Bankura Job Seekers: ১৪ বছরের আইনি লড়াই, তবুও এখনও মেলেনি বাবার চাকরি! প্রশ্নের মুখে শিক্ষাদফতর
Bankura Job Seekers: বাঁকুড়ার কোতুলপুর ব্লকের মুড়াকাটা গ্রামের বাসিন্দা দুর্গাপদ পাল পেশায় প্রাথমিক শিক্ষক ছিলেন। গ্রামের প্রান্তেই মুড়াকাটা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাকুরিরত অবস্থায় ১৯৯৩ সালে শারীরিক অসুস্থতার কারণে মৃত্যু হয় তাঁর।
বাঁকুড়া: ১৪ বছরের আইনি লড়াই শেষে জয় মিললেও মেলেনি চাকরি। দিশেহারা চাকরিপ্রার্থী। মৃত বাবার চাকরি পেতে নিজের সামান্য রোজগারেও দীর্ঘ ১৪ বছর ধরে আইনি লড়াই লড়েছেন। আইনি লড়াই লড়তে গিয়ে শেষ হয়েছিল পরিবারের সঞ্চয়ও । শেষ অবধি জয় মিলেছে। চার সপ্তাহের মধ্যে আদালত চাকরি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। কিন্তু ৩ মাস কেটে গেলেও এখনও চাকরি পাননি বাঁকুড়ার কোতুলপুর ব্লকের মুড়াকাটা গ্রামের প্রভাত কুমার পাল।
বাঁকুড়ার কোতুলপুর ব্লকের মুড়াকাটা গ্রামের বাসিন্দা দুর্গাপদ পাল পেশায় প্রাথমিক শিক্ষক ছিলেন। গ্রামের প্রান্তেই মুড়াকাটা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাকুরিরত অবস্থায় ১৯৯৩ সালে শারীরিক অসুস্থতার কারণে মৃত্যু হয় তাঁর। তিন কন্যা ও একমাত্র পুত্র নাবালক থাকায় নিয়ম অনুযায়ী স্বামীর চাকরি পেতে আবেদন জানান স্ত্রী অঞ্জলি পাল।
কিন্তু সেই চাকরি পাওয়ার আগেই ২০০০ সালে মৃত্যু হয় তাঁরও। ২০০৮ সালে মৃত দম্পতির একমাত্র পুত্র প্রভাত কুমার পালের বয়স ১৮ বছর পূর্ণ হলে শিক্ষা দফতরে চাকরির আবেদন জানান। কিন্তু শিক্ষা দফতর চাকরি দিতে টালবাহানা করায়, ২০০৯ সালে প্রভাত কুমার পাল হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। দীর্ঘ এক যুগেরও বেশি সময় ধরে আইনি লড়াই চালানোর পর চলতি বছরের ৩১ জুলাই শিক্ষা দফতরকে চার সপ্তাহের মধ্যে প্রভাত কুমার পালকে নিয়োগের নির্দেশ দেয়।
চার সপ্তাহ কেটে গেলেও শিক্ষা দফতর নিয়োগ দেওয়ার ব্যাপারে কোনও উদ্যোগ নেয়নি বলে দাবি প্রভাত কুমার পালের। এদিকে দীর্ঘ আইনি লড়াই চালাতে গিয়ে পরিবারের সমস্ত সম্পত্তি খুইয়ে কার্যত নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন তিনি। আপাতত প্রভাব অন্যের কাপড়ের দোকানে কাজ করছেন। আদালতের নির্দেশ সত্ত্বেও শিক্ষা দফতর নিয়োগের ব্যাপারে পদক্ষেপ না করায় রীতিমতো হতাশ প্রভাত।