Bankura BJP: ‘দিদির ভূতরা এলে ঝাঁটা গোবর দিয়ে তাড়ান’, বিতর্কে জড়ালেন বিজেপি বিধায়ক
Bankura BJP: নিজের বক্তব্যের সমর্থনে অমরনাথ বলেন, "কার বাড়িতে কী ধন সম্পদ রয়েছে এবং তা কীভাবে কেড়ে নেওয়া যায় তা দেখতেই দিদির ভূতেরা এখন দরজায় যাচ্ছে।"
বাঁকুড়া: “দিদির ভূতরা প্রত্যেকে দাগী আসামী, চোর, লম্পট। এরা দরজায় গেলে সাধুবাবা যেভাবে ঝাঁটা গোবর দিয়ে ভূত তাড়ায় সেভাবে খাতির করবেন।” এবার এই মন্তব্য করলেন বাঁকুড়ার বিজেপি বিধায়ক অমরনাথ শাখা। বাঁকুড়ার হেভির মোড়ে দলের একটি কর্মিসভায় দলের কর্মীদের প্রতি এই নিদান দিয়েছেন। তা নিয়ে রাজনৈতিক বিতর্ক তৈরি হয়েছে। তৃণমূল এর বিরুদ্ধে কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছে। এর আগে একাধিকবার প্রকাশ্য সভায় বিতর্কিত মন্তব্য করে সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন ওন্দার বিজেপি বিধায়ক অমরনাথ শাখা। ফের এক কর্মিসভায় তাঁর বক্তব্য ঘিরে বিতর্কে দানা বাঁধল। শনিবার বাঁকুড়ার হেভির মোড়ের এক কর্মিসভায় অমরনাথ শাখা বলেন, “ক্ষমতায় আসার এক বছরের মাথায় মুখ্য়মন্ত্রী বলেছিলেন একশো শতাংশ কাজ করে ফেলেছেন। আজ এগারো বছর পর দূতেদের দরজায় পাঠাচ্ছে। আমরা দিদির দূতদের বলি দিদির ভূত। এরা সকলেই দাগী আসামী, চোর, লম্পট।” বিজেপি বিধায়কের আরও নিদান, “ওরা দরজায় গেলে বাড়িতে আটকে রেখে ভূত তাড়ানোর মতো করে ঝাঁটা, গোবর দিয়ে খাতির করবেন। কলার চেপে জিজ্ঞাসা করবেন কেন আবাস মেলেনি। এগারো বছরে কাজের হিসাব চাইবেন।”
পরে নিজের বক্তব্যের সমর্থনে অমরনাথ বলেন, “কার বাড়িতে কী ধন সম্পদ রয়েছে এবং তা কীভাবে কেড়ে নেওয়া যায় তা দেখতেই দিদির ভূতেরা এখন দরজায় যাচ্ছে।”
তৃণমূল নেতা শিবাজী বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,”জন্ম থেকে মৃত্যু সবক্ষেত্রেই মানুষ উন্নয়নটা চোখে দেখেছেন। বিজেপি গ্রাম পঞ্চায়েত নির্বাচনে মানুষের কাছে যেতে পারবে না। সে কারণে ভয় পেয়েই বিজেপি বিধায়ক এমন আবোল তাবোল বকছেন।”