Bankura: বিজেপি নেতার ঘর ওয়াপসি, যুব তৃণমূল নেতাও ধরলেন পদ্ম পতাকা
Bankura: ২০২১ আগে গেরুয়া শিবির ছেড়ে ঘাসফুল শিবিরে যোগ দিয়েছিলেন ডাকাবুকো নেতা অখিল চন্দ্র রক্ষিত। এরপর পদ না মিললেও তৃণমূলের কর্মী হিসাবে গত ৩ বছর লাগাতার কাজ করে গিয়েছিলেন। লোকসভা নির্বাচনের আগে শুধু নিজের ঘরে ফিরলেন তাই নয়, একই সঙ্গে তৃণমূলের তালডাংরা ব্লকের সহ সভাপতি সাগর লায়েকও পদ্ম পতাকা হাতে তুলে নিলেন।
বাঁকুড়া: ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করেছিলেন। তবে পদ মেলেনি। কিন্তু তৃণমূল কর্মী হিসাবে খেটে গিয়েছেন। এবার সেই অখিল চন্দ্র রক্ষিত আবার ফিরলেন পুরনো দল পদ্মে। ঘাসফুল শিবির ছেড়ে পদ্ম পতাকা ধরলেন যুব তৃণমূলের ব্লক সহ সভাপতিও। মঙ্গলবার রাতে বাঁকুড়ার তালডাংরায় জেলা সভাপতি সুনীল রুদ্র মণ্ডলের হাত থেকে পদ্ম পতাকা হাতে তুলে নেন তাঁরা ।
২০২১ আগে গেরুয়া শিবির ছেড়ে ঘাসফুল শিবিরে যোগ দিয়েছিলেন ডাকাবুকো নেতা অখিল চন্দ্র রক্ষিত। এরপর পদ না মিললেও তৃণমূলের কর্মী হিসাবে গত ৩ বছর লাগাতার কাজ করে গিয়েছিলেন। লোকসভা নির্বাচনের আগে শুধু নিজের ঘরে ফিরলেন তাই নয়, একই সঙ্গে তৃণমূলের তালডাংরা ব্লকের সহ সভাপতি সাগর লায়েকও পদ্ম পতাকা হাতে তুলে নিলেন।
বিজেপিতে যোগ দেওয়া দুই নেতারই দাবি, দেশজুড়ে নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে উন্নয়নের কর্মযজ্ঞে সামিল হতেই তাঁদের এই শিবির বদল। অখিল বলেন, “একটা দলে না ঢুকলে তো কিছু বোঝা যায় না। তাই সেখানে গিয়ে দেখলাম এই দলটা দুর্নীতিবাজ। শুধু তোলাবাজি করে। তাই ছেড়ে চলে এলাম।” অপরদিকে, সাগর লায়েক বলেন, “তৃণমূলের প্রতি পদে পদে দুর্নীতি। আর বিজেপি উন্নয়ন ঘটিয়েছে। অযোধ্যায় রাম মন্দির প্রতিষ্ঠা হয়েছে। আমাদের কোনও প্রলোভন দেখানো হয়নি।” বিজেপির বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সুনীল রুদ্র মণ্ডলের দাবি, রাজ্য যেভাবে দুর্নীতি ও বেকারত্বে ডুবে যাচ্ছে তাতে আপামর মানুষ বিরক্ত। তাই তৃণমূল ছেড়ে দলে দলে বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন। তৃণমূল নেতা কর্মীদের এই দল বদলে রীতিমত অস্বস্তিতে ঘাসফুল শিবির।
অপরদিকে, তৃণ মূলের তালডাংরা ব্লক সভাপতি তারাশঙ্কর রায়ের দাবি, যারা বিজেপিতে যোগদান করেছেন তাঁরা পঞ্চায়েত নির্বাচনে দলের হয়ে কাজ করেননি। উল্টে তিনি দলকে বিপাকে ফেলার চেষ্টা করেছেন। এই ধরনের আবর্জনা দল থেকে যত বেরিয়ে যায় ততই দলের মঙ্গল।