Bankura: বিজেপি থেকে পঞ্চায়েত সদস্যাকে দলে টেনে পঞ্চায়েত ছিনিয়ে নিল TMC

Bankura: রবিবার সোনামুখীতে তৃণমূলের একটি যোগদান সভায় পার্শ্ববর্তী পূর্ব নবাসন গ্রাম পঞ্চায়েতের দুই নির্বাচিত বিজেপি সদস্য তৃণমূলে যোগ দেন। ২৩ আসন যুক্ত ওই পুরসভায় এতদিন বিজেপির নির্বাচিত সদস্যের সংখ্যা ১৬ থাকায় আপাতত ওই পঞ্চায়েতটি বিজেপির দখলেই থাকছে।

Bankura: বিজেপি থেকে পঞ্চায়েত সদস্যাকে দলে টেনে পঞ্চায়েত ছিনিয়ে নিল TMC
তৃণমূলে যোগদানImage Credit source: TV9 Bangla

| Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Sep 08, 2025 | 11:51 AM

বাঁকুড়া: বছর ঘুরলেই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে বিজেপির এক নির্বাচিত সদস্যাকে নিজেদের দলে যুক্ত করে বিজেপির হাত থেকে আস্ত একটি পঞ্চায়েত ছিনিয়ে নিল তৃণমূল। ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ার সোনামুখী ব্লকের মানিকবাজার গ্রাম পঞ্চায়েতে। এছাড়াও পার্শ্ববর্তী পূর্ব নবাসন গ্রাম পঞ্চায়েতের অপর দুই নির্বাচিত সদস্য তৃনমূলে যোগ দেন। যদিও ওই পঞ্চায়েত আপাতত থাকছে বিজেপির হাতেই। পুলিশ ও প্রশাসনকে কাজে লাগিয়ে ভয় দেখিয়ে এভাবে বিজেপির নির্বাচিত সদস্যদের তৃণমূলে যোগদান করিয়ে পঞ্চায়েত দখলের চেষ্টার কড়া সমালোচনা করেছে বিজেপি।

গত গ্রাম পঞ্চায়েত নির্বাচনে বাঁকুড়ার সোনামুখী ব্লকের মানিকবাজার গ্রাম পঞ্চায়েতের ৯ টি আসনের মধ্যে ৫ টি আসনে জয়লাভ করে বিজেপি। ৪ টি আসনে জেতে তৃণমূল। একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকায় এতদিন ওই পঞ্চায়েত ছিল বিজেপির দখলে। গতকাল ওই পঞ্চায়েতের বিজেপির টিকিটে জয়ী পঞ্চায়েত সদস্যা শ্যামলী লোহার তৃণমূলে যোগ দেন। এর ফলে পঞ্চায়েতটিতে সংখ্যালঘু হয়ে পড়ে বিজেপি। তৃণমূলের দাবি,  আগামী ১০ দিনের মধ্যে অনাস্থা এনে ওই পঞ্চায়েত দখল করবে তৃণমূল।

অন্যদিকে,  রবিবার সোনামুখীতে তৃণমূলের একটি যোগদান সভায় পার্শ্ববর্তী পূর্ব নবাসন গ্রাম পঞ্চায়েতের দুই নির্বাচিত বিজেপি সদস্য তৃণমূলে যোগ দেন। ২৩ আসন যুক্ত ওই পুরসভায় এতদিন বিজেপির নির্বাচিত সদস্যের সংখ্যা ১৬ থাকায় আপাতত ওই পঞ্চায়েতটি বিজেপির দখলেই থাকছে। এলাকার বিধায়ক ও সাংসদ বিজেপির। তারপরেও কেন বিজেপিতে এই ভাঙন? দলবদল করা পঞ্চায়েত সদস্যা সদস্যদের দাবি,  বিজেপিতে থেকে নিজের সংসদ এলাকায় উন্নয়নের কাজ করা যাচ্ছিল না। মানিকবাজার গ্রাম পঞ্চায়েত দলবদল করা পঞ্চায়েত সদস্যা শ্যামলী লোহার বলেন, “দলে থেকে কাজ করতে সমস্যা হচ্ছিল। আর মানুষকে কাজ দিতে পারছি না, তাতে মানুষ প্রশ্ন করতে শুরু করে। তৃণমূলে এসে এলাকার উন্নয়ন করতে পারব।”

তৃণমূলের দাবি, ভুল বুঝিয়ে ওই সদস্য সদস্যাদের বিজেপির পতাকার তলায় রাখা হয়েছিল। এখন এলাকার উন্নয়নের স্বার্থেই তাঁরা তৃণমূলে যোগ দিলেন। বিজেপির পাল্টা অভিযোগ স্বেচ্ছায় নয়, পুলিশ ও প্রশাসনকে কাজে লাগিয়ে জোর করে তাদের তৃণমূলে যোগ দিতে বাধ্য করা হয়েছে। তৃনমূলের বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি সুব্রত দত্ত বলেন, “জেলা জুড়ে বিজেপি মহলে একটা হা হুতাশ শুরু হয়েছে। বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্যরা শ্বাসকষ্টে ভুগছেন। বিষ্ণুপুরে বেশ কয়েকজন কর্মী সমর্থকও কিছুদিন আগে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিলেন।”

সোনামুখীর বিজেপি বিধায়ক দিবাকর ঘরামি বলেন, “তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনেক লম্বা লম্বা কথা বলেছেন। কিন্তু ওখানে কেউ স্বেচ্ছায় যাবেন না। ওটা ডুবন্ত জাহাজ। পুলিশ প্রশাসন দিয়ে ভয় দেখিয়ে গরিব খেটে খাওয়া মানুষ, যাঁদের সম্মান দিয়েছিল বিজেপি, তাঁদের ফের তৃণমূল ভয় দেখিয়ে যোগদান করিয়েছে।”