। রাজীবের কথায়, “তিনি কেন্দ্রের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখেননি। শুধু ঝগড়াই করে গিয়েছেন।”

আরও পড়ুন: উত্তরবঙ্গে বিজেপির এত জন বিধায়ক রয়েছেন, কী কাজ হয়েছে? প্রশ্ন মমতার

তবে কেবলমাত্র মেরুকরণের ভরসায় না থেকে আসন্ন বিধানসভা ভোটে কর্মসংস্থানও প্রাধান্য দেবে বিজেপি। রাজীবের কথাতেই কার্যত বিষয়টি আরও পরিষ্কার হয়ে গিয়েথে। তিনি বলেন, “এই রাজ্য সরকারের আমলে পাঁচ লক্ষ শূন্যপদ পড়ে রয়েছে। কেউ স্থায়ী চাকরি পায়নি। বিজেপি সরকার এলে স্থায়ী চাকরির ব্যবস্থা করা হবে। বাংলা মানুষ চাইছে কেন্দ্র ও রাজ্যে একই সরকার হোক। অমিত শাহ কথা দিয়েছেন আমাকে, বিজেপি ক্ষমতায় এলে বাংলার জন্য স্পেশাল প্যাকেজ ঘোষণা করা হবে।”

আরও পড়ুন: কয়লাকাণ্ড: ‘লালার কীর্তি’ জানতে আজও খনিতে সিবিআই, সঙ্গী বিশেষজ্ঞরা

Next Article