AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Bankura School: পড়ুয়া ১৫১, শিক্ষিকা ১! ব্যাস্তানুপাতিক হারের এই স্কুলের হালচাল চমকে দেওয়ার মতো

Bankura School: স্কুলের দৈন্যদশার প্রতিবাদে স্কুলের একমাত্র শিক্ষিকাকে তালাবন্দি করে রেখে বিক্ষোভ দেখালেন এলাকাবাসীরা। ঘটনা বাঁকুড়ার সিমলাপাল ব্লকের তেঁতুলিয়া শিশু শিক্ষা কেন্দ্রের। সমস্যার কথা শুনে দ্রুত সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছে স্থানীয় ব্লক প্রশাসন।

Bankura School: পড়ুয়া ১৫১, শিক্ষিকা ১! ব্যাস্তানুপাতিক হারের এই স্কুলের হালচাল চমকে দেওয়ার মতো
বাঁকুড়ার স্কুলImage Credit: TV9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Feb 01, 2024 | 12:42 PM
Share

বাঁকুড়া: প্রাক প্রাথমিক স্তর থেকে চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত পাঁচটি ক্লাসে পড়ুয়ার সংখ্যা মোট ১৫১ জন। অথচ তাঁদের পড়ানোর জন্য শিক্ষিকা মাত্র ১ জন। স্কুলে নেই পানীয় জলের ব্যবস্থা। নেই সীমানা পাঁচিল। স্কুলের দৈন্যদশার প্রতিবাদে স্কুলের একমাত্র শিক্ষিকাকে তালাবন্দি করে রেখে বিক্ষোভ দেখালেন এলাকাবাসীরা। ঘটনা বাঁকুড়ার সিমলাপাল ব্লকের তেঁতুলিয়া শিশু শিক্ষা কেন্দ্রের। সমস্যার কথা শুনে দ্রুত সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছে স্থানীয় ব্লক প্রশাসন।

বাঁকুড়ার সিমলাপাল ব্লকের তেঁতুলিয়া গ্রামে কোনো প্রাথমিক বিদ্যালয় নেই। ২০০১ সালের আগে পর্যন্ত গ্রামের শিশুদের যেতে হত দূরবর্তী গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। গ্রামের শিশুদের কথা চিন্তা করে ২০০১ সালে তেঁতুলিয়া গ্রামে প্রতিষ্ঠা করা হয় শিশু শিক্ষা কেন্দ্র। নিয়োগ হন পাঁচ জন শিক্ষক শিক্ষিকা। গত ২৩ বছরে কোনও শিক্ষক অবসর নিয়েছেন আবার কোনও শিক্ষক অন্যত্র চলে গিয়েছেন।

ধীরে ধীরে শিক্ষক শিক্ষিকার সংখ্যা কমতে কমতে ওই শিশু শিক্ষা কেন্দ্রে শিক্ষক শিক্ষিকার সংখ্যা এসে দাঁড়ায় একজনে। সেই একজন শিক্ষিকা ও একজন সহায়িকার কাঁধেই ১৫১ জন পড়ুয়াকে পড়ানো ও সামলানোর দায়িত্ব। এরফলে স্কুলে শুধু পঠনপাঠন লাটে উঠেছে তাই নয়, স্কুল চলাকালীন শিশুরা যেভাবে খোলা জায়গায় ছোটাছুটি করে তাতে শিশুদের স্কুলে পাঠিয়ে নিশ্চিন্তে বাড়িতে থাকতে পারেন না অভিভাবকরা। তবে শুধু শিক্ষকের অভাব রয়েছে তাই নয়, স্কুলে পানীয় জলের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেই। স্কুলের সীমানা পাঁচিল না থাকায় দুর্ঘটনার আশঙ্কাও থাকে।

বারেবারে স্কুলের এই বেহাল দশার ছবি প্রশাসনের কানে তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দা থেকে শুরু করে স্কুলের সবেধন নীলমনি শিক্ষিকা। কিন্তু স্কুলের হাল বদল না হওয়ায় স্কুলের একমাত্র শিক্ষিকাকে স্কুলেই তালাবন্দি করে বিক্ষোভে সামিল হলেন এলাকার মানুষ। অবিলম্বে শিশু শিক্ষা কেন্দ্রটিকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পরিবর্তন করে শিক্ষক নিয়োগ, পানীয় জলের ব্যবস্থা এবং সীমানা পাঁচিল তৈরি না করা হলে আগামীদিনে আরও বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন এলাকাবাসী।

সমস্যার কথাও কার্যত স্বীকার করে নিয়েছেন স্কুলের একমাত্র শিক্ষিকা। স্থানীয় বিডিও অবশ্য জানিয়েছেন দ্রুত সমস্যা সমাধানের ব্যবস্থা করা হবে।