Bankura: ছেলেমেয়েকে পড়াতে শহরে থাকেন, গ্রাম থেকে ফোন আসতেই বুঝলেন আজ তাঁরা নিঃস্ব
Bankura: রাজীব লোচন মল্লিক ও তাঁর স্ত্রী রুমা মল্লিকদের দাবি, তাঁরা শহরে অন্যের বাড়িতে ভাড়া থাকেন। ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার জন্য বাড়ি থেকে দূরে থাকেন। সেভাবে ব্যাঙ্কে কোনও লকার নেই তাঁদের।
বাঁকুড়া: ছেলেমেলের পড়াশোনা শহরে। তাই তাদের জন্য গ্রামের বাড়ি ছেড়ে শহরেই থাকতে হয় দম্পতিকে। গ্রামের বাড়ি ফাঁকা থাকে। সে কথা হয়তো আগেই ছানবিন করে জেনে নিয়েছিল চোরের দল। শীতের রাতে ফাঁকা বাড়িতে সর্বস্ব লুঠ করে নিয়ে পালাল চোরের দল। বৃহস্পতিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ার সিমলাপালের কুখড়াকোন্দর গ্রামে। শুক্রবার সকালে বিষয়টি নজরে আসে প্রতিবেশীদের। তাঁরাই তখন বাড়ি মালিককে খবর দেন। পরিবারের দাবি, বাড়ি থেকে ২ লক্ষ টাকা ও ৬ ভরি সোনার গয়না লুঠ হয়েছে।
জানা গিয়েছে, কুখড়াকোন্দর গ্রামের রাজীবলোচন মল্লিক ছেলে মেয়েদের পড়াশুনার স্বার্থে সপরিবারে বাঁকুড়া শহরে বসবাস করেন। গ্রামের বাড়িতে কেউ না থাকায় বৃহস্পতিবার রাতে দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকেছিল চোরের দল। আলমারি ভেঙে নগদ টাকা ও গহনাগাটি নিয়ে চম্পট দেয়। সকালে খবর পেয়ে গ্রামের বাড়িতে আসেন রাজীব লোচন মল্লিক।
রাজীব লোচন মল্লিক ও তাঁর স্ত্রী রুমা মল্লিকদের দাবি, তাঁরা শহরে অন্যের বাড়িতে ভাড়া থাকেন। ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার জন্য বাড়ি থেকে দূরে থাকেন। সেভাবে ব্যাঙ্কে কোনও লকার নেই তাঁদের। তাই গয়না বাড়িতেই রেখেছিলেন। বরাবরই রেখে এসেছেন। কিন্তু এই ধরনের অভিজ্ঞতা প্রথম। রুমা জানাচ্ছেন, তাঁর জমানো ও স্ত্রী ধন সবটাই গিয়েছে।
এই ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন ওই দম্পতি। প্রতিবেশীরাও আতঙ্কিত। খবর পেয়ে গ্রামে যায় সিমলাপাল থানার পুলিশ। পুলিশ মনে করছে, অনেক দিন ধরেই দুষ্কৃতীরা টার্গেট করেছিল। সমস্ত তথ্য নিয়েই ‘অপারেশন’ চালিয়েছে। অভিযুক্তদের খোঁজে চলছে তল্লাশি।