AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Bankura: একই সঙ্গে চাকরিহারা ৬ শিক্ষক, ধুঁকছে জঙ্গলমহলের স্কুলের বিজ্ঞান বিভাগ

Bankura: বাঁকুড়ার একেবারে দক্ষিণ সীমানায় অবস্থান রানিবাঁধ ব্লকের ঝিলিমিলির। ঝিলিমিলির একদিকে পুরুলিয়া জেলার বান্দোয়ান ব্লক অন্যদিকে ঝাড়গ্রাম জেলার বেলপাহাড়ি ব্লক। এই তিন জেলারই সীমানাবর্তী গ্রামগুলির ১৪০০ র বেশি পড়ুয়ার কাছে অন্যতম ভরসার জায়গা ঝিলিমিলি হাইস্কুল।

Bankura: একই সঙ্গে চাকরিহারা ৬ শিক্ষক, ধুঁকছে জঙ্গলমহলের স্কুলের বিজ্ঞান বিভাগ
শিক্ষকবিহীন স্কুলImage Credit: TV9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Apr 21, 2025 | 5:32 PM
Share

বাঁকুড়া: আদালতের নির্দেশে মুখ থুবড়ে পড়তে চলেছে জঙ্গলমহলের তিন জেলার সীমান্তবর্তী ঝিলিমিলি স্কুলের বিজ্ঞান বিভাগ। বিজ্ঞান বিভাগেরই ৬ জন শিক্ষক সহ মোট ৯ জন শিক্ষক চাকরি হারানোয় চূড়ান্ত অনিশ্চয়তার মুখে স্কুলের প্রায় দেড় হাজার পড়ুয়া।  জঙ্গলমহলের বাঁকুড়া, পুরুলিয়া ও ঝাড়গ্রাম এই তিন জেলার সীমানাবর্তী স্কুল ঝিলিমিলি। এ রাজ্যে ২৬ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশের পর চূড়ান্ত সঙ্কটে পড়েছে বাঁকুড়া জেলার অন্যতম নামী এবং বড় এই স্কুল। স্কুলের বিজ্ঞান বিভাগের ৬ শিক্ষকের পাশাপাশি এই স্কুলের ৯ শিক্ষকের চাকরির ভবিষ্যৎ এখন ঝুলে রয়েছে আদালতে। এদিকে এক সঙ্গে বিজ্ঞান বিভাগের এত জন শিক্ষকের চাকরি বাতিল হয়ে যাওয়ায় স্কুলের বিজ্ঞান বিভাগের পঠন পাঠন কীভাবে চলবে তা ভেবেই কিনারা করতে পারছে না স্কুল কর্তৃপক্ষ। চূড়ান্ত অনিশ্চয়তার মধ্যে দিন কাটাচ্ছে স্কুলের প্রায় ১৪০০ পড়ুয়া।

বাঁকুড়ার একেবারে দক্ষিণ সীমানায় অবস্থান রানিবাঁধ ব্লকের ঝিলিমিলির। ঝিলিমিলির একদিকে পুরুলিয়া জেলার বান্দোয়ান ব্লক অন্যদিকে ঝাড়গ্রাম জেলার বেলপাহাড়ি ব্লক। এই তিন জেলারই সীমানাবর্তী গ্রামগুলির ১৪০০ র বেশি পড়ুয়ার কাছে অন্যতম ভরসার জায়গা ঝিলিমিলি হাইস্কুল। অর্থনৈতিক দিক থেকে অত্যন্ত পিছিয়ে পড়া আদিবাসী প্রধান ওই এলাকার পড়ুয়াদের লেখাপড়া অনেকাংশেই স্কুল নির্ভর।

২০২০ সালে বিজ্ঞান বিভাগের ৬ জন শিক্ষক নতুন করে এই স্কুলে আসায় পড়ুয়াদের কথা চিন্তা করে একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণিতে বিজ্ঞান বিভাগ চালু করা হয় এই স্কুলে। কয়েকবছর ধরে সেই বিভাগ সফলভাবে চলার পর সম্প্রতি আদালতের নির্দেশে বড় ধাক্কা খেল স্কুল। আদালতের নির্দেশে বাঁকুড়ার প্রত্যন্ত এই স্কুলের বিজ্ঞান বিভাগের ৬ শিক্ষক সহ মোট ৯ জন চাকরি হারিয়েছেন।

আদালতের নির্দেশের পর ওই শিক্ষকরা সেভাবে আর স্কুলমুখো হননি। এই পরিস্থিতিতে কীভাবে চলবে স্কুল? কীভাবেই বা চালানো যাবে বিজ্ঞান বিভাগ? আশঙ্কায় স্কুল কর্তৃপক্ষ। স্কুলে এতদিন মোট ২৫ জন শিক্ষক ছিলেন। যা পড়ুয়ার সংখ্যার অনুপাতে বেশ কম। সেই ২৫ জনের মধ্যে ৯ জন শিক্ষক চাকরি হারানোয় স্কুলের সামগ্রীক পঠন পাঠনই বা কীভাবে সামাল দেওয়া যাবে তা নিয়েও শঙ্কায় স্কুল কর্তৃপক্ষ। আদালতের রায়ের পর নিজেদের পঠন পাঠনের ভবিষ্যৎ নিয়েও চূড়ান্ত অনিশ্চয়তার মধ্যে দিন কাটাচ্ছে স্কুল পড়ুয়ারা।