Bankura: পা তুলে কোনও রকমে বসে আছে রোগী, ভাসছে ওষুধ, সরকারি হাসপাতালের ছবি ভাইরাল
Bankura: সোমবার একপশলা ভারী বৃষ্টির পর স্থানীয় এক ব্যাক্তি হাসপাতালের আউটডোরের ভিডিয়ো তুলে তা সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দেন। যেখানে দেখা যাচ্ছে হাসপাতালের আউটডোরের মেঝে দিয়ে বয়ে চলেছে নোংরা জল।

বাঁকুড়া: এক শিশুকে মুখে করে টেনে নিয়ে যাচ্ছে কুকুর। এমনই ছবি ভাইরাল হয়েছিল বাঁকুড়ায়। সোনামুখী গ্রামীণ হাসপাতালের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উঠেছিল। আর এবার সেই হাসপাতালের আরও এক ভয়ঙ্কর ছবি ধরা পড়ল ক্যামেরায়। জলে ভাসছে ওষুধ, পা ডুবে যাচ্ছে রোগীদের।
জল থৈ থৈ হাসপাতালে ভাসছে বাক্স বাক্স ওষুধ, বেঞ্চে পা তুলে রোগী বসে রয়েছেন রোগীর পরিজনেরা। সবকিছু দেখেও নীরব হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
কুকুরের সেই ছবি প্রকাশ্যে আসার পরও হাসপাতালের পরিকাঠামোগত হাল যে এতটুকুও বদলায়নি তার প্রমাণ মিলল সোমবারের ছবিতে। বেঞ্চের উপর পা তুলে কোনওক্রমে বসে রয়েছেন রোগী ও রোগীর পরিজনেরা। এমন ছবি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তে ফের শোরগোল পড়েছে এলাকায়।
সোনামুখী গ্রামীণ হাসপাতাল বাঁকুড়া জেলায় ব্লক স্তরের অন্যতম বড় হাসপাতাল। এই হাসপাতালের উপর চিকিৎসার ব্যাপারে নির্ভরশীল সোনামুখী ব্লকের কমবেশি ১০টি গ্রাম পঞ্চায়েত ও পাত্রসায়র ব্লকের একাধিক গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার মানুষ। কিন্তু সেই হাসপাতালের পরিকাঠামো এতটাই বেহাল যে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
গত বছর সোনামুখী গ্রামীণ হাসপাতালের একটি ছবি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে, যেখানে দেখা যায় একটি কুকুর সদ্যোজাতকে মুখে করে তুলে নিয়ে যাচ্ছে। যা নিয়ে তুমুল তোলপাড় হয় জেলা। জেলার স্বাস্থ্যকর্তারা তড়িঘড়ি ওই হাসপাতালে তদন্তে গিয়ে পরিকাঠামোর উন্নয়নের আশ্বাস দেন।
সোমবার একপশলা ভারী বৃষ্টির পর স্থানীয় এক ব্যাক্তি হাসপাতালের আউটডোরের ভিডিয়ো তুলে তা সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দেন। যেখানে দেখা যাচ্ছে হাসপাতালের আউটডোরের মেঝে দিয়ে বয়ে চলেছে নোংরা জল। সেই নোংরা জলের মধ্যেই পড়ে রয়েছে একাধিক ওষুধের বাক্স। আউটডোরে চিকিৎসা করাতে আসা রোগী ও রোগীর পরিজনেরা বয়ে যাওয়া নোংরা জলের হাত থেকে বাঁচতে সার দিয়ে রাখা বেঞ্চের উপর পা তুলে বসে রয়েছেন।
রোগীর পরিজনজদের দাবি, সোনামুখী গ্রামীণ হাসপাতালের এমন ছবি কোনও বিরল ঘটনা নয়। একটু বৃষ্টি হলেই ছাদ ও দেওয়ালের ফাটা অংশ দিয়ে তা গড়িয়ে পড়ে হাসপাতালের আউটডোরের করিডরে। করিডর দিয়ে বইতে থাকে পার্শ্ববর্তী নর্দমার নোংরা জলও।
