Bankura Flag Hoisting: সংশোধনাগারে উল্টো পতাকা তোলার অভিযোগ সরকারি আধিকারিকের বিরুদ্ধে, পথে নামল বিজেপি

Bankura: সোমবার রাত্রিবেলাই বাঁকুড়া শহরের মাচানতলায় বিজেপি নেতা কর্মীরা ওই ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখালেন।

Bankura Flag Hoisting: সংশোধনাগারে উল্টো পতাকা তোলার অভিযোগ সরকারি আধিকারিকের বিরুদ্ধে, পথে নামল বিজেপি
উল্টো পতাকা তোলার অভিযোগ (নিজস্ব চিত্র)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 16, 2022 | 1:07 PM

বাঁকুড়া: সোমবার স্বাধীনতা দিবসের উল্টো পতাকা উত্তোলনের অভিযোগ ওঠে খোদ বাঁকুড়ার জেলাশাসক রাধিকা আইয়ারের বিরুদ্ধে। সেই প্রতিবাদে মঙ্গলবার পথে নামল বিজেপি। দফায়-দফায় বিক্ষোভ দেখালেন তাঁরা।

সোমবার রাত্রিবেলাই বাঁকুড়া শহরের মাচানতলায় বিজেপি নেতা কর্মীরা ওই ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখালেন। বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের দাবি, জেলা শাসককের মতো উচ্চ পদস্থ আধিকারিক যেভাবে জাতীয় পতাকা উল্টো করে উত্তোলন করেছেন তাতে জাতীয় পতাকা অবমাননার পাশাপাশি তা বাঁকুড়ার কাছে লজ্জা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ বিষয়ে জেলা শাসকের বিরুদ্ধে আগামীদিনে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়েরের হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন বিজেপি নেতৃত্ব।

এই বিষয়ে বাঁকুড়া বিজেপি জেলা সভাপতি সুনীল রুদ্র মণ্ডল বলেন, ‘বাঁকুড়ার সংশোধনাগারে মাননীয়া ডিএম জাতীয় পতাকাকে উল্টো ভাবে তোলেন। উল্টো পতাকা তোলার পর জাতীয় সংগীত গাইলেন। আর তারপর সেটা সংশোধন করার জন্য এমন ভাবে তুললেন যে জাতীয় পতাকা মাটিতে ঠেকল, পায়ে ঠেকল। পতাকার প্রতি এই যে অপমান তা বাঁকুড়াবাসীকে অপমান করা হয়েছে। একসময় এই জাতীয় পতাকার সম্মান রক্ষার জন্য বহু মানুষের নিজেদের জীবন বলিদান দিয়েছেন। এখনও বহু মানুষ বলিদান দিচ্ছেন নিজের জীবন। অথচ তিনি একজন সরকারি আধিকারিক হয়ে পতাকা উল্টোভাবে তুললেন। আর এই লজ্জা বাঁকুড়াবাসীকে লজ্জিত করল। সেই কারণে আমরা বিক্ষোভ দেখাচ্ছি। এই ঘটনার সঠিক তদন্ত হওয়া উচিৎ।’

উল্লেখ্য, সোমবার বাঁকুড়া সংশোধনাগারে উল্টো পতাকা উত্তোলন করে বিতর্কে জড়ান জেলার জেলাশাসক কে রাধিকা আইয়ার। বিষয়টি তখনকার মতো নজর এড়িয়ে গেলেও উল্টো পতাকার সামনেই জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া হয় বলে খবর। এরপর জেলা শাসককে অভিবাদন জানান জেল রক্ষীবাহিনী। পরে জেলা শাসক এলাকা ছাড়তেই বিষয়টি নজরে আসে কারাকর্মীদের। এরপর তড়িঘড়ি তাঁরাই পতাকা নামিয়ে তা ফের সঠিক ভাবে উত্তোলন করেন।

তবে কেন এমনটা হল তা নিয়ে কারা কর্তৃপক্ষের কাছে জবাব তলব করেছে জেলা প্রশাসন। সেই সময় বিষয়টির কড়া সমালোচনা করেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার। যদিও জেলা তৃণমূলের দাবি, বিজেপির কাছ থেকে দেশের মানুষকে দেশাত্মবোধ শিখতে হবে না।

যদিও, জেল কর্তৃপক্ষ বা জেলা শাসক কারোর বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, জেল কর্তৃপক্ষকে এই বিষয়ে কারণ দর্শানোর নোটিস দেওয়া হয়েছে।