TMC-Congress: সাগরদিঘির ঢেউ কি এবার জঙ্গলমহলে? তৃণমূল ছেড়ে কংগ্রেসের হাত ধরল ৭০টি পরিবার
Bankura: বাঁকুড়ার রাইপুর ব্লকের ঢেকো অঞ্চল। যা এতদিন তৃণমূলের গড় হিসাবে পরিচিত ছিল। সেই তৃণমূলের গড়েই পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগেই ঘটল উলটপুরাণ।
বাঁকুড়া: সাগরদিঘির উপনির্বাচনে জয়ের প্রবল আত্মবিশ্বাসী অধীর চৌধুরী। কংগ্রেস নেতা বলেন, “আগামী দিনে আরও সাগরদিঘি হবে।” অধীরের সেই কথাকেই যেন সত্যি করে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে উলটপুরাণ। জঙ্গলমহলে তৃণমূল ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দিল ৭০টি পরিবার। যদিও, তৃণমূলের দাবি ওই পরিবারগুলির সঙ্গে তৃণমূলের কোনও সম্পর্ক ছিল না।
বাঁকুড়ার রাইপুর ব্লকের ঢেকো অঞ্চল। যা এতদিন তৃণমূলের গড় হিসাবে পরিচিত ছিল। সেই তৃণমূলের গড়েই পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগেই ঘটল উলটপুরাণ। তৃণমূল ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দিল ৭০ টি পরিবার। শনিবার স্থানীয় বক্সি বাজারে কংগ্রেসের বাঁকুড়া জেলা সভাপতি নীলমাধব গুপ্ত দলে নবাগতদের হাতে কংগ্রেসের পতাকা তুলে দেন। কংগ্রেস জেলা সভপতি নীলমাধব গুপ্ত বলেন, “তৃণমূল কংগ্রেস নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে। শেষ হয়ে যাবে। যে ব্যক্তিরা যোগদান করলেন তাঁদেরকে আমরা ধন্যবাদ জানালাম।” অপরদিকে তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি বলেন, “শুনলাম তৃণমূল ছেড়ে কংগ্রেসে যোগদান করেছে। এই লোকগুলো বিজেপি কর্মী ছিল।”
কংগ্রেসে যোগদানকারীদের মধ্যে বেশ কয়েকজন তৃণমূলের প্রাক্তন নেতা রয়েছেন বলে দাবি করেছে কংগ্রেস। হাত শিবিরের আরও দাবি, পঞ্চায়েত ভোটের আগে জঙ্গলমহলে তৃণমূলের শক্তিক্ষয় ঘটল। কংগ্রেসে যোগদানকারীদের দাবি, তৃণমূলের ব্লক স্তর থেকে রাজ্য স্তরের নেতৃত্ব যেভাবে দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত তাতে বীতশ্রদ্ধ হয়ে তাঁরা দলত্যাগ করেছেন। অপরদিকে, তৃণমূলের দাবি কংগ্রেসে যোগদানকারীরা তৃণমূলের নয়। বরং বিজেপির কর্মী ছিলেন। বিজেপি যদিও বলেছে, কংগ্রেসে যোগদানকারীদের সঙ্গে তাঁদের কোনও সম্পর্ক ছিল না।