বিরসা মুন্ডাকে নিয়ে রাজনীতি বন্ধের দাবি আদিবাসী সমাজের, প্রয়োজনে বৃহত্তর আন্দোলনের পথে হাটার পরিকল্পনা

চাপান-উতরের মাঝেই নতুন করে বিরসা মুন্ডার মূর্তি তৈরির কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। বাঁকুড়ার পুয়াবাগান, যেখানে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এক শিকারির মূর্তিকে বিরসা মুন্ডার মূর্তি ভেবে বসেছিলেন, সেখানেই বাঁকুড়া জেলার সবথেকে বড় মূর্তি স্থাপন করা হবে বলে জানায় স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব।

বিরসা মুন্ডাকে নিয়ে রাজনীতি বন্ধের দাবি আদিবাসী সমাজের, প্রয়োজনে বৃহত্তর আন্দোলনের পথে হাটার পরিকল্পনা
বিরসা মুন্ডার মূর্তিতে মালা দেওয়া নিয়েই শুরু হয়েছে বিতর্ক। ছবি: সংগৃহীত।
Follow Us:
| Updated on: Nov 27, 2020 | 3:12 PM

বাংলা ডিজিটাল: কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের (Amit Shah) বাঁকুড়া জেলা সফরে বিরসা মুন্ডার মূর্তিতে মাল্যদান নিয়ে যে রাজনৈতিক জলঘোলা হয়েছিল, তাতে কার্যতই অসন্তুষ্ট আদিবাসী সমাজ (Tribal Community)। নোংরা রাজনীতি বন্ধ না হলে আগামী দিনে বৃহত্তর আন্দোলনের পথে নামার হুমকি দিলেন তাঁরা। পাশাপাশি অমিত শাহকে চিঠি লেখার পরিকল্পনাও করেছে আদিবাসী সমাজের একাংশ।

গোটা বাঁকুড়া (Bankura) জুড়েই ইতিমধ্যে পোস্টার লাগিয়েছে ‘ভারত জাকাত মাঝি পারগানা মহল’,’পশ্চিমবঙ্গ ভূমিজ ভাষা কমিটি’-র মতো আদিবাসী সংগঠনগুলি। প্রতিটি পোস্টারেই লেখা “বীর বিরসা মুন্ডাকে নিয়ে নোংরা রাজনীতি বন্ধ হোক।” কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন বিজেপি (BJP)-কেও পরোক্ষে সাবধান করে পোস্টারে লেখা হয়েছে “বিরসা মুন্ডার মূর্তি নিয়ে নোংরা রাজনীতির কারবারিরা সাবধান, হুঁশিয়ার।”

এই চাপান-উতরের মাঝেই নতুন করে বিরসা মুন্ডার মূর্তি তৈরির কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। বাঁকুড়ার পুয়াবাগান, যেখানে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এক শিকারির মূর্তিকে বিরসা মুন্ডার মূর্তি ভেবে বসেছিলেন, সেখানেই বাঁকুড়া জেলার সবথেকে বড় মূর্তি স্থাপন করা হবে বলে জানায় স্থানীয় তৃণমূল (TMC)নেতৃত্ব। এলাকা পরিদর্শনে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল জেলা সভাপতি তথা মন্ত্রী শ্যামল সাঁতরা, জেলা পরিষদের সভাধিপতি মৃত্যুঞ্জয় মুর্মু, বিধায়ক জ্যোৎস্না মান্ডি, বীরেন্দ্রনাথ টুডু সহ অন্যান্য নেতৃত্বরা। তারা একটি জায়গায় নারকেল ফাটিয়ে মূর্তি স্থাপনের সংকল্পও করেন।

আরও পড়ুন: বালুরঘাটে যুবক খুনের ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিমন্ত্রী বাচ্চু হাঁসদা

মূর্তি স্থাপনের বিষয়ে মন্ত্রী শ্যামল সাঁতরা বলেন,”পুয়াবাগান জাতীয় সড়কের উপর যে মূর্তিটি রয়েছে তা বিরসা মুন্ডার নয়, সৌন্দর্যায়নের জন্য বসানো একটি শিকারির মডেল। এর নীচে বিরসা মুন্ডার ছবি রেখে আমাদের ভগবানকে অপমান করেছে বিজেপি। আদিবাসী সমাজ এই পুয়াবাগানেই নতুন মূর্তি স্থাপন করবে বিরসা মুন্ডার। এই মূর্তি তৈরির জন্য একটি কমিটিও তৈরি করা হবে, আদিবাসীরা নিজেরাই চাঁদা তুলে মূর্তি বানাবেন। আমরা তাদের পাশে রয়েছি।” তৃণমূলের এই সিদ্ধান্তে খুশি আদিবাসী সমাজ।

অমিত শাহের সফরের পরেই ওই জায়গা দুধ-গঙ্গাজল দিয়ে ধুইয়ে শুদ্ধিকরণ করে তৃণমূল নেতৃত্ব। পরে বিরসা মুন্ডার জন্মদিনেও আদিবাসীরা গোবরজল দিয়ে জায়গার শুদ্ধিকরণ করে। বিতর্কিত ওই মূর্তিতেই মাল্যদান করে বিজেপির সাংসদ সুভাষ সরকার বলেন,”এই মূর্তি বিরসা মুন্ডারই। তৃণমূল অহেতুক মূর্তি নিয়ে রাজনীতি করছে।”

আরও পড়ুন: পরিষেবা দিতে দেরি হলে এবার জরিমানা দেবেন খোদ সরকারি অফিসার! জানেন কোন রাজ্যে?