Bankura: বিজেপির শক্ত ঘাঁটিতে ভাঙন, তৃণমূলে যোগ ১০০ পরিবারের
Bankura TMC Joining: বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর বিধানসভা এলাকা বিজেপির শক্ত ঘাঁটি হিসাবেই পরিচিত। একুশের বিধানসভা নির্বাচনই হোক বা ২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচন এই বিধানসভা এলাকায় জয় পেয়েছে গেরুয়া শিবির। তবে ২০২৬ এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে এবার বড়সড় ভাঙন দেখা দিল ওই বিধানসভা এলাকায়।

বাঁকুড়া: বিধানসভা ভোটের আগে বড়সড় ভাঙন গেরুয়া শিবিরে। বুথ সভাপতি দলের প্রায় ৭৫ টি পরিবার পদ্ম পতাকা ছেড়ে যোগ দিলেন ঘাসফুল শিবিরে। ঘটনা বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর বিধানসভার উলিয়াড়া ৭৯ নম্বর ও ছিলিমপুর ৭৫ নম্বর বুথের। বিজেপির দাবি ,সবই সাজানো নাটক। কেউ দল বদল করেনি।
বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর বিধানসভা এলাকা বিজেপির শক্ত ঘাঁটি হিসাবেই পরিচিত। একুশের বিধানসভা নির্বাচনই হোক বা ২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচন এই বিধানসভা এলাকায় জয় পেয়েছে গেরুয়া শিবির। তবে ২০২৬ এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে এবার বড়সড় ভাঙন দেখা দিল ওই বিধানসভা এলাকায়। গতকাল তৃণমূলের বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি সুব্রত দত্ত ও বিষ্ণুপুরের বিধায়ক তন্ময় ঘোষের হাত ধরে উলিয়াড়া ৭৯ নম্বর ও ছিলিমপুর ৭৫ নম্বর বুথের বুথ সভাপতি সহ প্রায় ৭৫ টি বিজেপি কর্মী ও তাঁদের পরিবার পদ্ম পতাকা ছেড়ে কাঁধে তুলে নিলেন ঘাসফুলের পতাকা।
দল বদল করা কর্মীদের দাবি, তাঁরা এতদিন বিজেপি করে এলেও গ্রামের কোনও উন্নয়ন হয়নি। জয়লাভের পর গ্রামে দেখা মেলেনি বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁর। গ্রামের উন্নয়নের স্বার্থে তাই এই দলবদল। তৃণমূলের দাবি, আবাস যোজনা থেকে ১০০ দিনের কাজ সহ সমস্ত প্রকল্পে বাংলাকে বঞ্চনা ও ভিন রাজ্যে একের পর এক বাঙালি নিগ্রহের ঘটনায় বীতশ্রদ্ধ হয়ে দলবদল করেছেন ওই কর্মীরা। বিজেপি অবশ্য এই দলবদলের কথা মানতে চায়নি।
বিজেপির দাবি, তাঁদের দলের কেউই বদল করেনি। সবটাই তৃণমূলের নাটক। দলবদল করা বিজেপির বুথ সভাপতি বিদ্যুৎ বাউড়ির বক্তব্য, “আমি দীর্ঘদিন ধরেই বিজেপি করে আসছি। বিজেপি-র থেকে কোনও সুযোগ সুবিধা পাইনি। কোনও কাজ হয়নি, উন্নয়নও হয়নি। ভোট আসার আগেই দলবদল করলাম, যাতে ভোটের পর কিছু উন্নয়ন হয়।”
তৃনমূলের বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সুব্রত দত্ত বলেন, “৭৫ ও ৭৭ নম্বর বুথের প্রায় একশো পরিবার বুথ সভাপতি-সহ প্রতিবাদ জানিয়ে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছে। নেত্রীর ওপর ভরসা রেখে। ”
বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা বিজেপি-র মুখপাত্র দেবপ্রিয় বিশ্বাস বলেন, “গোটাটাই মিথ্যা বিষয়। ভোটের আগে কাটমানি যাতে আরও বেশি পকেটে ঢোকে, নিজের নম্বর বাড়ানোর জন্য এসব সাজানো হয়েছে।”
