AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Bankura: ভোটের আগে বাঁকুড়ায় পদ্ম শিবিরে ভাঙন, ঘাসফুলে গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য-সহ ৫০টি পরিবার

TMC joining: ২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের কাছ থেকে শালতোড়া বিধানসভা ছিনিয়ে নেয় বিজেপি। পরবর্তীতে লোকসভা নির্বাচনের নিরিখে ওই বিধানসভায় বিজেপিকে পিছনে ফেলে এগিয়ে যায় তৃণমূল। স্বাভাবিকভাবেই সামনের বিধানসভা নির্বাচনে শালতোড়া বিধানসভার হাওয়া নিজেদের পালে টানতে মরিয়া রাজ্যের শাসকদল।

Bankura: ভোটের আগে বাঁকুড়ায় পদ্ম শিবিরে ভাঙন, ঘাসফুলে গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য-সহ ৫০টি পরিবার
তৃণমূলের পতাকা হাতে তুলে নিলেন বিজেপি সমর্থকরাImage Credit: TV9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Nov 21, 2025 | 10:18 AM
Share

বাঁকুড়া: বছর ঘুরলেই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে ফের ভাঙন পদ্ম শিবিরে। বাঁকুড়ার শালতোড়া ব্লকের কানুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের নির্বাচিত বিজেপি সদস্য-সহ স্থানীয় গড়ুরবাসা বুথের ৫০টি পরিবার যোগ দিল তৃণমূলে। বিজেপির দাবি, ভয় দেখিয়ে ওই পঞ্চায়েত সদস্যকে তৃণমূল দলে টানলেও এলাকার কোনও ব্যক্তি ঘাসফুল শিবিরে যায়নি।

২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের কাছ থেকে শালতোড়া বিধানসভা ছিনিয়ে নেয় বিজেপি। পরবর্তীতে লোকসভা নির্বাচনের নিরিখে ওই বিধানসভায় বিজেপিকে পিছনে ফেলে এগিয়ে যায় তৃণমূল। স্বাভাবিকভাবেই সামনের বিধানসভা নির্বাচনে শালতোড়া বিধানসভার হাওয়া নিজেদের পালে টানতে মরিয়া রাজ্যের শাসকদল। এই পরিস্থিতিতে পদ্ম শিবিরে ভাঙন ধরিয়ে বিজেপির টিকিটে নির্বাচিত এক পঞ্চায়েত সদস্যকে দলে টানল ঘাসফুল শিবির। গতকাল বাঁকুড়ার শালতোড়া ব্লকের কানুড়ি গ্রামে তৃণমূল কার্যালয়ে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন স্থানীয় গড়ুরবাসা বুথের পঞ্চায়েত সদস্য স্বপন মাহালি।

তৃণমূলের দাবি, ওই নির্বাচিত সদস্যর পাশাপাশি গড়ুরবাসা বুথের প্রায় ৫০টি পরিবার তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। শালতোড়ায় তৃণমূলের ব্লক সভাপতি সন্তোষ মণ্ডল বলেন, “তৃণমূলের উন্নয়নে সামিল হলেন বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্য। এছাড়া ৫০টি পরিবার আমাদের দলে যোগ দিয়েছেন। আমাদের দলকে আরও শক্তিশালী করতে এগিয়ে এলেন। গরিবের পাশে তৃণমূল সবসময় রয়েছে, এটাই আমাদের অঙ্গীকার।” আর দল বদলের পর পঞ্চায়েত সদস্য স্বপন মাহালি বলেন, “বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্য ছিলাম। সেখানে কাজের কোনও সুযোগ পাওয়া যাচ্ছিল না। তাই, তৃণমূলে যোগ দিলাম।”

তৃণমূলের দাবি খারিজ করে দিল বিজেপি। তাদের দাবি, ভয় দেখিয়ে ওই পঞ্চায়েত সদস্যকে তৃণমূল দলে টেনেছে। বিজেপির যুব মোর্চার সাধারণ সম্পাদক অরুণ কুম্ভকার বলেন, “তৃণমূল কংগ্রেসের নাটক আমরা আগেও দেখেছি। ওই গ্রামটি আদিবাসী প্রধান গ্রাম। ওই গ্রামের ৯০ শতাংশ মানুষ বিজেপির সঙ্গে রয়েছেন। আমাদের পঞ্চায়েত সদস্যকে ভয় দেখিয়ে তৃণমূলে যোগ করানো হয়েছে। তাঁর সঙ্গে কোনও ব্যক্তি তৃণমূলে যাননি। এতে তৃণমূলের কোনও লাভ হবে না।”