Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Bankura MLA: ‘না পারলে চাকরি ছেড়ে দিন’, আঙুল উঁচিয়ে বিডিও-কে শাসানোর অভিযোগ বিধায়কের বিরুদ্ধে

BJP MLA: বিডিও অঞ্জন চৌধুরীর দফতরে বসেই তাঁকে শাসানো হয়েছে বলে অভিযোগ বিধায়কের বিরুদ্ধে।

Bankura MLA: 'না পারলে চাকরি ছেড়ে দিন', আঙুল উঁচিয়ে বিডিও-কে শাসানোর অভিযোগ বিধায়কের বিরুদ্ধে
বিডিও অফিসে বসে বিধায়ক (নিজস্ব চিত্র)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 10, 2022 | 11:34 AM

বাঁকুড়া: আবাস যোজনা নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই অভিযোগ জানিয়ে আসছে বিজেপি। যোজনার সুবিধা পাওয়ার যোগ্যতা না থাকলেও বেছে বেছে লোকজনকে ঘর তৈরি করে দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তাই বলে খোদ বিডিও-কে আঙুল উঁচিয়ে হুমকি! এমনই অভিযোগ উঠল বাঁকুড়ার বিজেপি বিধায়ক নিলাদ্রী শেখর দানার বিরুদ্ধে। ‘প্রয়োজন হলে চাকরি ছেড়ে দিন’, আধিকারিককে এমন কথাও বলতে শোনা গিয়েছে। ওই ভিডিয়ে প্রকাশ্যে আসার পর বিধায়ক দাবি করেছেন, কোনও অশালীন আচরণ করা হয়নি বিডিও-র সঙ্গে। অন্যদিকে, বিডিও-র আর্জি, ডেপুটেশন দেওয়া হোক, তবে তা শালীনতা বজায় রেখে।

আবাস যোজনা প্রকল্পে দুর্নীতি ও স্বজন পোষণের অভিযোগ তুলেই বিডিও-র কাছে ডেপুটেশন দিয়ে গিয়েছিলেন বিধায়ক। বিডিও অঞ্জন চৌধুরীর দফতরে বসেই তাঁকে শাসানো হয়েছে বলে অভিযোগ বিধায়কের বিরুদ্ধে। প্রকাশ্যে আসা ভিডিয়োতে বিধায়ককে বলতে শোনা যায়, ‘আমাদের লোকেরা ঘর পাচ্ছে না। পঞ্চায়েত থেকে নাম পাঠানো হলেও সেগুলো কেটে দেওয়া হচ্ছে। কী হচ্ছে এটা? এগুলো কেন শুনব? কে এত বড় মস্তান? আপনি তাঁদের বলে দেবেন, আপনাকে তৃণমূল অফিসে বসাতে, আর তা না হলে আপনি চাকরি ছেড়ে দিন।’

শুক্রবার ওই ডেপুটেশন দিতে যাওয়ার আগে এই ইস্যুতেই বাঁকুড়ার পুয়াবাগানের কাছে বেশ কিছুক্ষণ ৬০ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান বিজেপির নেতা কর্মীরা। পরে স্থানীয় বাঁকুড়া এক নম্বর ব্লকের বিডিওর কাছে ডেপুটেশন জমা দিতে যান তাঁরা। বিডিও অফিসের মুখে বিক্ষোভকারীদের আটকে দেওয়ার চেষ্টা হয় বলে অভিযোগ ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিও হয়।

বিডিও অঞ্জন চৌধুরী বলেন, ‘এই ধরনের ডেপুটেশন আমি আগে কখনও পাইনি। এই ধরনের ব্যবহার প্রত্যাশিত ছিল না। আশা করব শালীনতা বজায় রেখেই সবাই কথা বলবেন।’

বিধায়ক নীলাদ্রি শেখর দানার বিরুদ্ধে বিডিও-কে ধমক দেওয়ার অভিযোগ উঠলে তিনি বলেন, ‘হুমকি দেওয়া হয়নি। গণতান্ত্রিক ভাবেই বিডিও-র সঙ্গে কথা বলেছি। বারবার মানুষ বঞ্চিত হচ্ছে। আমরা বিডিওর কাছে অভাব অভিযোগ নিয়ে এলেও তিনি কর্ণপাত করছেন না। সবক্ষেত্রে দুর্নীতি চলছে। বিজেপি কর্মীদের বঞ্চিত করা হচ্ছে।’

এদিকে, তৃণমূলের দাবি, বিডিও সম্মানীয় পদ। তাঁর সঙ্গে এই ভাবে কথা বলা বিজেপির সংস্কৃতির মধ্যেই পড়ে বলে দাবি করেছেন এলাকার তৃণমূল নেতা শিবাজী বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, সামনে পঞ্চায়েত ভোট, আর বিজেপির পায়ের তলায় মাটি নেই। সে কারণেই এমন ব্যবহার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ জানিয়েছেন তিনি।